পাখি, সরীসৃপ, উভচর, কয়েকটি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং মাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির স্ত্রী প্রাণীরা ডিম দেয় এবং এর মধ্যে অনেকগুলি হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ খেয়ে আসছে। এটি একটি গোলকাকার বা ডিম্বাকার জিনিস, যা মেমব্রেনের স্তর দ্বারা ঘিরে থাকা ডিম্বক এবং বহিরাবরণের সমন্বয়ে গঠিত হয়। বহিরাবরণের মূল কাজ হলো এর অভ্যন্তরে বাড়তে থাকা ভ্রূণকে এবং ভ্রূণের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকে রক্ষা করা। মুরগি ও কচ্ছপের ডিমসহ বেশীরভাগ মুখরোচক ডিমই শক্ত বহিরাবরণ বা ডিমের খোসা, অ্যালবুমেন (সাদা অংশ), ডিমের কুসুম এবং কিছু মেমব্রেন দিয়ে তৈরী। ডিমের সকল অংশই খাদ্যোপযোগী, যদিও খোসা সাধারণত বাদ দেয়া হয়। পুষ্টিগতভাবে ডিম প্রোটিন ও কোলিনের উৎকৃষ্ট উৎস।
ডিম একটিমাত্র কোষ দ্বারা গঠিত। উটপাখির ডিম হলো সবচেয়ে বড় কোষ।
একটি মুরগীর ডিমের বিভিন্ন অংশ:
১. ডিমের খোসা
২. বহিঃমেমব্রেন
৩. অন্তঃমেমব্রেন
৪. চালাযা (Chalaza)
৫. বহিঃঅ্যালবুমেন
৬. মধ্য-অ্যালবুমেন
৭. ভিটেলাইন মেমব্রেন
৮. নিউক্লিয়াস অব প্যান্ডার
৯. গার্মিনাল চাকতি
১০. হলুদ কুসুম
১১. সাদা কুসুম
১২. অন্তঃঅ্যালবুমেন
১৩. চালাযা
১৪. বায়ু কোষ
১৫. কিউটিকল
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া