সাইটোপ্লাজমঃ প্লাজমামেমব্রেন বা কোষঝিল্লীর ভেতরে কিন্তু নিউক্লিয়াসের বাইরের চারপাশে যে অর্ধতরল, দানাদার, অস্বচ্ছ, পদার্থ দেখা যায় তাকে সাইটোপ্লাজম বলে। সাইটোপ্লাজমের অন্যন্য কোষীয় অঙ্গানুকে বাদ দিলে মূল সাইটোপ্লাজম স্বচ্ছ জেলীর ন্যায় থকথকে অর্ধতরল বস্তু।
সাইটোসলঃ সাইটোপ্লাজমের বিভিন্ন উপাদান, হরমোন, এনজাইম, কো-এনজাইম, এন্ডপ্লাজমিক রেটিকুলাম কতৃক ক্ষরিত বস্তু ইত্যাদি বাদ দিয়ে শুধু যে জলীয় অংশ, প্রোটিন ও কিছু দ্রবনীয় লবনকে একত্রে সাইটোসল বলে। অথাৎ সাইটোসল হচ্ছে সাইটোপ্লাজমের জলীয় অংশ বা সাইটোপ্লাজমীয় মাতৃকা।
আগে অন্যন্য কোষীয় অঙ্গানু ব্যতিত পানি খনিজ, এনজাইম অন্যন্য জৈব পদার্থ এক সাথে হায়ালোপ্লাজম নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে এই হায়ালোপ্লাজমকে সাইটোসল বলে। সাইটোসল শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন 1965 সালে H.A Lardy তবে কোষীয় উপাদানের অংশ বিভিন্ন জৈব পদার্থকে বাদ দিয়া কিছু প্রোটিন পদার্থ ও জলীয় অংশকে সাইটোসল বলা হয়। কারন কোষ ভাঙ্গন বা ক্ষত হলে ক্ষরিত জলীয় রস ও সাইটোপ্লাজমের দ্রাব্য এক নয়। কাজেই
অন্যভাবে বলা যায় যে, একটি সজীব কোষ ভাঙ্গন বা ক্ষতিগ্রস্থর ফলে যে জলীয় তরল রস ক্ষরিত হয় তাকে সাইটোসল বলে। এটি ভগ্ন কোষের নির্যাস নামেও পরিচিত।
সাইটোসলের কাজের ধরনঃ সাইটোসল নিজে কোন কাজ করেনা। এটি কোষীয় অন্যন্য অঙ্গের কাজ, সাইটোপ্লাজম এর কাজে অংশগ্রহন করে ক্রিয়া বিক্রিয়া ও মেটাবলিক পদার্থ এনায়নে সাহায্য করে থাকে। কোষ বিভাজনের সময় ক্রোমোসোমসহ অন্যন্য কোষীয় অঙ্গানূর বিভক্ত হয়ে মেরুমুখী চলনে সাহায্য করে। ট্রান্সডাকশনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গানুতে প্রোটিন ও সুগার ও উপাদান পৌছে দেওয়ার কাজ করে থাকে। এটি কোষের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে। কোষীয় অন্যন্য অঙ্গানুকে প্রকোষ্ঠ রুপে একে অন্যের থেকে পৃথক রাখে। মাইটোকন্ড্রিয়ান সাইটোলস ক্রিস্টি গুলোকে প্রকোষ্ঠ রুপে বিভক্ত করে।
প্রোক্যারিওটিক বা আদি কোষে জিনোম বা DNA ধারন ও বহন করে। ব্যাকটেরিয়ার ক্রোমোসোম ও প্লাজমিডের ট্রান্সক্রিপশন, রেপ্লিকেশন, শক্তি উৎপাদন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করে এই সাইটোসল।
সূত্রঃ উত্তর অন্বেষা