শরীরে অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হওয়া যেমন কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, শরীরে উপস্থিত অন্য কোনো রোগের কারণে হতে পারে আবার তেমনি কোনো কারণ ছাড়াও এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রথমে কাদের এবং কেন ঘাম বেশি হয় সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
১. যাদের ডায়াবেটিস আছে।
২. মেনোপজে আছেন যারা।
৩. কোনো ধরনের ইনফেকশন থাকলে।
৪. ব্লাড সুগার কম হলে।
৫. থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে।
৬. লিউকেমিয়া থাকলে।
৭. কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
৮. দুশ্চিন্তা, হতাশা।
৯. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকা।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তবে এ থেকে মুক্তিরও উপায় আছে। কয়েকটি খাবার আপনার খাদ্য তালিকায় রাখার মাধম্যে উপকৃত হতে পারেন।
১.পানি
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে আপনার শরীর ঠাণ্ডা ও হাইড্রেট থাকবে। আর শরীর হাইড্রেট থাকলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
২.উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার
উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন ওটস ও শস্যাজাতীয় খাবার হজম ভালো রাখে। আর হজম ঠিকমতো হলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অত্যধিক ঘাম হয় না।
৩.ফল
অনেক ফল যেমন- আপেল, আঙুর, তরমুজ, আনারস, কমলায় পানি থাকে, তা ঘাম কম হতে সাহায্য করে। আর এ ফলগুলো খেলে সাধারণত শরীরে বাজে গন্ধ তৈরি হয় না।
৪.সবজি
আপনার খাদ্যতালিকায় শসা, লেটুস, লাল বাঁধাকপি রাখুন, যাতে যথেষ্ট পরিমাণ পানি রয়েছে এবং এগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৫.গ্রিন টি
গ্রিন টি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং এর একটি প্রভাব রয়েছে, যা স্নায়ুতন্ত্রকে ঠাণ্ডারাখতে এবং ঘাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৬.অলিভ অয়েল
রান্নার কাজে অলিভ অয়েলের ব্যবহার মেটাবলিজম বাড়িয়ে হজম ভালো রাখে। অলিভ অয়েলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ঘাম কম হয়।
ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এবং অ্যালকোহল থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
সূত্র: হেলথ শটস।