ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার কার্যকরি পদক্ষেপ গুলো কি কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
1,358 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (160 পয়েন্ট)

5 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (24,290 পয়েন্ট)

ডিপ্রেশন কী?

যে কেউ ডিপ্রেশনের কবলে পড়তে পারে। তবে সবার ডিপ্রেশনের কারণ এক নয়। মানুষের জীবনযাত্রা যেমন আলাদা ঠিক তেমনই ডিপ্রেশনও আলাদা। একজন ব্যক্তি অট্টালিকার উপরে বসে থাকলেও তার জীবনে ডিপ্রেশন উঁকি দিতে পারে। আবার একজন নুন ভাত খেয়েও শান্তিতে দিন যাপন করতে পারে। তাই ডিপ্রেশন এর সঙ্গে অর্থের কোন সম্বন্ধ নেই।

কি কি কারণে ডিপ্রেশন জীবনে প্রবেশ করে? 

অপমান বোধ

যদি কোন ব্যক্তি অন্য একজনের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অপমানিত হয় তাহলে যখন তার মনের মধ্যে চরম আঘাত লাগবে তখন সে ডিপ্রেশন এ ভুগবে। এটা দেখা দেয় যারা একটু লাজুক ধরনের মানুষ, যাঁদের আত্মমর্যাদাটা অন্যের কথার উপরে নির্ভর করে, নিজেকে সব সময় অন্য সবার থেকে কম ভাবে, যারা নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে তাঁদের ডিপ্রেশন এ ভোগার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়।

একাকিত্ব

কোন মানুষ যদি অনেক লোকজন পছন্দ করে, কোলাহল পছন্দ করে, কিন্তু কোন কারণে সে যদি পরে একাকী জীবন যাপন করতে বাধ্য হয় কিংবা অন্য কারো কথায় আঘাত পেয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয় সে তখন নিজেকে অসহায় বোধ করে এবং একাকিত্বের যন্ত্রণা তার মনে অসহ্য হয়ে কাটার মতো বিঁধতে থাকে আর পরবর্তীতে সেটাই ডিপ্রেশন এ পরিণত হয়। কিংবা যারা দিনের পর দিন একা থাকে বিশেষ কারো সঙ্গে মেশে না তারা ও অনেক সময় নিজেকে পৃথিবীর মধ্যে অসহায় ব্যক্তি মনে করে ডিপ্রেশনে ভোগে।

বংশগত কারণ

কিছু কিছু পরিবারে এমন অনেক ব্যক্তি থাকেন যারা তাদের বংশের বোঝা বয়ে ডিপ্রেশন এর শিকার হন। এদের সব বিষয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। একটা সহজ সরল কথাও সহজ ভাবে না ভেবে জটিল আকার তৈরি করে, ফলে নার্ভে সব সময় চাপ সৃষ্টি হয়। এভাবে চলতে চলতে একটা সময়ের পরে মনে ডিপ্রেশন বাসা বাঁধে। এমন অনেক পরিবারই আছে যাঁদের বংশে একজন না একজন ডিপ্রেশন এর শিকার হয়।

বর্তমান জীবনে কোন বড় পরিবর্তন এলে 

মানুষের জীবন সব সময় এক নিয়মে চলে না।চলতি পথে এমন অনেক সময় আসে যেই সময় টা পুরো জীবনেরই মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই সময়ে যারা নিজেকে সামলাতে জানে তারা অনেক দৃঢ় এগিয়ে যায় কিন্তু যারা এই ধাক্কা সামলাতে না পারে তারা ডিপ্রেশন এ চলে যায়। ধরুন কেউ একজন  কোন বড় অফিসে চাকরি করে কোন একটি কারণে তার চাকরিটা চলে গেল। এই সময় তার আগের জীবন যাত্রায়  পরিবর্তন আসবে, তার পরিবারের বিলাসিতা বন্ধ হবে, তার চলার ধরন পাল্টে যাবে, ফলে এই সময় সে যদি নিজেকে শক্ত করে না ধরে থাকতে পারে তাহলে তার মনে ডিপ্রেশন আসাটা কেবল সময়ের অপেক্ষা। তাই জীবনে হঠাৎ যদি কোন বড় পরিবর্তন আসে তাহলে তাকে মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

ডিপ্রেশন এর লক্ষণ:

হতাশা, রাগ, দুঃখ, সব সময় মন খারাপ হওয়া ভাব,মনে সংশয়, দোদুল্যমানতা, বিরক্তি, খিদে ও ঘুম ভীষণ কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, কারো সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে না করা, শব্দ বা আলোতে বিরক্তি, হঠাৎ করে প্ল্যানিং ছাড়াই দেহের ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, মাথা ব্যথা, সব কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগা, কোন কিছুতে ই আনন্দ না পাওয়া বা মনোনিবেশের অভাব, সারা গায়ে, হাতে পায়ে ও পেটে  ব্যথা অনুভব করা,ক্লান্তি, নিজেকে সব কিছু থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রবণতা।

এর মধ্যে যে কোন পাঁচটি বা ততোধিক লক্ষণ যদি আপনার মধ্যে দু`সপ্তাহের ও বেশি সময় ধরে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া আপনার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে। কারণ এই সব সমস্যা বেশি দিন ধরে পুষে রাখা মানে রোগকে আরো জটিল করা। অর্থাৎ মাইনর ডিপ্রেশন টার্ন করতে পারে মেজর ডিপ্রেশনে। অবশ্য ডিপ্রেশন কে কোনও অর্থেই কিন্তু জটিল রোগ বলা উচিত হবে না।বরং এটাকে বলা যেতে পারে অসুবিধা।এটা মন খারাপ থেকে তৈরি হওয়া শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা থমকে যেতে পারে কমতে  পারে জীবনের মান।

মেজর ডিপ্রেশন

যখন ডিপ্রেশন এর লক্ষণ গুলো অত্যন্ত প্রকটভাবে দীর্ঘদিন ধরে বহাল তবিয়তে থাক অথবা কিছু দিন পর পরই দেখা দেয় তখন তাকে মেজর ডিপ্রেশন বলে। মেজর ডিপ্রেশন থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়।

মাইনর ডিপ্রেশন

মাইনর ডিপ্রেশন জীবনের কোন একটা সময়ে কোনও দুঃখজনক ঘটনা বা পরিবেশের কারণে দেখা দেয়। এই সময় কাছের মানুষের সান্নিধ্য ভীষণ প্রয়োজন হয়।

অ্যাটিপিকাল ডিপ্রেশন

এটা মেজর ডিপ্রেশনেরই একটা ধরণ। যদিও এক্ষেত্রে ওষুধ এবং সাইকোলজিকাল কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। এই সময় মানুষের সঙ্গে কথা বলা উচিত। মনোরম পরিবেশে যাওয়া দরকার তাহলে কিছুটা হলেও মন থেকে ডিপ্রেশন চলে যাবে।

অবসাদগ্রস্ত মানুষ জনের রক্তে ভিটামিন-ডি এর অভাব থাকলেও ডিপ্রেশন আসে। তবে ভিটামিন - ডি এর সঙ্গে ডেফিশিয়েস এর মধ্যে অবসাদ বা ডিপ্রেশন সম্পর্ক নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়-

. বাস্তববাদী লক্ষ্য ঠিক করুন :
ডিপ্রেশন থেকে নিজেকে দূরে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখা। এজন্য হালকা ধরনের, সহজ, ছোট-খাট, এক বা দুই দিনের লক্ষ্য আমাদের সাহায্য করতে পারে। সেই সাথে একটি যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ দায়িত্ব গ্রহণ। কারণ, কাজে ব্যস্ত থাকলে আমরা নিজেদের অপ্রয়োজনীয় সমস্যার দিকে মনোযোগ কম দিতে পারব। আমাদের যে কোন কারণে মন খারাপ বা ভাল এটা বোঝার জন্যেও সময় দরকার। সেই সময়টা যদি আমারা নিজেদের ব্যস্ত রাখি তাহলে এটি আমাদের ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

২. আপনজন বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো :
বিষন্নতায় একা থাকার চেয়ে বরং তাদের সাথে সময় কাটানো উচিত যাদের সাথে আমাদের থাকতে ভাল লাগে অথবা যাদের সাথে কথা বলে আমরা আরাম পাই। আমাদের এমন অনেক বন্ধুমহলই থাকে যাদের সাথে কখনো মন খারাপ করে থাকা যায় না বরং সেখানে সব সময় হাসি-ঠাট্টা হয়। এমন বন্ধুমহলের সাথে সময় কাটালে তা আমাদের সময় এবং মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। এমনকি বিষণ্ণতার কারণ নিয়েও তাদের সাথে কথা বললে ভালো লাগতে পারে। আপনজনদের সাথে গল্প গুজব করাটিও মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট।

৩. ইতিবাচকতা (Positivity)খোঁজা:
ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার প্রথম শর্তই হচ্ছে  সব কিছুর খারাপ দিক চিন্তা করা, নেতিবাচকতা খোঁজা। হয়তোবা, আমরা জানিই যে এই কাজটি আমরা করতে পারব তারপরও শুধুমাত্র বিষণ্ণতার কারণে আমরা তার খারাপ দিকটা ভাবতে শুরু করি।

যা করা উচিত তা হল যত বাধাই থাকুক, যত নেতিবাচক চিন্তা ভাবনাই আসুক আমাদের সবার আগে নিজেদের মাঝে আলো জ্বালাতে হবে। নিজের মধ্যে থেকেই ইতিবাচকতা খুঁজে বের করতে। “এই কাজ শুধুমাত্র আমি ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না।”– এই ইতিবাচকতা আমাদের নিজেদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। একমাত্র তখনই নেতিবাচকতাকে দূর করা সম্ভব।
 

৪. ধ্যান বা শরীরচর্চামূলক কাজ করা:
আমরা সবাই জানি যে আমাদের শরীর ও মন পরস্পর সংযুক্ত। তাই আমাদের মনকে ভাল রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের একটি সুস্থ শরীর বজায় রেখে চলতে হবে। এজন্য আমাদের দরকার উপযুক্ত খাদ্যের পাশাপাশি ধ্যান বা শরীরচর্চামূলক কাজ করা।

কিছু শারীরিকভাবে নিঃসৃত হরমন রয়েছে যেগুলো আমাদের মন ভাল রাখতে ভূমিকা রাখে। এই হরমোনকে বলা হয় “এন্ড্রোফিন”। নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদের দেহ থেকে এ হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে। যা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এজন্য আমার বিষণ্ণতা কমানোর জন্য নিয়মিত সাইকেল চালানো, সাঁতার, ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি-এসব করতে পারি। এতে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য দুটোই বেশ ভালো থাকবে।

৫. সুস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া:
হাভার্ড মেডিকাল কলেজের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটি সুস্বাস্থ্যকর ডায়েট বিষণ্ণতা থেকে উত্তরণে বা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এমনকি এটাও দেখা গেছে যে কিছু ময়দার আটা জাতীয় খাবার ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

এজন্য বিষণ্ণতা দূরীকরণে আমাদের দৈনন্দিন খাবারের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। ভিটামিন বি, সি, ডি এবং আয়রনযুক্ত খাবার মন ও শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। এজন্য আমরা নিয়মিত শাক-সবজি, ফলমূল বা ফলের জুস খেতে পারি। সেই সাথে পরিমিত পরিমাণ পানিও পান করতে হবে। ক্যাফেইন এবং মদ জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকা উত্তম।

৬. পছন্দের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা:
বিষণ্ণতায় আমাদের অপছন্দের বা কঠিন কাজ করতে ইচ্ছা করে না। স্বাভাবিকভাবেই সেই সব কাজে আমাদের মন বসতে চায় না। এমন সময় আমাদের সেই কাজ গুলো করা উচিত যা আমাদের আনন্দ দেয়, কঠিন কাজ হলেও করতে ভাল লাগে।

পুরানো সেই সব কাজ যা একসময় করা হত এবং ভালোও লাগতো কিন্তু এখন করা হয় না এসব কাজও আমরা করতে পারি। এই কাজগুলো হতে পারে, ঘুরতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া, বই পড়া, সিনেমা দেখা, গান শোনা, রান্না করা বা যে কোন কাজ যা আপনার ভালো লাগে সেসব কিছুই বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে।

৭. প্রার্থনা:
প্রতিটি মানু্ষই বাঁচে আশার মাধ্যমে। আর এই আশা পূর্ণতা পায় বিশ্বাসের মাধ্যমে। এই বিশ্বাস ধর্মের প্রতি, সৃষ্টিকর্তার প্রতি। সাধারণত মানুষ যখন ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতায় ভোগে তখন তাদের কোন আশার বিঘ্ন ঘটে যার ফলে তারা ধীরে ধীরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে শুরু করে। এমন সময় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ, নিজের বিশ্বাসকে শক্ত করার মাধ্যমে মানুষ শক্তি খুঁজে পায়।

সাইকোলজিস্টদের মতে, বিষণ্ণতায় নিজ নিজ ধর্মের প্রার্থনা মন ভালো করতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

. প্রকৃতির কাছে যাওয়া:
বর্তমান যুবসমাজ বিষণ্ণতা দূর করতে সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করতে পছন্দ করে তা হল স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে বিরতি নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা।

মানু্ষের মনের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক সেই আদিকাল থেকেই। আবহাওয়ার সামান্য পরির্বতন মানুষের মনে যেভাবে দোলা দেয় সেইভাবে তা বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে। সুন্দর কোন প্রাকৃতিক জায়গায় গিয়ে মানু্ষ চায় সবকিছু কিছুক্ষণের জন্যে ভুলে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে। এইভাবে প্রাকৃতিক জায়গায় ঘুরতে যাওয়াও বিষণ্ণতা কাটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

৯.​​​​​​​​​ ধৈর্য ধারণ: 
মানুষ যখন বিষণ্ণতায় থাকে তাদের মধ্যে কাজ করে অস্থিরতা। যেকোন সমস্যার তারা চায় তাৎক্ষণিক বা দ্রুত সমাধান। আর এ সমাধান না পেলে তারা আরো বেশি বিষণ্ণ হয়ে পড়ে।

এই সময় আমাদের সবচেয়ে বেশি যা করা দরকার তা হল ধৈর্য ধারণ। আমাদের মনে বিশ্বাস রাখতে হবে যে সব কিছুর সমাধান আছে এবং সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রতিটি কাজের মাঝেই আমাদের বিশ্বাস আর ধৈর্য ধারণ করে আগাতে হবে। আমাদের এতটুকু মাথায় রাখতেই হবে যে, বিষণ্ণতা একবারে যাবে না। ধীরে ধীরে মানসিক শান্তি আসবে। বিষণ্ণতা কমে যাবে।
 

বিষণ্ণতা একটি মানসিক ব্যাধিবাহিরের যত চিকিৎসা বা পরামর্শই নেওয়া হোক নিজে থেকে সর্বাত্মক চেষ্টাই বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার প্রাথমিক উপায়

Sources-

1. SomoyTv Blog
2. Spikestory

0 টি ভোট
করেছেন (140 পয়েন্ট)
ডিপ্রেশন এমন এক বিষয় যেটা থেকে বের হওয়া অনেক কঠিন।তবুও কিছু বিষয় শেয়ার করতে চাইঃ

১.ডিপ্রেশড হওয়ার কারন কি সেটা খুজে বের করুন।

২.নিজের পছন্দের মানুষের সাথে কথা বলুন

৩।গান শুনতে পারেন।

৪।নিজের কোন বিষয়টা করতে ভাল লাগে ওইটাও করুন।

৫।ভয়কে জয় করুন।

৬।সমস্যার কথা না ভেবে সমাধান নিয়ে চিন্তা করুন।

৭।অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না।
0 টি ভোট
করেছেন (220 পয়েন্ট)
1. Delete Facebook.

2. Spend time with family and friends.

3. Discuss your insides with close friends.

4. Take some me time. Try to watch movies or read books. If you can, listen to some podcasts. I will suggest Perspective Podcast with Yahia Amin.

5. Don't let your past, destroy your present.

6. If possible take medical care.
0 টি ভোট
করেছেন (140 পয়েন্ট)

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়:

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা যেহেতু মানসিক ব্যাধি সেহেতু আমাদের উচিত সর্বপ্রথম সেটাকে নিজে থেকেই প্রতিকারের চেষ্টা করা। সেগুলো হতে পারে–

১. বাস্তববাদী লক্ষ্য ঠিক করুন :

ডিপ্রেশন থেকে নিজেকে দূরে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখা। এজন্য হালকা ধরনের, সহজ, ছোট-খাট, এক বা দুই দিনের লক্ষ্য আমাদের সাহায্য করতে পারে। সেই সাথে একটি যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ দায়িত্ব গ্রহণ। কারণ, কাজে ব্যস্ত থাকলে আমরা নিজেদের অপ্রয়োজনীয় সমস্যার দিকে মনোযোগ কম দিতে পারব। আমাদের যে কোন কারণে মন খারাপ বা ভাল এটা বোঝার জন্যেও সময় দরকার। সেই সময়টা যদি আমারা নিজেদের ব্যস্ত রাখি তাহলে এটি আমাদের ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

“Keep yourself busy if you want to avoid depression. For me, inactivity is the enemy.” — Matt লুচাস

২. আপনজন বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো :

বিষন্নতায় একা থাকার চেয়ে বরং তাদের সাথে সময় কাটানো উচিত যাদের সাথে আমাদের থাকতে ভাল লাগে অথবা যাদের সাথে কথা বলে আমরা আরাম পাই। আমাদের এমন অনেক বন্ধুমহলই থাকে যাদের সাথে কখনো মন খারাপ করে থাকা যায় না বরং সেখানে সব সময় হাসি-ঠাট্টা হয়। এমন বন্ধুমহলের সাথে সময় কাটালে তা আমাদের সময় এবং মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। এমনকি বিষণ্ণতার কারণ নিয়েও তাদের সাথে কথা বললে ভালো লাগতে পারে। আপনজনদের সাথে গল্প গুজব করাটিও মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট।

৩. ইতিবাচকতা (Positivity) খোঁজা :

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার প্রথম শর্তই হচ্ছে  সব কিছুর খারাপ দিক চিন্তা করা, নেতিবাচকতা খোঁজা। হয়তোবা, আমরা জানিই যে এই কাজটি আমরা করতে পারব তারপরও শুধুমাত্র বিষণ্ণতার কারণে আমরা তার খারাপ দিকটা ভাবতে শুরু করি।

যা করা উচিত তা হল যত বাধাই থাকুক, যত নেতিবাচক চিন্তা ভাবনাই আসুক আমাদের সবার আগে নিজেদের মাঝে আলো জ্বালাতে হবে। নিজের মধ্যে থেকেই ইতিবাচকতা খুঁজে বের করতে। “এই কাজ শুধুমাত্র আমি ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না।”– এই ইতিবাচকতা আমাদের নিজেদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। একমাত্র তখনই নেতিবাচকতাকে দূর করা সম্ভব।

“Sometimes your joy is the source of your smile, but sometimes your smile can be the source of your joy.” — Thich Nhat হানহ

৪.  বা শরীরচর্চামূলক কাজ করা :

আমরা সবাই জানি যে আমাদের শরীর ও মন পরস্পর সংযুক্ত। তাই আমাদের মনকে ভাল রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের একটি সুস্থ শরীর বজায় রেখে চলতে হবে। এজন্য আমাদের দরকার উপযুক্ত খাদ্যের পাশাপাশি ধ্যান বা শরীরচর্চামূলক কাজ করা।কিছু শারীরিকভাবে নিঃসৃত হরমন রয়েছে যেগুলো আমাদের মন ভাল রাখতে ভূমিকা রাখে। এই হরমোনকে বলা হয় “এন্ড্রোফিন”। নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদের দেহ থেকে এ হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে। যা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এজন্য আমার বিষণ্ণতা কমানোর জন্য নিয়মিত সাইকেল চালানো, সাঁতার, ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি-এসব করতে পারি। এতে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য দুটোই বেশ ভালো থাকবে।

৫. সুস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া :

হাভার্ড মেডিকাল কলেজের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটি সুস্বাস্থ্যকর ডায়েট বিষণ্ণতা থেকে উত্তরণে বা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এমনকি এটাও দেখা গেছে যে কিছু ময়দার আটা জাতীয় খাবার ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

এজন্য বিষণ্ণতা দূরীকরণে আমাদের দৈনন্দিন খাবারের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। ভিটামিন বি, সি, ডি এবং আয়রনযুক্ত খাবার মন ও শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। এজন্য আমরা নিয়মিত শাক-সবজি, ফলমূল বা ফলের জুস খেতে পারি। সেই সাথে পরিমিত পরিমাণ পানিও পান করতে হবে। ক্যাফেইন এবং মদ জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকা উত্তম।

৬. পছন্দের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা :

বিষণ্ণতায় আমাদের অপছন্দের বা কঠিন কাজ করতে ইচ্ছা করে না। স্বাভাবিকভাবেই সেই সব কাজে আমাদের মন বসতে চায় না। এমন সময় আমাদের সেই কাজ গুলো করা উচিত যা আমাদের আনন্দ দেয়, কঠিন কাজ হলেও করতে ভাল লাগে।

পুরানো সেই সব কাজ যা একসময় করা হত এবং ভালোও লাগতো কিন্তু এখন করা হয় না এসব কাজও আমরা করতে পারি। এই কাজগুলো হতে পারে, ঘুরতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া, বই পড়া, সিনেমা দেখা, গান শোনা, রান্না করা বা যে কোন কাজ যা আপনার ভালো লাগে সেসব কিছুই বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে।

৭. প্রার্থনা :

প্রতিটি মানু্ষই বাঁচে আশার মাধ্যমে। আর এই আশা পূর্ণতা পায় বিশ্বাসের মাধ্যমে। এই বিশ্বাস ধর্মের প্রতি, সৃষ্টিকর্তার প্রতি। সাধারণত মানুষ যখন ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতায় ভোগে তখন তাদের কোন আশার বিঘ্ন ঘটে যার ফলে তারা ধীরে ধীরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে শুরু করে। এমন সময় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ, নিজের বিশ্বাসকে শক্ত করার মাধ্যমে মানুষ শক্তি খুঁজে পায়।

সাইকোলজিস্টদের মতে, বিষণ্ণতায় নিজ নিজ ধর্মের প্রার্থনা মন ভালো করতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

 

 

” Once you choose hope, anything is possible.” — Christopher reeve

৮. প্রকৃতির কাছে যাওয়া :

বর্তমান যুবসমাজ বিষণ্ণতা দূর করতে সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করতে পছন্দ করে তা হল স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে বিরতি নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা।

মানু্ষের মনের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক সেই আদিকাল থেকেই। আবহাওয়ার সামান্য পরির্বতন মানুষের মনে যেভাবে দোলা দেয় সেইভাবে তা বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে। সুন্দর কোন প্রাকৃতিক জায়গায় গিয়ে মানু্ষ চায় সবকিছু কিছুক্ষণের জন্যে ভুলে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে। এইভাবে প্রাকৃতিক জায়গায় ঘুরতে যাওয়াও বিষণ্ণতা কাটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

৯. ধৈর্য ধারণ :

মানুষ যখন বিষণ্ণতায় থাকে তাদের মধ্যে কাজ করে অস্থিরতা। যেকোন সমস্যার তারা চায় তাৎক্ষণিক বা দ্রুত সমাধান। আর এ সমাধান না পেলে তারা আরো বেশি বিষণ্ণ হয়ে পড়ে।

এই সময় আমাদের সবচেয়ে বেশি যা করা দরকার তা হল ধৈর্য ধারণ। আমাদের মনে বিশ্বাস রাখতে হবে যে সব কিছুর সমাধান আছে এবং সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রতিটি কাজের মাঝেই আমাদের বিশ্বাস আর ধৈর্য ধারণ করে আগাতে হবে। আমাদের এতটুকু মাথায় রাখতেই হবে যে, বিষণ্ণতা একবারে যাবে না। ধীরে ধীরে মানসিক শান্তি আসবে। বিষণ্ণতা কমে যাবে।

“A positive attitude gives you power over your circumstances instead of your circumstances having power over you.” — Joyce Meyer

বিষণ্ণতা একটি মানসিক ব্যাধি। বাহিরের যত চিকিৎসা বা পরামর্শই নেওয়া হোক নিজে থেকে সর্বাত্মক চেষ্টাই বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার প্রাথমিক উপায়। আর এতটুকু মনে রাখতে হবে যে,

” Ring the bells that still can ring. Forget your perfect offering. There is a crack, a crack in everything. That’s how the light gets in.”

এই লেখাটা নেয়া হয়েছে Spikestory ব্লগ থেকে।

 

0 টি ভোট
করেছেন (1,210 পয়েন্ট)
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ঃ

 

 

জীবনে কোনো না কোনো সময় আমরা সবাই কমবেশি বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশনে ভুগেছি। কারো ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন এর মাত্রা অনেক বেশি,আবার কারো ক্ষেত্রে অনেক নগণ্য। তবে আমাদের মাঝে অনেকর মাঝেই ডিপ্রেশনকে মন খারাপে বলে চালিয়ে দাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। অর্থাৎ আমরা চেষ্টা করি আমাদের মানসিক রোগ গুলোকে পাশ কাটিয়ে চলেতে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশন ভুগতে থাকলে মানসিক নানান সমস্যার সাথে সাথে শারীরিক অনেক সমস্যাও দেখা দেয়। তাই চলুন বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন দূর করার ১০ টি উপায় এবার জেনে নেই।

 

 

 

 

 

০১/ ডিপ্রেশনে কারণ সম্পর্কে জানাঃ

সমস্যার সমাধান প্রাথমিক এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সমস্যা সম্পর্কে অবগত হওয়া। সেটি কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যায় হোক কিংবা যে কোন পার্থিব সমস্যাই হোক না কেনো। কেননা সমস্যা নির্দিষ্ট করা না গেলে সমাধান পাওয়াটা বেশ দুষ্কর। তাই যখনই আপনার কাছে মনে হবে আপনি বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন অনুভব করছেন তখনই চেষ্টা করুন ডিপ্রেশনের কারণ খুঁজে বের করতে। একবার আপনি ডিপ্রেশনে কারণটা খুঁজে বের করতে পারলে, সহজেই ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত হওয়ার পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারবেন। আর সঠিক কারণ বের করতে ব্যর্থ হলে, অনেক চেষ্টা করেও প্রকৃত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। তাই শুরুতেই সঠিকভাবে নিজের ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা কারণটি নির্ণয় করুন।

 

 

 

০২/ আনন্দের উৎস খুঁজে বের করুনঃ

ব্যক্তি হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু জিনিসের প্রতি একটু বাড়তি দুর্বলতা থাকে। আমাদের প্রত্যেকেরই এমন কিছু পছন্দের জিনিস আছে যেগুলো আমাদের সব সময় আনন্দ দিয়ে থাকে। নিজের অজান্তেই আমরা ঐ সকল বিষয় বা অনুভূতির মাঝে আনন্দ খুঁজে পাই। তাই ব্যক্তি হিসেবে আপনি কেমন এবং কোন বিষয়টি আপনাকে আনন্দ দিচ্ছে সেটি খুঁজে বের করুন। চেষ্টা করুন যখনই আপনি বিষন্নতা বা ডিপ্রেশনে ভুগছি তখন আপনার ভালোলাগার কাজগুলো বেশি বেশি করতে।

 

 

 

০৩/ নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন নাঃ

আপনি খেয়াল করলে হয়তো দেখবেন আমাদের আশেপাশে প্রত্যেকটি মানুষই “পারফেক্ট” হতে চেষ্টা করে। আমরা সবাই এটা যদিও জানি পৃথিবীতে কেউই পারফেক্ট নয়, তবুও আমরা সর্বদা নিজেকে পারফেক্ট হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করি। হয়তো কোনো কোনো গুণের দিক থেকে অন্য একজন মানুষ আপনার থেকে অনেক ভালো। সে হয়তো বিশেষ কোনো গুণ বা দক্ষতার ধারা সবাইকে মুগ্ধ করছে। কিন্তু তারও অনেক ভুল-ত্রুটি এবং দুর্বলতা রয়েছে। হয়তো আপনার চোখে পড়ছে না কিংবা তিনি সবার সামনে নিজেকে সবসময় পার্ফেক্ট হিসেবে উপস্থাপন করছেন। তাই নিজের কোনো দুর্বলতা কিংবা ত্রুটি থাকলে সেটি নিয়ে অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করবেন না। তবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন নিজের দুর্বলতাকে দ্রুত কাটিয়ে উঠতে।

 

 

 

০৪/ নেতিবাচক চিন্তা বন্ধ করুনঃ

আমাদের মস্তিস্ক সবসময় কোনো না কোনো চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। হয়তো সেটাই ইতিবাচক চিন্তা না হয় নেতিবাচক অথবা একেবারেই অবান্তর চিন্তা চেতনা। নেতিবাচক চিন্তা আমাদের মাঝে মানসিক চাপের সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন এই মানসিক চাপের ফলে আমরা ধীরে ধীরে বিষন্নতায় বা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। তাই চেষ্টা করুন সবসময়ই পজেটিভ থাকতে অর্থাৎ ইতিবাচক চিন্তা গুলো বেশি করতে। নিজের চিন্তা ও কল্পনার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে শিখুন।

 

 

 

০৫/ প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানঃ

 আমাদেরকে সবচেয়ে ভালো বুঝে আমাদের প্রিয়জনরা। তারা জানে কোন বিষয়টি আমাদেরকে আনন্দ দেয় এবং কোন বিষয়টি আমাদের বেদনা দেয়। তাই কখনো বিষন্নতা অনুভব হলে প্রিয়জনের সাথে সে বিষয়গুলো শেয়ার করতে পারেন। হয়তো আপনার অনেক সমস্যা আপনি নিজে বুঝতে পারছেন না কিংবা সমাধান বের করতে পারছেন না। আপনার প্রিয়জন হয়তো তার অতীতে কোনো অভিজ্ঞতা কিংবা ভালো কোন পরামর্শের মাধ্যমে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। সপ্তাহে কিংবা সম্ভব হলে প্রতিদিন কিছু সময় প্রিয়জনের সাথে অতিবাহিত করুন।

 

 

 

০৬/ সবাইকে বলে বেড়াবেন নাঃ

আপনি বিষন্ন বা ডিপ্রেসড থাকলে কখনোই সবাইকে নিজের বিষন্নতা বা ডিপ্রেশনের কথা বলে বেড়াবেন না। কেউ কেউ হয়তো আপনাকে সাময়িক সময়ের জন্য সান্তনা দিতে পারে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফল হিতের বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। অর্থাৎ আপনি হয়তো কাউকে নিজের বিষন্নতা বা ডিপ্রেশনের কথা বললেন, অপরজন হয়তো আপনার এই বিষন্নতা নিয়ে হাসিঠাট্টা শুরু করে দিল। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে, সেই ব্যক্তি হয়তো আপনার বিষণ্ণতার কথা সবাইকে বলে বেড়াতে শুরু করলো। ফলশ্রুতিতে আপনার বিষন্নতা কমা তো দূরেই থাক, আপনি আরো বেশি মানসিক চাপ এবং অশান্তিতে ভুগতে শুরু করবেন। যার ফলে আপনার বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন আরো বেড়ে যাবে। তাই চেষ্টা করুন নিজের একান্ত বিশ্বস্ত মানুষের কাছেই কেবল নিজের বিষণ্ণতার কথাগুলো বলতে।

 

 

 

০৭/ নিজেকে গুটিয়ে নিবেন নাঃ

যখনই কোন মানুষ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ তারা নিজেদেরকে গুটিয়ে নেন। নিজের স্বাভাবিক কার্যক্রম গুলোও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। এই মুহুর্তে আপনি হয়তো ভাবতে পারেন একা একা থাকলেই হয়তো সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দেখা যায়, যখন একা থাকা শুরু করবেন আপনার মাঝে আরও বেশি একাকিত্ব ভাব চলে আসবে এবং আপনার বিষণ্নতা আরো বাড়তে থাকবে। তাই বিষন্নগ্রস্থ হলে বা ডিপ্রেশনে ভুগলে একা না থেকে বরং সবার সাথে মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করুন। সবার সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন। ভাবের আদান-প্রদান ঘটলে আপনার মন যেমন ভালো থাকবে ঠিক তেমনি ধীরে ধীরে আপনার ডিপ্রেশনও কেটে যাবে। অনেক সময় দেখা যায় কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার মন খারাপ কিংবা বিষন্নগ্রস্ততার দোহাই দিয়ে,সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করি না। পরবর্তীতে,আমরা যখন সেই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বন্ধুর কাছে দেখতে পাই, তখন আরো বেশি বিষন্ন হয়ে পড়ি। তখন ভাবতে থাকি আমি আমি ছাড়া সবাই অনেক সুখী। সব সময় চেষ্টা করবেন ডিপ্রেশন আক্রান্ত হলে নিজেকে গুটিয়ে না রেখে, সবার সাথে মিলেমিশে চলতে।

 

 

 

০৮/ ধর্মীয় ও সমাজকল্যাণমূলক কাজ করুনঃ

ধর্মীয় ও বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজ মনস্তাত্ত্বিকভাবে শান্তি দিতে পারে। মানুষ যখন বিষণ্নতায় গ্রস্থ থাকে তখন তার আশার বিঘ্ন ঘটে। ফলে ধীরে ধীরে তার মাঝে আত্মবিশ্বাস এবং শান্তির অভাব দেখা দেয়। প্রার্থনা এবং ধর্মীয় কার্যক্রম মানুষের মাঝে নতুনভাবে আশা ও বিশ্বাসের সৃষ্টি করে। একইভাবে আপনি যখন সমাজকল্যাণমূলক কাজ করবেন, সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করবেন, তখন দেখবেন আপনি মানসিকভাবে অনেক শান্তি পাচ্ছেন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 745 বার দেখা হয়েছে
12 ফেব্রুয়ারি 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Pushpita Roy (5,630 পয়েন্ট)
+7 টি ভোট
1 উত্তর 377 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 341 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 213 বার দেখা হয়েছে
17 মে 2023 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Athaher Sayem (1,750 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 399 বার দেখা হয়েছে
08 অক্টোবর 2021 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,579 জন সদস্য

77 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 75 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...