হ্রস্বদৃষ্টি মায়োপিয়া বা দৃষ্টিক্ষীণতা কি?
দৃষ্টিক্ষীণতা (কাছের জিনিস দৃশ্যমান) এমন একটি অবস্থা যার ফলে আপনি কাছের বস্তু স্পষ্ট দেখতে পাবেন, কিন্তু দুরের দৃষ্টি হবে অস্পষ্ট। আপনার টেলিভিশন পর্দা, হোয়াইটবোর্ড ইত্যাদি জিনিষগুলো দেখতে অসুবিধা হতে পারে। দৃষ্টিক্ষীণতাকে শ্রেণীভুক্ত করা হতে পারে দুটি পর্যায় উচ্চ দৃষ্টিক্ষীণতা (তীব্র দৃষ্টিক্ষীণতা) এবং নিম্ন দৃষ্টিক্ষীণতা (হালকা দৃষ্টিক্ষীণতা)।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?
নিচে উল্লেখ করা লক্ষণ ও উপসর্গগুলি দৃষ্টিক্ষীণতার সাথে জড়িত ব্যক্তিবিশেষে লক্ষ করা যায়:
দৃষ্টি ক্ষমতা দুর্বল।
মাথাযন্ত্রনা।
চোখ টনটন করা।
এর প্রধান কারণ কি কি?
দৃষ্টিক্ষীণতার কারণগুলি নিচে উল্লেখ করা হল:
বংশগত: দৃষ্টিক্ষীণতা বিকাশের প্রবণতা বংশগত হতে পারে, তবে এটা চোখের ওপর কতটা চাপ দেওয়া হচ্ছে তার ওপরেও নির্ভর করে।
দর্শন সম্বন্ধীয় চাপ: কাজ বা পড়াশোনা বিষয়ক চাপ যা কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে হয়।
ডায়াবেটিসের মতো রোগ: ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা বদল হওয়ার কারণে তা দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলে।
পরিবেশগত কারণ: পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলে দৃষ্টিতে প্রভাব পরে, উদাহরণ স্বরূপ, কেবলমাত্র রাতে ঝাপসা দৃষ্টি যা রাতের দৃষ্টিক্ষীণতা নামে পরিচিত।
কিভাবে এর নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?
চক্ষুবিশেশজ্ঞ একটি বিস্তীর্ণ চক্ষু পরীক্ষা করতে পারেন দৃষ্টিক্ষীণতা নির্ণয় করার জন্য। এই পরীক্ষার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত দৃষ্টি সংক্রান্ত পরীক্ষা ও চক্ষু পরীক্ষা। চোখের পরীক্ষা করার জন্য চোখের ড্রপ দেওয়া হতে পারে যার ফলে চোখের মনি বড় হয়ে যায় এবং চোখের পরীক্ষা করতে সুবিধা হয়।এটি রেটিনা এবং অপটিক স্নায়ুকে কাছ থেকে পরীক্ষা করতে সহয়তা করে।
দৃষ্টিক্ষীণতা চিকিৎসার জন্য যে সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি ব্যবহার কফরা হয় তা হলো সংশোধনীয় চশমা বা চোখের লেন্সেস। এছাড়াও যে পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয় তা হলো:
ফটোরিফ্রাক্টিভ কেরাটেকটমি (পিআরকে) এবং লেজার-অ্যাসিস্টেড ইন-সিটু কেরোটোমিলিউসিস (এলএএসআইকে)এর মতো প্রতিসারক অস্ত্রপ্রচার।প্রতিসারক অস্ত্রপ্রচারটি করা হয় অপটিক এররগুলি ঠিক হওয়ার পর(যেগুলি হল,সেই সময় স্থিতিশীল থাকা আপনার চশমার ক্রমিক সংখ্যা ),সাধারণত যখন আপনার বয়স সম্পূর্ণ 20 এর মধ্যে থাকে এবং আপনার বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হয়ে যায় । এই অস্ত্রপ্রচার কর্নিয়ার আকৃতি পরিবর্তন করে রেটিনার কেন্দ্রে আলো স্থাপন করতে উন্নতিসাধন করে।
করনিয়াল প্রসারন চিকিৎসা পদ্ধতি (অর্থ-কে): এটি একটি অস্ত্রপচারবিহীন পদ্ধতি যেখানে আপনি একটি শক্ত লেন্স পড়েন এবং তার ফলে আপনার করনিয়া পুনরাকার গঠন করে।
দর্শন চিকিৎসা পদ্ধতিঃ আপনার যদি চাপ সংক্রান্ত দৃষ্টিক্ষীণতা হয়ে থাকে তাহলে এটি খুব উপকারি। চক্ষু ব্যায়ামের পরামর্শ দেওয়া হয় আপনার লক্ষকে ভালো করার জন্য ও পরিষ্কার দূরদৃষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য।
Dr. Ajay Mohan (AIIMS)
MBBS, General Physician