পেচাঃ পেঁচার চোখের ভেতরে যেহেতু আমাদের চোখের চেয়ে বেশি আলো প্রবেশ করে, তাই পেঁচার জন্য দেখাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। এছাড়া পেঁচার চোখে রড সেল নামে এক ধরনের বিশেষ কোষ থাকে। আর এই কোষ পেঁচাকে রাতের অন্ধকারে দেখতে সাহায্য করে। অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় পেঁচার চোখে রড সেলের পরিমাণ অনেক বেশি।
বাদুরঃ বাদুর চোখে দেখতে পায় না । এরা মুলত শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করার মাধ্যমে চলাফেরা করে থাকে। বাদুড় রাতের আঁধারে চলে। বাদুড়ের বড় বড় দুটি চোখ থাকলেও সেগুলো দিয়ে তারা দেখতে পায় না। বাদুড়কে তাই দেখার কাজটা করতে হয় কান দিয়েই। যে চোখে দেখে না তার কাছে রাত আর দিন তো সমান কথা।
বিড়ালঃ বিড়ালের চোখ রাতের বেলা অন্ধকারের মধ্যে উজ্জ্বল আলোয় জ্বলতে দেখা যায়। তাই আমাদের মনে হতে পারে বিড়াল রাতের বেলা হয়তো দেখতে পায়। কিন্তু সত্যি বলতে বিড়াল রাতের বেলা দেখতে পায় না। তবে বিড়াল অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় রাতের বেলা সামান্য অন্ধকারে বা যেকোনো অন্ধকার পরিবেশে মানুষের তুলনায় বেশি ভালো দেখতে পায়। আমরা মানুষরা কিন্তু একদম অন্ধকারে কিছুই দেখতে পারি না। তদ্রুপ বিড়ালদেরও একই অবস্থা। বিড়ালও রাতের অন্ধকারে কিছুই দেখতে পারে না। কিন্তু আমরা মানুষরা স্বল্প আলোতে ভালো দেখতে না পেলেও বিড়ালদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিড়ালরা অল্প আলোতে অনেক ভালো দেখতে পায় মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায়। বিড়ালের অল্প আলোতে ভালো দেখতে পাওয়ার পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। কারণটি হলো বিড়ালের চোখের গঠন এবং অবস্থান মানুষের চোখের গঠন এবং অবস্থান থেকে ভিন্ন। আমাদের মানুষের চোখের অবস্থান আমাদের মুখমন্ডলের অনেকটা ভেতরের দিকে। অন্যদিকে বিড়াল মহাশয়দের চোখের অবস্থান তাদের মুখমন্ডলের একদম সামনের দিকে এবং অনেকটা বাহিরের দিকে তাদের চোখের অবস্থান। এর ফলে বিড়ালের ২ টি চোখ একসাথে ভালো কাজ করে এবং একটি বিশেষ দিকে ভালোভাবে লক্ষ করে দেখতে সক্ষম।