পাই (π) এর মান বের করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। প্রাচীনকালে, গণিতবিদরা বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত থেকে পাইয়ের মান নির্ণয় করতেন। এই পদ্ধতিটি আজও ব্যবহৃত হয়, তবে এটি বেশ সময়সাপেক্ষ।
একটি আরও সহজ পদ্ধতি হল সুষম বহুভুজ ব্যবহার করে। একটি বৃত্তের মধ্যে সুষম বহুভুজ আঁকলে, বহুভুজের ক্ষেত্রফল বৃত্তের ক্ষেত্রফলের কাছাকাছি হবে। বহুভুজের বাহুর সংখ্যা যত বেশি হবে, বহুভুজের ক্ষেত্রফল বৃত্তের ক্ষেত্রফলের ততো কাছাকাছি হবে। এর ফলে পাইয়ের মান নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
আধুনিক গণিতবিদরা পাইয়ের মান নির্ণয় করতে গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করেন। এই সূত্রগুলি অত্যন্ত জটিল, তবে এগুলি পাইয়ের মান নির্ণয় করার জন্য একটি দ্রুত এবং নির্ভুল উপায়।
পাইয়ের মান নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ সূত্র হল:
* গ্রেগরি-লিবনিৎজ ধারা: এই ধারাটি পাইয়ের মান নির্ণয়ের জন্য একটি অসীম ধারা। এই ধারাটি ব্যবহার করে, পাইয়ের মান দশমিকের পর অনেক ঘর পর্যন্ত নির্ণয় করা সম্ভব।
* মেলানো-রাউস-বেরাউট ধারা: এই ধারাটি পাইয়ের মান নির্ণয়ের জন্য একটি আরও জটিল ধারা। এই ধারাটি ব্যবহার করে, পাইয়ের মান দশমিকের পর আরও বেশি ঘর পর্যন্ত নির্ণয় করা সম্ভব।
* আর্কিমিডিস পদ্ধতি: এই পদ্ধতিটি পাইয়ের মান নির্ণয়ের জন্য বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত ব্যবহার করে।
পাইয়ের মান এখনও পর্যন্ত দশমিকের পর ট্রিলিয়ান ঘর পর্যন্ত নির্ণয় করা হয়েছে। তবে, পাই একটি অমূলদ সংখ্যা, যার অর্থ হল এর দশমিক বিস্তার অসীম এবং পুনরাবৃত্তিহীন। তাই, পাইয়ের মানকে সম্পূর্ণভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।