বিজ্ঞানীরা দুটি কারণ দাঁড় করিয়েছেন এর ব্যাখ্যায়। প্রথমটিতে ভার্চ্যুয়াল কণাদের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ভার্চ্যুয়াল কণাদের ওপর হিগস বোসনের প্রভাব পরস্পর বিপরীতধর্মী। ভার্চ্যুয়াল কণাদের অর্ধেক হিগস বোসনের ভর বাড়িয়ে দেয়। বাকি অর্ধেক কমিয়ে দেয় সেই ভর। সুতরাং শক্তিমাত্রা যতই বাড়ুক হিগস বোসনের ভর একই থেকে যায়। দ্বিতীয় ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে, কোনো এক অজ্ঞাত কারণে ভার্চ্যুয়াল কণাদের সঙ্গে হিগস বোসনের মিথস্ক্রিয়া অল্প শক্তিতেই থেমে যায়। এ কারণে হিগস বোসনের ভর বাড়ার আর অবকাশ পায় না।
হাইয়ারার্কি প্রবলেমের একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেটা সুপারসিমেট্রির নামের একটা তত্ত্ব দিয়ে। কিন্তু সুপারসিমেট্রিই পদার্থবিজ্ঞানে ঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সত্যি বলতে কী, সুপারসিমেট্রিতে একঝাঁক নতুন কণাদের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। সেসব কণার একটিরও হদিস মেলেনি। তাই সুপারসিমেট্রি এখনো হাইপোথিসিস পর্যায়ে আছে। এ জন্য হাইয়ারার্কি সমস্যার সমাধান হয়েছে, এ কথা বড় গলায় বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: ফিজিকস ওয়ার্ল্ড