জহির রায়হান:ভয় আমাদের ‘ফাইট/ফ্লাইট' রেসপন্স কে উদ্যত করে (এক্টিভেট করে)।
কোনো অপ্রীতিকর কিছু দেখে তার থেকে দৌড়ে পালানোর যে প্রবণতা তাকে ই বলে ফ্লাইট রেসপন্স। ফ্লাইট শব্দটি এসেছে ইংরেজি Flee শব্দ থেকে। যার মানে হলো – ছুটে পালানো বা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করা।
আর কোনো অপ্রীতিকর কিছু দেখে তার দিকে তেড়ে যাওয়া বা তার সাথে সরাসরি সংগ্রাম/ দ্বন্দ্ব / মারামারিতে লিপ্ত হবার প্রবণতা ই হলো ফাইট রেসপন্স।
এই রেসপন্স গুলো নিয়ন্ত্রিত হয় সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা। সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেমের ই একটি অংশ যা স্পাইনাল কর্ড হতে উৎপন্ন অনেক গুলো নার্ভ/ স্নায়ু দ্বারা গঠিত। এই নার্ভগুলো দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সাথে সংযুক্ত।
আর আমরা যখন ভয় পাই তখন মস্তিষ্ক এই স্নায়ু গুলোর মাধ্যমে সমস্ত অঙ্গে সংকেত পাঠায় ভয়ের জিনিসের সাথে ফাইট করতে (ফাইট রেসপন্স) কিংবা ভয়ের জিনিস হতে দৌড়ে পালাতে (ফ্লাইট রেসপন্স)। আর তখন ই আমাদের হার্ট বিট বাড়ে, চোখের মণি বড় হয় আরো সব লক্ষণ দেখা যায়।
এবার আসি ‘কাঁপাকাপি ‘ কেনো হয় সে প্রসঙ্গে। আমরা যখন ‘ফাইট বা ফ্লাইট' প্রতিক্রিয়া দেখাই তখন এড্রেনালিন হরমোন ক্ষরণ হয়। আর ভয় পেলে ‘ফাইট-ফ্লাইট’ উভয় প্রতিক্রিয়াই সৃষ্টি হয়। তার মানে এড্রেনালিন ও ক্ষরণ হয়। আর এজন্য ই আমাদের মাংসপেশি তথা সমস্ত শরীরই কাঁপে ফাইট বা ফ্লাইট রেসপন্স দেখানোর জন্য।
আরো একটি কারণ আছে। তা হলো মাংসপেশি তে যে রক্ত সঞ্চালিত হয় সে রক্ত হতে হঠাত গ্লুকোজ মাত্রা কমে যায় বা গ্লুকোজ আলাদা হয়ে যায়। আর এজন্য আমরা কাঁপি। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক চায় যাতে আমরা ভয়ের ব্যাপার হতে দৌড়ে পালাই বা ভয়ের ব্যাপার এর সাথে যুদ্ধে নামি ।
"আপনার সমস্যা ঠিক করার জন্য সর্বপ্রথম মনকে শান্ত করতে হবে এবং মনোবল বাড়াতে হবে। এতে কিছু না হলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে পারেন।"-Bissoy