ভীমরুল কামড়ায় না বরং হুল ফোটায় ৷ ভীমরুলের হুলের বিষে অ্যাসিড থাকে তাই জ্বালাপোড়া করে এটা ভুল ৷ ভ্যাক্সিন দেওয়ার পর ফুলে ওঠা, ব্যথার যে কারণ এক্ষেত্রেও ঐ একই কারণ ৷ ভীমরুলের বিষ বহিরাগত বস্তু তাই তাকে ঠেকাতে দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অ্যান্টিবডি পাঠিয়ে যুদ্ধ বাঁধিয়ে বসে ৷ তখনই ফুলে ওঠা, ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয় ৷ শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জয়ী হয় যুদ্ধে ৷ তবে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রায় ১০০ টা ভীমরুল না হুল ফোটালে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হবে না ৷ উপরন্তু ভীমরুলের বিষে হিস্টামিন থাকে ৷ হিস্টামিনের প্রভাবে খুব মানুষে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে যা অ্যানাফাইলেটিক শক পর্যন্ত চলে যেতে পারে ৷ অ্যানাফাইলেটিক শক হলো প্রাণঘাতি অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া যা মৃত্যু ঘটিয়ে দেয় এবং এর জন্য একটার ছোবলই যথেষ্ট ৷
ভীমরুলের বিষে অ্যাসিড থাকলেও লক্ষণ প্রকাশে তার গুরুত্ব প্রকৃতপক্ষে তত বেশি নয় যতটা আগে ভাবা হতো ৷
© রাশিক আজমাইন (সায়েন্স বী)