Afsana Afrin-
হীরা বলতে চোখের সামনে যে সাদা ধবধবে উজ্জ্বল বস্তু ভেসে ওঠে শুধু তাকেই বোঝায় না। এছাড়াও অন্য রঙের হীরাও আছে। হীরা আপাতত মানুষের জানা সবচেয়ে কঠিন পদার্থ । শুধুমাত্র কার্বন দিয়েই তৈরি হয় হীরা। একটি হীরা পাথর তৈরি হতে সময় লাগে কয়েক বিলিয়ন বছর। এতো দীর্ঘসময়ের ফলাফল হিসেবে আমরা অল্প কিছু হীরা পাচ্ছি ! সাদা হীরার পাশাপাশি কালো, সবুজ, নীল বাদামী, হলুদ, লাল, গোলাপি, বেগুনী সহ আরো কিছু রঙের হীরা পাওয়া যায় !
হীরা এতো দামী কেন?
সামান্য একটু হীরার বাজারদর অনেক হতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২০৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় জেনেভায় বিক্রি হয়েছে আফ্রিকার বোতসোয়ানা খনি থেকে প্রাপ্ত একটি দুর্লভ নিখাত হীরা ! এতো দাম কেন হীরার? হীরার দুর্মূল্যের পেছনে রয়েছে এর দুষ্প্রাপ্যতা। পৃথিবীতে যেসব দুষ্প্রাপ্য পদার্থ রয়েছে তার মধ্যে হীরা অন্যতম।
একটি হীরার দাম কেমন হবে তা নির্ভর করে তার প্রাপ্যতা বা দুষ্প্রাপ্যতার উপর, এর রঙের উপর, এটি কতটা নিখাদ তার উপর আর এর ঔজ্জ্বল্যের উপর। তবে ক্রেতারা অন্য সব কিছু ছাড়িয়ে ঔজ্জ্বল্যকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর সবচেয়ে মজার কথা হল হীরার কোন বিকার হয়না, অর্থাৎ হাজার হাজার বছর পরেও হীরার নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনরূপ সম্ভাবনা নেই।
১.ধারণা করা হয় সর্বপ্রথম হীরা আবিষ্কার হয় ভারতবর্ষে !
২.শুধুমাত্র হীরা দিয়েই হীরাকে কাটা যায়।
৩.পৃথিবীর প্রায় ৫০ ভাগ হীরা আফ্রিকাতেই পাওয়া যায়।
৪.স্বর্ণের ক্ষেত্রে ক্যারেট বিশুদ্ধতার একক হলেও হীরার ক্ষেত্রে ক্যারেট হচ্ছে ভরের একক।
৫.হীরা কিন্তু খনি থেকে এতো সুন্দর অবস্থায় পাওয়া যায়না। একে কেটে পালিশ করে এমন সুন্দর রূপ দেয়া হয়।
৬.রঙ্গীন হীরাগুলোর মধ্যে লাল রঙের হীরা সবচেয়ে কম পাওয়া যায়। বাংলায় একে রক্ত হীরকও বলে।
৮.বাংলাদেশে কোন হীরার খনি না থাকলেও হীরা কাটার কারখানা রয়েছে। বিদেশ থেকে খনিজ হীরা আমদানী করে সেগুলোতে হীরা কাটা আর পালিশ করা হয়ে বিভিন্ন জুয়েলারীর দোকানে বিক্রি করা হয়