প্রথমত আপনাকে বলবো ভালো কোনো হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখান।
আর খাবারের অরুচি নিয়ে নিচের লিখাটা পড়তে পারেনঃ
মাঝেমধ্যে অনেকেই এমন সমস্যার কথা বলেন। কখনো সাধারণ জ্বর, সংক্রমণ, গ্যাস্ট্রিক আলসার বা ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় খাবারের রুচি কমে যায়। আপাত এই ছোট সমস্যাটি হতে পারে বড় মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ। সাধারণ ভাইরাস জ্বরেও খাদ্যে রুচি কমে যায়। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে সৃষ্টি করে বড় সমস্যা। এ সময় প্রচুর তরল ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়, যা পরিমাণে কম হলেও যেন শক্তি উৎপন্ন করতে পারে।
প্রচণ্ড অরুচি, বমিভাব এমনকি পছন্দের খাবারেও অনীহা দেখা দিলে লক্ষ করুন প্রস্রাব ও চোখের রং হলুদ হচ্ছে কি না। এটি হেপাটাইটিস বা জন্ডিসের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। কিডনি জটিলতায় খাবারে রুচি কমে যায়। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিসে খাদ্যনালির সংকোচন-প্রসারণ কমে যায় বলে অল্প খেলেই পেট ভরা মনে হয়। একবার খেলে অনেকক্ষণ আর খিদে পায় না। পেটে গ্যাস হলে বা বদহজম হলেও এমন বোধ হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া যেতে পারে। মানসিক চাপ ও বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলেও রুচি কমে যায়। ওজন হ্রাস নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ক্ষুধামান্দ্যর সৃষ্টি করে। বিভিন্ন ওষুধ বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক খাবারের রুচি কমিয়ে দিতে পারে। তবে অরুচির সঙ্গে অন্য কিছু ঝুঁকিপূর্ণ উপসর্গ থাকলে শিগগিরই কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। কেননা কেবল অরুচিই হতে পারে বিভিন্ন ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ। খেয়াল রাখুন অরুচির সঙ্গে ওজন কমে যাচ্ছে কি না, রক্তশূন্যতা আছে কি না, দুর্বলতা, খাবার গিলতে সমস্যা, পেটের ব্যথা, দীর্ঘদিনের হজমে গোলমাল, পেটে বা শরীরের কোথাও চাকা ইত্যাদি রয়েছে কি না। এসব লক্ষণ থাকলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। l
.
.
.
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিভাগ,
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।