আলোর বেগ কীভাবে নির্ণয় করা হয়েছিল? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
452 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (8,580 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (1,140 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
১৬৬৭ সালে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও দার্শনিক গ্যালিলিও আলোর বেগকে সসীম বলে দাবি করেন ও সর্বপ্রথম তিনিই এর বেগ নির্ণয় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার পদ্ধতিতে ভুল থাকায় আলোর বেগ নির্ণয় করতে ব্যর্থ হন তিনি।

পরে ১৬৭৫ সালে কোপেন হেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওলফ রোমার প্যারিসে কাজ করার সময় বৃহস্পতি গ্রহের একটি উপগ্রহের গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে সর্বপ্রথম আলোর বেগ নির্ণয় করেন। আর একেই বলা হয়, রোমারের জ্যোতির্বিদীয় পদ্ধতি।

তবে তিনি এই কাজটি করার জন্য অর্থাৎ বৃহস্পতি গ্রহের উপগ্রহটি পর্যবেক্ষণের জন্য যে টেলিস্কোপটি ব্যবহার করেন, তা গ্যালিলিওরই আবিষ্কার আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, তিনি যে উপগ্রহটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই কাজটি করেন, সেটিও গ্যালিলিওই আবিষ্কার করেন (উপগ্রহটির নাম আয়ো)।

গ্যালিলিও ১৬১০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি একাটি টেলিস্কোপ আবিষ্কার করে সেটা দিয়ে বৃহস্পতি গ্রহ দেখতে থাকলেন। দেখতে দেখতে সেই সময়ই তিনি বৃহস্পতির চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার করেন। উপগ্রহ চারটির নাম আয়ো,ইউরোপা,গ্যানিমিড ও ক্যালিস্টো এবং বর্তমান হিসাব পর্যন্ত এগুলোই বৃহস্পতির সবচেয়ে বড় উপগ্রহ।

এবার দেখা যাক, তিনি কীভাবে আয়ো এর গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে আলোর গতি নির্ণয় করেন।

ধরা যাক, আমাদের কাছ থেকে অনেক অনেক দূরে একটি টেবিলের ওপর একটি বল রাখা আছে। আমরা একটি শক্তিশালী দূরবীন দিয়ে তা দেখছি। বলটি হঠাৎ টেবিল থেকে নিচে পড়ে গেল। বলটি ঠিক যে মূহূর্তে পড়ল, ঠিক সেই মূহূর্তেই কিন্তু আমরা বলটির পড়ে যাওয়া দেখতে পাব না। কারণ, বলটির পড়ে যাওয়ার সময় বল থেকে যে আলো আমাদের দিকে আসবে, সেটি ওই অনেক দূরের পথ অতিক্রম করে আসতে সময় নেবে। অর্থাৎ পড়ে যাওয়ার মুহূর্তের আলোটি সেই পথ পার হয়ে এসে আমাদের চোখে যখন পৌঁছাবে, ঠিক তখনই আমরা বলটি পড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে পাব।

এবার রোমার যে কাজটি করলেন, তা হলো- পৃথিবী ও বৃহস্পতির ন্যূনতম ও বৃহত্তম, এই দুই অবস্থানে বা দূরত্বে থাকার সময় আয়োর যে গ্রহণগুলো সংঘটিত হয়, তাদের সময়ের হিসাব করে অতিরিক্ত সময়টি বের করেন।

আর এই সময়ে অতিরিক্ত যে দূরত্বটি বৃদ্ধি পেল, অর্থাৎ ক থেকে খ এর দূরত্বটি তো আগে থেকেই জানা ছিল (কারণ ওটা হলো পৃথিবীর ব্যাস)। সেই অতিরিক্ত সময় দিয়ে অতিরিক্ত দূরত্বকে ভাগ করলে একক সময়ে অর্থাৎ এক সেকেন্ডে আলো কতখানি দূরে যাচ্ছে, সেটি বের করেন। আর এটাই হলো আলোর বেগ।

তার হিসাব অনুযায়ী, অতিরিক্ত দূরত্বটি হলো: ২৯,৯০,০০,০০০ আর অতিরিক্ত ১০০০ সেকেন্ড, যা ভাগ করলে দাঁড়ায় ২,৯৯,০০০ কিলোমিটার বা ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল প্রতি সেকেন্ডে।

 

সংগৃহীত

উৎসঃhttps://www.banglanews24.com/cat/news/bd/417338.details

লেখক : মো: ফয়সাল ইসলাম, মহাকাশ গবেষক
0 টি ভোট
করেছেন (4,570 পয়েন্ট)
17 শতকের শেষের দিকে ওলে রোমার নামে একজন ডেনিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্রথম আলোর গতি নির্ধারণ করেছিলেন। রোমার বৃহস্পতির চাঁদগুলি অধ্যয়ন করছিলেন, এবং তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে বৃহস্পতি দ্বারা তাদের গ্রহণের মধ্যবর্তী সময় তার কক্ষপথে পৃথিবীর অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত বলে মনে হচ্ছে। তিনি সঠিকভাবে অনুমান করেছিলেন যে বৃহস্পতি এবং পৃথিবীর মধ্যে বিভিন্ন দূরত্ব অতিক্রম করতে আলোর যে সময় লেগেছিল তার কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে, কারণ দুটি গ্রহের মধ্যে দূরত্ব সারা বছর পরিবর্তিত হয়।

1676 সালে, রোমার আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় 220,000 কিলোমিটার গণনা করতে তার পর্যবেক্ষণগুলি ব্যবহার করেছিলেন, যা আধুনিক মানের 299,792 কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডের তুলনামূলকভাবে কাছাকাছি। যাইহোক, রোমারের পরিমাপ তার পর্যবেক্ষণের নির্ভুলতা এবং তার ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দ্বারা সীমাবদ্ধ ছিল।

পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে, অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানী আলোর গতি আরও সুনির্দিষ্টভাবে পরিমাপ করার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন। 1887 সালে আলবার্ট মাইকেলসন এবং এডওয়ার্ড মর্লি দ্বারা একটি ইন্টারফেরোমিটার নামক একটি যন্ত্র ব্যবহার করে সবচেয়ে বিখ্যাত পরীক্ষাগুলি পরিচালিত হয়েছিল। তাদের পরীক্ষা আলোর গতির অনেক বেশি সঠিক পরিমাপ প্রদান করেছিল, যা আজও গৃহীত মান হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

আজ, ইন্টারফেরোমেট্রি, ফ্লাইটের সময় পরিমাপ এবং লেজার রেঞ্জিং সহ বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে আলোর গতি পরিমাপ করা হয়। এই পদ্ধতিগুলি জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা থেকে টেলিযোগাযোগ পর্যন্ত বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলিতে ব্যবহৃত হয় এবং আমাদেরকে আলোর প্রকৃতি এবং মহাবিশ্বে এর ভূমিকা সম্পর্কে গভীরভাবে বোঝার অনুমতি দিয়েছে।

 

Collected

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 670 বার দেখা হয়েছে
18 মে 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন PabonAhsanIvan (2,620 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,496 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 333 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,340 বার দেখা হয়েছে

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

263,049 জন সদস্য

105 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 102 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. nhatvip4

    100 পয়েন্ট

  3. djistorevietnam

    100 পয়েন্ট

  4. Elvira69W416

    100 পয়েন্ট

  5. 1kunwinwiki

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...