সমাজ এবং মনোবিজ্ঞানশাস্ত্রে গুজব, পরনিন্দা বা পরচর্চার ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে। জনসাধারণের সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়, ঘটনা বা ব্যক্তি নিয়ে মুখে মুখে প্রচারিত কোন বর্ণনা বা গল্পকে গুজব বলা হয়েছে। অতীতে যখন প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না তখন মুখে মুখে এটা প্রচার হতো কিন্তু এখন প্রযুক্তির কারণে লিখিত ভাবেও প্রচারিত হচ্ছে ব্যাপক ভাবে।
গুজব অনেক ক্ষেত্রে ভুল তথ্য এবং অসঙ্গত তথ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ভুল তথ্য বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যকে বুঝায় এবং অসঙ্গতি তথ্য বলতে বুঝায় ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা। রাজনীতিতে গুজব বা পরনিন্দা বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ইতিবাচক পরচর্চার পরিবর্তে নেতিবাচক গুজব বা পরনিন্দা অধিক কার্যকর হতে দেখা গেছে। কোনো কোনো ঘটনা আমাদের এত বেশি নাড়া দেয় যে, সেটি অন্যকে তাৎক্ষণিকভাবে না বলে পারা যায় না। অথবা সেই ঘটনাটি কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে এতটাই মানহানিকর যে, সেটি সহজে বিশ্বাস হয় না। তাই ব্যাপারটা আসলে গুজব না সত্যি, তা যাচাইয়ের জন্য হলেও অন্যকে বলতে হয়। গুজব একজনের কাছ থেকে আরেকজন হয়ে হাজারো মানুষের কাছে এভাবেই ছড়ায়। এটা এমন এমন এক বিবৃতি যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে বা আদৌ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।