ক্রায়োনিক্স কী? বিস্তারিত জানতে চাই। - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
373 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (7,950 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (7,950 পয়েন্ট)

ক্রায়োনিক্স হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে মৃত মানুষকে সংরক্ষণ করা হয় এই আশায় যে ভবিষ্যৎ প্র‍যুক্তির সাহায্যে তাদেরকে জীবিত করা যাবে। এটি অনেকটা Hibernation বা শীতনিদ্রার মতো। এই পদ্ধতিতে মৃত ব্যক্তির দেহকে বা শুধু মাথাকে নিম্ন  তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয় যার জন্য বহুদিন লাশ অবিকৃত থালে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ক্রায়োপ্রিজারভেশন। বর্তমানে জীবিত মানুষের শরীরে ক্রায়োনিক্স নিষিদ্ধ তাই ক্লিনিকাল ডেথ এর পর একজন মানুষকে ক্রায়োপ্রিজারভেশনে রাখা হয়। 

ক্লিনিকাল ডেথ বলতে বুঝায় হার্টবিট বন্ধ হয়ে যাওয়া। কিন্তু হার্টবিট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও কিছুক্ষণ মস্তিষ্কের কোষ জীবিত ও কর্মক্ষম থাকে। এমন অনেক নজির আছে যেখানে দেখা যায় কিছুক্ষণ হার্টবিট বন্ধ থাকার পর মানুষটি আবার বেঁচে ফিরেছে। তাই, ক্রায়োবিদরা মনে করেন যে মস্তিষ্ক যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত একজন মানুষকে মৃত দাবী করা করা যায়না। তাদের মতে ভবিষ্যৎ এ এমন প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হবে যার সাহায্যে তারা মস্তিষ্কে থাকা সকল তথ্য পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।

ক্রায়োনিক্স এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেহের সব কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া বা সরাসরি বলতে গেলে মৃত্যুকে স্থগিত করে দেওয়া। ক্রায়োনিক্স প্রক্রিয়ায় কিছু কোষের ফাংশন সংরক্ষণ করা হয় যা থেকে থিওরেটিক্যালি তাদের আবার জীবিত করা সম্ভব। কোনো মানুষ মারা যাওয়ার পর তার শরীরকে স্থির অবস্থায় আনতে অক্সিজেন ও রক্ত সরবরাহ করা হয় যাতে শরীরের কিছু ক্রিয়া চলতে থাকে। তারপর শরীরে অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট দেওয়া হয় যাতে রক্ত জমে না যায় এবং শরীরকে বরফে মুড়ে দেওয়া হয়।

মানুষের কোষের বেশিরভাগ অংশই পানি হওয়ায় শরীরের পানি সরিয়ে ক্রায়োপ্রোট্যাক্টট্যান্ট বা গ্লিসারল দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলে ভিট্রিফিকেশন। পানি না সরালে তা বরফ হওয়ার পর আয়তনে বেড়ে যাবে এবং সব কোষ নষ্ট হয়ে যাবে। ভিট্রিফিকেশন এর পর ড্রাই আইস দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা -২০২°F পর্যন্ত ঠান্ডা করা হয়, একে বলে প্রি-কুলিং। এরপর শরীরকে তরল নাইট্রোজেন এর ট্যাঙ্কে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা  -৩২০°F এ নেমে আসে। 

সবচেয়ে জটিল বিষয় হচ্ছে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে এনে দেহ স্বাভাবিক করা। এখনো পর্যন্ত কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীকে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনা যায়নি, কেবল কিছু নেমাটোডদের স্বাভাবিক করা গিয়েছে। আর ভবিষ্যৎকালে কোনো মানুষকে হিমায়িত অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা গেলেও সে থাকবে মৃত এবং মৃত মানুষটিকে জীবনদান করা অসম্ভব ব্যাপার। তাই, বর্তমানে ক্রায়োনিক্সকে ছদ্মবিজ্ঞান বা  Pseudoscience হিসেবে দেখা হয়। এই প্রক্রিয়ায় শরীর সংরক্ষণে খরচ হয় ২ লক্ষ ডলার, মস্তিষ্ক সংরক্ষণে খরচ হয় ৬০ হাজার ডলার।

© নিশাত তাসনিম (সায়েন্স বী)

রেফারেন্স: ১. https://en.m.wikipedia.org/wiki/Cryonics

২. https://www.alcor.org/library/introduction-to-cryonics/

৩. https://www.cryonics.org/

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+28 টি ভোট
2 টি উত্তর 4,168 বার দেখা হয়েছে
22 ফেব্রুয়ারি 2019 জিজ্ঞাসা করেছেন RakibHossainSajib (32,140 পয়েন্ট)
+7 টি ভোট
2 টি উত্তর 795 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 334 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,102 বার দেখা হয়েছে
02 অক্টোবর 2021 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 1,025 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

266,016 জন সদস্য

46 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 45 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...