যখন জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া কোনও ব্যাক্তিকে দেওয়া হয়, তখন মস্তিষ্ক ও শরীরে স্নায়ুর সংকেত ব্যাহত হয়। এইক্ষেত্রে, ব্যাক্তি সম্পূর্ন তাঁর আশেপাশের ব্যাপারে অজ্ঞাত থাকেন। এটা মস্তিষ্ককে অনুমতি দেয় না ব্যাথা অনুভুতি বোঝার জন্য ফলে অঙ্গটি/শরীরের সেই অংশটি যেটা অ্যানেস্থেসিয়া করা হয়েছে সেটা অবশ অবস্থায় থাকে।অ্যানেস্থেসিয়া শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে স্থির রাখতে সাহায্য করে, যেমন হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ এবং শরীরের স্ট্রেস হরমোন নির্গমণ।লোকাল বা রিজিওনাল অ্যানেস্থেসিয়াতে, ব্যাক্তি জেগেই থাকেন এবং চিকিৎসক অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগ করেন অপারেশনের জায়গায়, যেমন দাঁতের চিকিৎসায় মুখের মধ্যে, শ্রোণী-সংক্রান্ত ছোট অপারেশনের জন্যে পিঠের নীচের দিকে, এইরকমই আরো ক্ষেত্রেও। এক্ষেত্রে, যে জায়গায় অ্যানেস্থেসিয়া প্রবেশ করানো হয় শুধু সেই জায়গাটাই অবশ হয় এবং কোনওরকম ব্যাথা ছাড়াই সার্জারী বা শল্যচিকিৎসা সম্পন্ন হয়।
অ্যানেস্থেসিয়া সরাসরি মস্তিষ্কে প্রয়োগ করা হলে, মস্তিষ্কের কাজ অব্যাহত হবে এবং মস্তিষ্কের কাজ অব্যাহত হলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিবে। তবে মস্তিষ্কে অ্যানেস্থেসিয়া আজ পর্যন্ত কোথাও প্রয়োগ করা হয় নি (কোনো প্রমাণ নেই)। তাই এটি প্রয়োগ করলে আরও অজানা অনেক রোগও সৃষ্টি হতে পারে।