জীবকোষের সাইটোপ্লাজমে নির্দিষ্ট পর্দা ঘেরা ক্রোমোজোম বহনকারী সুস্পষ্ট যে বস্তু দেখা যায় তাকে নিউক্লিয়াস বলে। নিউক্লিয়াস কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। নিউক্লিয়াস ভৌতভাবে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার জালিকা নিয়ে গঠিত। নিউক্লিয়াসকে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন রক্ষা করে। নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমোজোমকে সাইটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন পৃথক করে রাখে। নিউক্লিওপ্লাজম ক্রোমাটিন জালিকা ধারণ করে এবং নিউক্লিয়াসের জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। নিউক্লিওলাস নিউক্লিক এসিডের ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে, বিভিন্ন প্রকার RNA সংশ্লেষণ করে এবং প্রোটিন সংশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করে। ক্রোমাটিন জালিকা বংশগতি বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে।
রাসায়নিকভাবে নিউক্লিয়াস নিউক্লিক এসিড (DNA ও RAN), প্রোটিন (হিস্টোন ও ননহিস্টোন প্রোটিন), কো-এনজাইম ও অন্যান্য উপাদান নিয়ে গঠিত। নিউক্লিয়াসের নিউক্লিওপ্লাজম এনজাইমের কার্যকলাপের মূলক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে কোষের বিভাজন নিয়ন্ত্রিত হয়। ক্রোমোজোম নিউক্লিয়াসে ভাসমান থাকে। তাই কোনো জীবের বংশ রক্ষায় নিউক্লিয়াসের ভূমিকা অপরিসীম। কোষের সব কার্যকলাপ ঘটানোর নির্দেশ আসে এই নিউক্লিয়াস থেকেই।
তাই বলা যায়, নিউক্লিয়াস কোষের প্রাণকেন্দ্র।