সৌন্দর্যচর্চায় বরফ ও বাষ্পের ব্যবহার বেশ পুরোনো। পরস্পর বিপরীতধর্মী এ যৌগ ত্বকের নানা সমস্য সমাধানে বেশ কার্যকর। তবে এগুলোর ব্যবহারে চাই দক্ষ হাত। এ জন্য যাঁরা নিয়মিত পারলারে যান, তাঁরা হয়তো খেয়াল করেছেন, সেখানে বিভিন্ন ধরনের বিউটি ট্রিটমেন্টে নানাভাবে আইস এবং স্টিম ব্যবহার করে।
কারণ, ত্বকের ওপর কতটুকু তাপমাত্রা সহনীয় তা জানতে এবং বুঝতে হবে। তা না হলে হতে পারে হিতে বিপরীত। আর সে জন্য জেনে নিতে হবে কিছু কৌশল। তবেই না আপনি বাড়িতেও সৌন্দর্যচর্চায় এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকে বরফ ব্যবহারের উপকারিতাঃ
* ত্বকের ইনফ্ল্যামেশন, রেডনেস, অ্যালার্জি ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে বরফ।
* ঘন ঘন মুখ ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে, মেকআপে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এখানেও সমস্যার সমাধান করবে বরফ। মেকআপ করার কিছুক্ষণ আগে পাঁচ মিনিট পুরো মুখে বরফ চেপে চেপে লাগান। ঘাম কম হবে।
* ডার্ক সার্কল, পাফি আইস ইত্যাদি কমাতেও বরফ খুব কার্যকর।
* ফেসিয়াল থ্রেডিংয়ের পর অনেকেরই মুখে র্যাশ হয়। মুখে মিনিট পাঁচেক বরফ ঘষে নিলেই র্যাশ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

* আইব্রো বা আপারলিপ থ্রেড করার আগে ওই অংশে কিছুক্ষণ বরফ চেপে ধরুন। এতে ব্যথার অনুভূতি কম হবে।
* বরফ ব্যবহারে অসুবিধা থাকলে বরফ ঠান্ডা পানিও ব্যবহার করতে পারেন। একই ফল পাবেন।
* অ্যাকনে থেকে পুঁজ বা রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে অ্যাকনের ওপর খানিকক্ষণ বরফ চেপে রাখুন। অ্যাকনের ফোলাভাবও অনেক কমে যাবে।
ত্বকের নানা সমস্যায় বরফ এবং বাষ্প কাজে লাগালেও আর্দ্রতা কিংবা হাইড্রেশনের জন্য সাধারণ পানির কোনো বিকল্প নেই। তা ছাড়া বরফ এবং বাষ্প দুই-ই অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে আসতে পারে। বিশেষত স্টিমের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কারণ, পানির তাপমাত্রা প্রয়োজনাতিরিক্ত থাকলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। সপ্তাহে একবার বা দুবারের বেশি স্টিম নেওয়া বা বরফ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
©️প্রথম আলো