মানুষ আলোর বেগ কীভাবে মাপল? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
768 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (2,620 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (260 পয়েন্ট)
সর্বপ্রথম আলোর বেগ পরিমাপ করেছিলেন বিজ্ঞানী রোমার।তিনি বৃহঃস্পতির একটা উপগ্রহের গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে আলোর বেগ নির্ণয় করেছিলেন।

যেকোনো গ্রহণ একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর হয়।আমাদের চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহনের সময় যেমন বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট করে বলে দিতে পারে তেমনি তখনকার সময়ই ক্যালকুলেশন করে বিজ্ঞানীরা অন্যান্য গ্রহের উপগ্রহের গ্রহণ কখন হবে কিংবা কতক্ষণ স্থায়ী হবে সব বলে দিতে পারতেন।

বৃহঃস্পতির আয়ো নামের একটি উপগ্রহ আছে যার গ্রহণ ২১০.৫ ঘণ্টা পর পর হয়।যখন বৃহঃস্পতি পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে তখন এই সময়ে তেমন কোনো হেরফের হয় না।কিন্তু রোমার দেখলেন বৃহঃস্পতি পৃথিবী থেকে দূরে থাকলে গ্রহণ একটু পরে হয়।ব্যাপারটা এরকম হয় যে বৃহস্পতি পৃথিবী থেকে যতো দূরে থাকা অবস্থায় গ্রহণ হচ্ছে পৃথিবী থেকে তত দেরীতে দেখা যাচ্ছে।

তখনকার দিনে মানুষ মনে করতো আলোর বেগ অসীম।কিন্তু আলোর বেগ অসীম হলে তো গ্রহণ সময় মতো দেখার কথা অবস্থান যেখানেই হোক না কেনো।তখন বিজ্ঞানী রোমার বুঝতে পারলেন আলোর বেগ অসীম নয়।এটি সসীম।

এরপর তিনি বৃহস্পতির অবস্থানের পরিবর্তন নির্ণয় করে সময়ের পার্থক্য দিয়ে ভাগ করে আলোর বেগ নির্ণয় করেন।তবে সমসাময়িক অনেকেই তখন আলোর বেগ এত বেশি সেটা মানতে পারেন নি।
0 টি ভোট
করেছেন (9,280 পয়েন্ট)

অনেক বিজ্ঞানী অনেকভাবে আলোর বেগ নির্ণয় করেছেন ৷ ১৯৮৩ সালে নির্ণিত মানটি যা ২৯৯৭৯২.৪৫৮ কিমি/সেকেন্ড সর্বজন গৃহীত ত্রুটিহীন মান বলে স্বীকৃত ৷ তরঙ্গের সূত্র দিয়ে খুব সহজেই আলোর বেগের মান পাওয়া যায় ৷ সূত্র c = fλ যেখানে c হলো আলোর বেগ, f হলো কম্পাঙ্ক ও λ তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৷ উদাহরণ স্বরূপ যে আলো দিয়ে আমরা সব কিছু দেখি সেই আলো বা দৃশ্যমান সাদা আলো সাত রঙের সমষ্টি ৷ এর মধ্যে বেগুনি আলোর জন্য গড় তরঙ্গদৈর্ঘ্য 400 ন্যানোমিটার = 400×10^–9 m এবং গড় কম্পাঙ্ক 750 টেরাহার্টজ = 750×10¹² হার্টজ ৷
তাহলে, c = 400×10^–9×750×10¹² = 3×10^8 মিটার/সেকেন্ড = 3,00,000 কিমি/সেকেন্ড ৷
এরকম,
নীল আলো = ২,৯৯,৭০০ কিমি/সে.
আসমানি আলো = ২,৯৯,৫০০ কিমি/সে.
সবুজ আলো = ২,৯৯,৭৫০ কিমি/সে.
হলুদ আলো = ২,৯৯,২৮০ কিমি/সে.
কমলা আলো = ৩,০০,০০০ কিমি/সে.     
লাল আলো = ২,৯৯,৩৭৬ কিমি/সে.   
তাহলে দৃশ্যমান আলোর গড় বেগ = ২,৯৯,৬৫৮ কিমি/সে. ৷ এভাবে অবলোহিত, অতিবেগুনি সব আলোর বেগ করা যাবে ৷

১৯৮৩ সালে যত রকম আলো হওয়া সম্ভব সব আলোর গড় বেগ শূন্য মাধ্যমে ২,৯৯,৭৯২.৪৫৮ কিমি/সে. গণনা করা হয় ৷ সেকেন্ডে ৩ লাখ কিলোমিটার মানটা আসন্ন মান ৷ এই মান শূন্য মাধ্যমে বা ভ্যাকুয়ামে ৷ শূন্য মাধ্যম একটা স্বচ্ছ মাধ্যম ৷ অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে আলো প্রবেশ করলে মাধ্যমের ঘনত্ব বাড়ে-কমে সে অনুযায়ী আলোর বেগও কমে-বাড়ে ৷ শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সবচেয়ে বেশি ৷ বাতাস মাধ্যমে তার চেয়ে কম, পানিতে তার চেয়ে কম, কাচে আরও কম, হীরাতে এদের চেয়েও কম ৷ মাধ্যম যত ঘন হবে আলোর বেগ তত কমবে ৷

রাশিক আজমাইন (সায়েন্স বী)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 586 বার দেখা হয়েছে
16 এপ্রিল 2023 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md. Taseen Alam (8,580 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 1,670 বার দেখা হয়েছে
17 অক্টোবর 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন তানভীর. (220 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,647 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 395 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,513 বার দেখা হয়েছে

10,852 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

854,812 জন সদস্য

81 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 81 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. xocdia88aeorg

    100 পয়েন্ট

  2. pu88now

    100 পয়েন্ট

  3. Ggpokerrrcom1

    100 পয়েন্ট

  4. n8gamesorg

    100 পয়েন্ট

  5. hbbet2pro

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...