স্নায়ুকোষ উদ্দীপনা গ্রহণ করে, প্রতিবেদন সৃষ্টি করে এবং শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কাজে সমন্বয় সাধন করে। অন্যদিকে অনৈচ্ছিক পেশির কোষগুলো খাদ্য গলাধঃকরণ, অন্ত্রের অভ্যন্তরে পরিবহন ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গ সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে।
হৃৎপশির সাহায্যে ভ্রূণীয় অবস্থা থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত ছান্দিক গতিতে চলতে থাকে এবং দেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিত করে। ওই পেশিগুলো একত্রে দেহের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ করে বলে একই সঙ্গে সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। ওই টিস্যুগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি অকেজো হয়ে গেলে পরিবেশে টিকে থাকা কোনো প্রাণীর পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ স্নায়ুতন্ত্র উদ্দীপনা গ্রহণ করতে না পারলে মস্তিষ্ক থেকে প্রতিবেদন সৃষ্টি হবে না। ফলে রক্ষণ সম্ভব হবে না। অনৈচ্ছিক পেশির কাজ বন্ধ হলে অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর কার্যাবলি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে হৃৎপশির কাজ বন্ধ হয়ে গেলে প্রাণীর মৃত্যু হবে।
সুতরাং প্রাণীর পরিবেশে টিকে থাকা এবং দেহকে কর্মক্ষম রাখতে নিউরন, অনৈচ্ছিক ও হৃৎপশির সমন্বয় প্রয়োজন।