Web 3.0 কি?এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিন। - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
605 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (9,390 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (9,390 পয়েন্ট)

Web 3.0: The Future of Internet

১৯৬০ এর দিকে মার্কিন সেনাবাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি বা আরপা (ARPA) পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে তৈরি করা এই নেটওয়ার্ক আরপানেট (ARPANET) নামে পরিচিত ছিল। এটাই হলো ইন্টারনেট এর জন্মের ইতিহাস। এরপর ১৯৮৯ সালের দিকে এই আরপানেটকে ইন্টারনেট নামে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৯০ সালের দিকের এই ইন্টারনেটকে web 1.0 বলা হতো। ইন্টারনেট এর একদম আদিম ভার্সিন। তখন আমরা ইন্টারনেট বলতে বুঝতাম শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে কোন একটি আর্টিকেল পড়ে আবার চলে আসা। শেষ! তখনকার ইন্টারনেট বলতে এটাই ছিলো শুধু। ওয়ান ওয়ে কমিউনিকেশন এর মতো। আমরা আর্টিকেল নিউজ এসব পড়তে তো পাড়তাম কিন্ত এসবের সাথে ইন্টার‍্যাক্ট করতে পারতাম না। এই আর্টিকেল পড়ে আমাদের অনুভূতি কী আমারে মন্তব্য কী এসব আমরা জানাতে পারতাম না। এই সমস্যাও বেশিদিন থাকেনি। এরপরে চলে আসলো web 2.0 এইসকল সমস্যার সমাধান নিয়ে। স্টাটিক ওয়েবসাইট এর যুগ শেষ হয়ে ডাইনামিক ওয়েবসাইট আসলো।এরপর আমরা ইন্টারনেট এর সাথে ইন্টার‍্যাক্ট করতে শুরু করলাম। সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সব যায়গায় নিজের অনুভূতি, মন্তব্য, বক্তব্য সবকিছু প্রকাশ করার সুযোগ পেলাম। ইন্টারনেট এর রিয়েল লাইফ প্রয়োগ শুরু হলো। পুরো বিশ্বে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লো ইন্টারনেট। আর এখনো আমরা সেই ইন্টারনেট ই ব্যবহার করছি। আমরা হয়তো প্রযুক্তিগত ভাবে অনেক ভালো অবস্থানে আছি কিন্ত ঝামেলা আছে। আপাতদৃষ্টিতে এসব ঝামেলা আমরা দেখিনা কিন্ত আমাদের এই web 2.0 কিন্ত বিশাল বিশাল ঝামেলা আছে। এবার জিজ্ঞেস করবেন কিসব ঝামেলা? বলছি

ওয়েব 2.0 একটা সেন্ট্রালাইজড ইন্টারনেট। ইন্টারনেট এর পুরো কতৃত্ব একটা নির্দিষ্ট যায়গা ডিভাইস আর মানুষের কাছে থাকে। ফেসবুকের কথাই ধরুন। আমাদের যত ইনফরমেশন আছে সবকিছু কিন্ত ফেসবুক সার্ভারে সেইভ করা থাকে। তো কেউ যদি ফেইসবুকের সার্ভার হ্যাক করতে পারে ফলাফল কী হবে? আমাদের সব ডেটা হ্যাকারের হাতে।কিংবা ভাবুন ফেসবুকের সার্ভার অফ হয়ে গেলো। কি হবে? পুরো দুনিয়ায় ফেসবুক বন্ধ! এবার দেখুন ফেসবুকের সেন্ট্রাল অফ পাওয়ার এ কে আছে? গুটিকয়েক মানুষ। তারা চাইলেই আমাদের এসব ইনফরমেশন এর সাথে যা ইচ্ছে করতে পারে। আমরা পরোক্ষ ভাবে হলেও সেসব গুটিকয়েক মানুষের উপর নির্ভর কিংবা গুটিকয়েক মানুষের কাছে জিম্মি বললেও ভুল হবে না। ধরুন আপনি একটা ছবি আপ্লোড করলেন ফেসবুকে। আপনার কি মনে হয় আপনি একাই মালিক ছবিটার? ফেসবুক ও কিন্ত একই সাথে ছবিটার মালিক। তারা চাইলেই আপনার ছবি ফেসবুক থেকে মুছে দিতে কিংবা সীমিত করে দিতে পারে এমন কী অন্য কারো কাছে বিক্রি বা অন্য কাজে ব্যবহার যা ইচ্ছে করতে পারে। আপনার কিছুই করার নেই। আর ফেসবুকের নামে বদনাম একই সাথে যথেষ্ট প্রমাণ ও আছে ফেসবুক আমাদের ইনফরমেশন নিয়ে ব্যবসা করে। কিন্ত দেখুন আমাদের কিন্তু কিছুই করার নেই। তো ভেবে দেখুন web 2.0 তে আমরা গুটি কয়েক মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে আছি, নিজেদের কন্টেন্ট এর মালিক ও নিজেরা না, নিজেদের ইনফরমেশন সেইভ না কত কত প্রব্লেম।

আমাদের ইনফরমেশন এর সিকিউরিটি, কন্টেন্ট এর সিকিউরিটি, কারো কাছে জিম্মি হয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা এসব সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে web 3.0 বা ডিসেন্ট্রালাইজড ইন্টারনেট।

ওয়েবের এই ৩য় ভার্সনের ব্যাপারটা একটু কঠিন হবে বুঝতে একই সাথে সময়সাপেক্ষ ও বটে। তবে web 3.0 এর একদম মূল ভিত্তির কথা যদি বলতে যাই, ওয়েব 3.0 এর মূল ভিত্তি হলো ব্লকচেইন টেকনোলজি। ব্লক চেইন টেকনোলজি বুঝতে হলে এখন আপনাদের সিনক্রোনাইজ, কনসেনসেস মেকানিজম, প্রুফ অফ ওয়ার্ক, পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক, শেয়ারড লেজার/ ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার, ক্রিপ্টোগ্রাফি, হ্যাসিং সহ আরো বহু কনসেপ্ট বুঝানো লাগবে। আর অবশ্যই বুঝতে পারছেন এই একটা উত্তরে এত কিছু বুঝানো সম্ভব না।

ব্লকচেইন কীভাবে আমাদের এসব সমস্যার সমাধান করে এসব নিয়ে আলোচনা করবো। তবে শেষে যদি বলতে চাই web 3.0 কেন প্রয়োজন বা কেন এসেছে? উত্তর হলো সময়ের প্রয়োজনে এসেছে। যুগ যত এগোচ্ছে সময় যত যাচ্ছে আমাদের ইনফরমেশন এর সিকিউরিটি,ইন্টারনেট ব্যবহার এর স্বাধীনতা, মালিকানা নিশ্চিত করা এসব বিষয় নিয়ে ততই উদ্বেগ বাড়ছে। আর web 2.0 আমাদের এসব সমস্যার সমাধান দিতে পারছে না এজন্যই web 3.0 এর প্রয়োজনীয়তা পড়েছে। আমাদের ইনফরমেশন এর সিকিউরিটি, কন্টেন্ট এর সিকিউরিটি, কারো কাছে জিম্মি হয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা এসব সমস্যার সমাধান খুব ভালোভাবে দিতে পারবে web 3.0 যদিও ওয়েবের ৩য় এই ভার্সনের এই কনসেপ্ট এখনো খুবই নতুন। তবুও বিশেষজ্ঞ দের ধারণা এটাই হলো ইন্টারনেট এর ভবিষ্যৎ।

-শাওন সিকদার
সি,এস,ই ।সোনারগাও বিশ্ববিদ্যালয়

করেছেন (100 পয়েন্ট)
thanks for ans
+1 টি ভোট
করেছেন (7,560 পয়েন্ট)

ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট মিরাকল হবে নাকি "WEB 3.0"! 

Web 3.0 কি সেটা জনার আগে আপনাকে জানতে হবে Web 1.0 এবং Web 2.0 আসলে কি! তাহলে আপনি ওয়েব ৩.০ এর কনসেপ্টা সহজেই বুঝতে পারবেন।

 

তো চলুন, শুরু করা যাক।

 

Web 1.0:

ইন্টারনেটের প্রথম ধাপ এইটা। তখনকার সময় প্রযুক্তি তেমন উন্নত ছিল না। তখন ইন্টারনেটে শুধুমাত্র কন্টেন্ট বা লেখাগুলো পড়া যেতো. কোন মন্তব্য উপস্থাপনের সুবিধাও ছিলো না. এমনকি ছবি, ভিডিও না। এটা ছিলো ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের সময়কাল।

 

Web 2.0:

এরপর আসে ওয়েব ২.০ .. এখন আমরা যেটা ব্যবহার করছি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মেসেজ আদান-প্রদান করা, ছবি-ভিডিও দেখা. কনটেন্ট দেখা/পড়ার পাশাপাশি মন্তব্য উপস্থাপন করা ইত্যাদি ইত্যাদি। এর সবগুলা পরিষেবার পিছনেই একেকটা কোম্পানির হাত আছে (যেমন: গুগল, ফেসবুক, টুইটার) .. এখানে মূলত আমরা নিজেরাই পণ্য! মূলত তারা আমাদের পারমিশন ছাড়াই, আমাদের ডাটা গুলো বিক্রি করে দিচ্ছে। —এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন দেখছি না।

 

Web 3.0:

ফাইনালি ওয়েব ৩.০ .. যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এটা নাকি সম্পূর্ণ ব্লকচেইন টেকনোলজি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) দ্বারা পরিচালিত হবে। ব্লকচেইন পদ্ধতিতে আপনার ডাটার মালিকানা শুধু আপনার কাছেই থাকবে, কোনো থার্ড পার্টি কোম্পানির কাছে নয়। এই পদ্ধতি অনেক সিকিউর হওয়ায় ডাটা হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই কম। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ফলে সার্চ রেজাল্ট হবে খুবই বিচক্ষণ। যোগাযোগের মাধ্যমটাও হবে আরো উন্নত. Vr box/Headset এর মাধ্যমে যেমনটা সরাসরি চোখের সামনে দেখতে পাওয়ার মতো। ইতিমধ্যে মেটা (ফেসবুক), অ্যাপল সহ অন্যান্য এজেন্সি গুলোও এটা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। -যায় হোক.. এটা নিয়ে এখনো রিসার্চ চলছে. তাই সম্পূর্ণ মতামত দেওয়া যাচ্ছে না।

 

পরিশেষে সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে বলা যায়, Web 3.0 শক্তিশালী ও সুরক্ষিত ইন্টারনেট মাধ্যম হতে যাচ্ছে। যেখানে আপনার রাজ্যে আপনিই রাজা।

তথ্যসূত্র: Quora

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 3,140 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 285 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 388 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 559 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 141 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

266,150 জন সদস্য

49 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 47 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...