গুগল প্লে স্টোর থেকে আ্যপসের মালিকরা যেভানে টাকা উপার্জন করতে পারেঃ-
১. মোবাইল অ্যাপ মনিটাইজেশন
গুগল প্লে স্টোর থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম। অধিকাংশ অ্যাপ ডেভোলপাররা এইভাবেই ইনকাম করে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অ্যাপগুলো। অ্যাপের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের প্রচারের ধরণ বিভিন্ন হয়ে থাকে, যেমন: পপ আপ অ্যাড, ব্যানার বিজ্ঞাপন, ভিডিও বিজ্ঞাপন ইত্যাদি।
যখন মনিটাইজেশন থেকে অ্যাপের মাধ্যমে আয়ের কথা আলোচনায় আসে তখন ২ ধরণের বিষয় আলোচনা করা হয়।
২. অ্যাপ বিক্রি ও ইন অ্যাপ পারচেস
একটা হল, অ্যাপ ইন্সটল করার জন্য, গ্রহককে আগে পেমেন্ট দিয়ে নিতে হবে এটা হল অ্যাপ বিক্রি। আরেকটি হল, ফ্রিতে কয়েকদিন ব্যবহার করতে হবে, তারপর টাকা দিতে হবে। অথবা, কিছু বিশেষ ফিচার ব্যবহার করতে হলে টাকা দিতে হবে। এই স্ট্রাটেজিকে বলে ইন অ্যাপ পারচেস।
মোবাইল অ্যাপের লভ্যাংশ সমানভাবে ভাগ করতে হয়।
মাসিক একটি সাবস্ক্রিপশন ফি ধার্য করতে হয়।
উদাহরণস্বরূপ আবহাওয়া সংক্রান্ত অ্যাপগুলো, আয়ের ক্ষেত্রে মনিটাইজেশন মডেলকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
সকল মোবাইল অ্যাপ মনিটাইজেশন করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয় অনুসরণ করে চলতে হবে। কোন অ্যাপের ক্ষেত্রে যদি বিনামূল্যে ছাড়া হয়, তার ডাউন লোড সংখ্যা এবং সেই সাথে বিজ্ঞাপন সংখ্যার উপর নির্ভর করে অ্যাপ মার্কেটে রেংক করা হয়।
অ্যাপ সমূহ যখন বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। তখন ব্যবহারকারীকে অ্যাপের ভার্চুয়াল কিছু উপাদান ব্যবহার করার জন্য টাকা প্রদান করতে হয়। এর মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে অতিরিক্ত লাইফ, এড ব্লক, ফ্রীনিয়াম এপ কন্টেন্ট, গেইম কারেন্সিসহ আরও অনেক কিছু।
এই রকম স্ট্রাটেজি ব্যবহার করে, ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস নামক গেইম প্রতিদিন প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে।
৩. সাবসক্রিপশন
অ্যাপ ব্যবহারকারীরা সাপ্তাহিক, মাসিক এবং বাৎসরিক হিসেবে চার্জ দিয়ে থাকে। এই স্ট্রাটেজি সাধারণত ক্লাউড ভিত্তিক অ্যাপে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই যেমন, অডিও কিংবা ভিডিও কন্টেন্ট হিসেবে স্পোটিফাই, গুগল মিউজিক এবং নেটফ্লিক্স এই স্ট্রাটেজি ব্যবহার করে।
৪. স্পন্সরশীপ
মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হল স্পন্সরশীপ। আপনার অ্যাপের ডাউনলোড এবং ইন্সটল যখন অনেক বেশি হবে, তখন অনেক বড় বড় কোম্পানি তাদের সেবার বিজ্ঞাপন বা স্পন্সর দিতে বলবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে আয় করার এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
৫. ক্রাউডফান্ডিং
ক্রাউডফান্ডিং একটি বিকল্প ফান্ডিং অ্যাপ হিসেবে গৃহীত। এটি বিনামূল্যে ব্যবহৃত এপসমূহ থেকে টাকা আয়ের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হিসেবে গৃহীত হয়।
৬. এফিলিয়েট লিংক
আপনি চাইলে আপনার অ্যাপে অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে আয় করতে পারেন। ধরুন, আপনার অ্যাপে আপনি অন্য একটা অ্যাপের ডাউনলোড লিংক যুক্ত করে দিলেন কিংবা পণ্যের লিংক যুক্ত করে দিলেন। এখন কোন অ্যাপ ব্যবহারকারী যদি সেই লিংকে ক্লিক করে ঐ অ্যাপটি কিনে তাহলে, আপনি কমিশন পাবেন।