যমজ শিশুরা দেখতে কেন একই রকম হয়?
কোন পরিবারে যমজ শিশু জন্ম নিলে তা দেখার জন্য সবার আগ্রহ একটু বেশিই থাকে। অনেক সময় মেয়ে-মেয়ে, ছেলে-ছেলে যমজ হয়, আবার ছেলে-মেয়েও যমজ হয়ে থাকে। তবে মেয়ে-মেয়ে বা ছেলে-ছেলে শিশু হলে সেক্ষেত্রে তাদের চেহারা একইরকম হতে দেখা যায়। কিন্তু এই একইরকম হওয়ার কারণ আমরা হয়ত অনেকেই জানিনা। আসুন জেনে নেই, যমজ শিশুরা দেখতে এক হওয়ার কারণ।
যে কারণে যমজ হয়: স্ত্রী দেহের ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রাণুর মিলনে তৈরি হয় ভ্রূণ। প্রতি ঋতুচক্রে নারী শরীরে একটি ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়। কিন্তু কখনো কখনো দুটি ডিম্বাণুও উৎপন্ন হতে পারে। প্রায় একই সময়ে উৎপন্ন হওয়া দুটি ডিম্বাণু থেকে যমজ সন্তানের উৎপত্তি হয়ে থাকে। শুধু এটাই নয়, একটি ডিম্বাণু ভেঙে দুটি হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও যমজ সন্তানের জন্ম হতে পারে।
একরকম যমজ: এরূপ যমজ সন্তানের উৎপত্তি একটি ডিম্বাণু থেকে। এই ডিম্বাণু স্বাভাবিক উর্বরতা লাভের পর দুটি সমান ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি ভ্রূণের সৃষ্টি করে। এটি একটি ভ্রূণ-ঝিল্লির মধ্যে দু’ভাগে অবস্থিত থাকে এবং দুটি ভ্রূণ একটি ফুল থেকেই অক্সিজেন ও অন্যান্য পুষ্টি গ্রহণ করে। তা সত্ত্বেও অনেক সময় একটি ভ্রূণ অপেক্ষা অন্যটি বেশি বেড়ে যেতে পারে। এ ধরনের যমজ সন্তান দেখতে একই রকম হয়। আর দুটিই ছেলে বা দুটিই মেয়ে হতে পারে। অনেক সময় এদেরও দেহের গঠন, মুখাবয়ব, চুল বা চোখের রং হয় একই রকম। রক্তের গ্রুপ হয় সম-চরিত্রের, একজনের চামড়া কেটে অন্যের গায়ে লাগালে তা নিজের চামড়ার মতোই আচরণ করে। বুড়ো আঙুলের ছাপে কিন্তু পার্থক্য থাকে।
যুক্ত যমজ: কখনো কখনো ডিম্বাণুটি অসম্পূর্ণভাবে বিভক্ত হলে সংযুক্ত-দেহবিশিষ্ট যুক্ত যমজ বা সায়ামিজ টুইন-এর সৃষ্টি হয়। জন্মের পর যাদের অপারেনের মাধ্যমে আলাদা করা সম্ভব হয়। আবার অনেকাংশে আলাদা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।