প্রথমত পৃথিবীতে ব্ল্যাকহোল তৈরি করা সম্ভব না।
কোনো বস্তুকে ব্ল্যাকহোলে পরিণত করার ধারণাটি আসে শোয়ার্জচাইল্ডের রেডিয়াস সূত্র থেকে।
এই সূত্র অনুসারে কোনো কিছুকে ব্ল্যাক হোলে পরিণত করতে হলে সেটাকে অনেক বেশি সংকুচিত করতে হবে যা সম্ভব না।
সূত্রটি হলো Rsc=2GM/C^2.
এই সূত্রানুযায়ী যদি পৃথিবীকে ব্ল্যাকহোলে পরিণত করতে হয় তাহলে পৃথিবীতে সংকুচিত করে 9mm গোলকের ব্যাসার্ধে পরিণত করলে তা ব্ল্যাকহোলে পরিণত হবে।
আবার একজন মানুষের ক্ষেত্রে 10^-24 m ব্যাসার্ধের স্হানে আনতে পারলে শোয়ার্জচাইল্ড রেডিয়াস সূত্রানুযায়ী ব্ল্যাকহোলে পরিণত করা সম্ভব।
আবার অন্যভাবে অনেকগুলো লেজার লাইট থেকে নির্গত রশ্মি একটি নির্দিষ্ট স্হানে কেন্দ্রীভূত করতে পারলে ও ব্ল্যাকহোল তৈরি করা সম্ভব।
তবে তার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী লেজারের প্রয়োজন হবে 10^37 টি।
যা কখনো সম্ভব নয়।
অন্যভাবে, আইন্সটাইনের E=mc^2 সূত্রানুযায়ী ব্ল্যাকহোল তৈরি করা সম্ভব।
এই সূত্রানুযায়ী ভরকে এনার্জি তে রুপান্তর করা সম্ভব আর অনেক বেশি ভরকে এনার্জি তে রুপান্তর করলে সেখানে শক্তিশালী মহাকর্ষ বল তৈরি হবে।
এর ফলে কোনো কণাকে যদি উচ্চগতিতে গতিশীল করা যায় তাহলে ওই কণার মধ্যে উচ্চগতিশক্তি তৈরি হবে।
পরবর্তী ওই উচ্চগতিসম্পন্ন কণাকে Particle Collider এর মাধ্যমে সংঘর্ষ ঘটানো হলে সেখানে প্রচুর পরিমাণ এনার্জি উৎপন্ন হবে যা থেকে শক্তিশালী ব্ল্যাকহোল তৈরি হতে পারে।
আবার পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী Particle Collider-LHC(Large Hadron Collider) ব্ল্যাকহোল তৈরি করার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন তার কাছাকাছি ও যেতে পারি না।
উচ্চগতিসম্পন্ন কণার শক্তিকে 10^-50 ব্যাসার্ধের মধ্যে আনতে পারলে ব্ল্যাকহোল তৈরি করা সম্ভব।
কিন্তু(LHC) এখনো পর্যন্ত 10^-19m ব্যাসার্ধের জায়গার মধ্যে আনতে পেরেছে।
তাহলে বলা যায় ব্ল্যাকহোল তৈরি করা সম্ভব না।
তবে Analogue ব্ল্যাকহোল তৈরি করা সম্ভব এবং ইতিমধ্যে তৈরি ও করা হয়েছে।