>>>হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কি?
এটি একটি রাসায়নিক যৌগ। বিশুদ্ধ অবস্থায় এটি বর্ণহীন তরল। নানা কাজেই এর ব্যবহার রয়েছে। খুবই হালকা ঘনত্বের হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড আপনার বাথরুম পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে, কাপড় থেকে দাগ দূর করা, আপনার দাঁত সাদা করা সবকিছুর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। নানা কাজে এই রাসায়নিক ব্যবহার হয়ে থাকলেও, সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে। বিশেষ করে, এর উচ্চ ঘনত্ব বিপজ্জনক।
হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড উচ্চ ঘনত্বে একটি আক্রমণাত্মক অক্সিডাইজার এবং এটি মানুষের ত্বক সহ অনেক উপাদানকে ক্ষয় করে।
>>>হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কী দাহ্য পদার্থ?
হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড দাহ্য পদার্থ নয়, তবে কিছুক্ষেত্রে এটি আগুনের তীব্রতা ঘটাতে পারে। এটি নিজ থেকে আগুন জ্বালাবে না, তবে অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে মিলিত হলে আগুনের ঝুঁকি হতে পারে। বিশেষ করে, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড যদি বিশুদ্ধ বা মিশ্রিত আকারে হয় তাহলে বিভিন্ন ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, প্রধানটি হলো এটি জৈব যৌগের সংস্পর্শে বিস্ফোরক মিশ্রণ তৈরি করে।
হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নিজে আগুনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে না কিন্তু এটি আগুনকে তীব্র করে তুলতে পারে। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের সঙ্গে সম্পর্কিত আগুনের বিপদগুলো বুঝার জন্য আগে আগুনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো জানা জরুরি।
যেকোনো ধরনের আগুনের ৩টি জিনিস প্রয়োজন: তাপ, জ্বালানি এবং অক্সিজেন। আগুন লাগার জন্য এবং জ্বলতে থাকা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সঠিক পরিমাণে এই তিনটি জিনিসেরই প্রয়োজন। এই উপাদানগুলোর যেকোনো একটি সরানো হলে আগুন নিভে যাবে। মূলত এভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং নিভিয়ে ফেলা হয়।
হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নিজে আগুন সৃষ্টি না করলেও, এটি একটি অক্সিডাইজার হিসেবে কাজ করে। অক্সিডাইজার হলো একটি রাসায়নিক যা অক্সিজেন বা অন্যান্য উপাদান (ফ্লোরিন বা ক্লোরিন) যোগ করে। যার মানে হলো, অক্সিজেন ছাড়াই আগুন জ্বলতে পারে যদি একটি অক্সিডাইজার উপস্থিত থাকে। অর্থাৎ অক্সিডাইজারগুলো আগুনকে ব্যাপকভাবে তীব্র করতে পারে এবং এমনকি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এ কারণে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের অক্সিজেন আগুনের তীব্রতা বাড়াতে পারে এবং পর্যাপ্ত জ্বালানি এবং তাপ থাকলে আগুন জ্বলার সম্ভাবনা বেশি করে।
credit: Kazi hasan Mujahid