উচ্চতা ভীতির কারণ কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
427 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (33,350 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
উচ্চতা ভীতি তখনই হয় যখন আমরা স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক উঁচু কোন স্থানে উঠে থাকি। এই অধিক উচ্চতার কারণে আপনার স্বাভাবিক অবস্থানের সাথে উঁচুতে অবস্থানের কিছু পরিবেশগত পার্থক্য ঘটে। এসকল পার্থক্যের মধ্যে বায়ুর চাপের পরিবর্তন, তাপমাত্রার পরিবর্তন, অক্সিজেনের ঘনমাত্রা হ্রাস প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

ভূমিতে আমরা নির্দিষ্ট একটি বায়ুচাপ বা তাপমাত্রায় থেকে অভ্যস্ত। আবার অক্সিজেনের ঘনমাত্রারও খুব একটা তারতম্য হয় না। ফলে আমাদের বডি সেল গুলো একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেয়। এখন আপনি যখন উঁচু কোন স্থানে উঠবেন সেখানে এই উপাদানগুলোর পরিবর্তন ঘটবে। আমাদের শরীর এই পরিবর্তনের সাথে অতটা দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। ফলে বডি সেল গুলোতে বিভিন্ন অসংগতি দেখা দেয় যার বহিঃপ্রকাশ গুলোই হল বিভিন্ন অসুস্থতার লক্ষণ। যেমন মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছালে মাথা ঘুরতে থাকবে, চোখ ঝাপসা হবে এবং আরও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে।

একটু সহজভাবে বিষয়টি আলোচনা করা যাক। ধরুন, আপনি যে পরিবেশে বসবাস করেন সেখানে প্রতি নিঃশ্বাস এর সাথে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকেন। এই অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে আমাদের দেহের বিভিন্ন কোষে চলে যায়। নিয়মিত এমন টা ঘটার কারণে আপনার শরীরের কোষগুলো প্রায় একই রকম অক্সিজেনের সরবরাহের সাথে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এবার যখন উঁচু কোন স্থানে ভ্রমণে যাবেন সর্বপ্রথম যে বিষয়টা আপনাকে ভোগাবে তা হল অক্সিজেনের স্বল্পতা। যত উপরের দিকে উঠতে থাকবে তত অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে থাকবে। এ জন্যই পর্বতারোহীরা পর্বত আরোহণ এর সময় সংগে করে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যান। ভ্রমণের জন্য হয়তো তাদের মত অত উঁচু পর্বতে আপনাকে উঠতে হবে না। তবে যতটুকু উপরেই উঠুন না কেন অক্সিজেনের ঘনমাত্রা কমতে থাকবে। ফলে আপনার প্রতি নিঃশ্বাস এ পূর্বের তুলনায় কম অক্সিজেন প্রবেশ করবে আপনার শরীরে এবং ধীরে ধীরে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপে বিঘ্ন ঘটবে।

 
শুধু অক্সিজেনের ঘনত্ব হ্রাসই নয়, উঁচুতে উঠতে থাকলে তাপমাত্রা কমতে থাকে। সে সাথে বায়ুর চাপ ও কমে যায়। আর এসব পরিবর্তনই মূলত উচ্চতা ভীতি তৈরি করে থাকে।
0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
উঁচু তলার কোন বিল্ডিংয়ের একদম উপরে উঠে নিচের দিকে তাকালে সবার মাঝেই এক ধরণের অস্বস্তি কাজ করে। তবে এই অস্বস্তির মাত্রা ২-৫ শতাংশ মানুষের মনে অতিরিক্ত ভীতি তৈরি করে যা তার প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্মকে ব্যাহত করে। উচ্চতা নিয়ে এই অতিরিক্ত ভীতি বা অনুভূতির নাম এক্রোফোবিয়া।

 

 

 

 

কীভাবে বুঝবেন আপনার উচ্চতা ভীতি আছে:

 

 

 

 

সাধারণত উঁচু কোন স্থান, শপিং মল, ভবনের বারান্দা এমনকি ছাদে গেলে হঠাৎ করে মনের অবস্থায় কিছু পরিবর্তন আসলে এবং সাথে সাথে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে ধরে নিতে হবে আপনি উচ্চতা ভীতি বা হাই ফোবিয়ায় ভুগছেন-

 

 

 

 

- বুক ধড়ফড় করা বা পালপিটেশন

 

 

- অতিরিক্ত ঘাম হওয়া

 

 

- বমি ভাব হওয়া

 

 

- নিঃশ্বাস বন্ধ অথবা দ্রুততর হওয়া

 

 

- তৃষ্ণা পাওয়া

 

 

- শরীরে কাঁপুনি লাগা

 

 

- মাথা ঘোরানো ইত্যাদি

 

 

 

 

উচ্চতা ভীতিতে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত উঁচু স্থানে যে কোন কাজ, মিটিং, ক্যাপসুল ট্রান্সপারেন্ট লিফট এড়িয়ে চলেন। উচ্চতায় ওঠার ভাবনা মাথায় আসলেও তাদের মাঝে এমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

 

 

 

 

উচ্চতা ভীতি কেন হয়:

 

 

 

 

পূর্বে ধারণা করা হত উচ্চতা ভীতি শৈশবের কোন নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকে শুরু হয়। কিন্তু সর্বশেষ গবেষণা অনুযায়ী জানা যায়, এটি জন্মগত, বংশগত এমনকি পরিবেশগত অভিজ্ঞতা সকল কারণেই হতে পারে।

 

 

 

 

কী ধরণের চিকিৎসা প্রয়োজন:

 

 

 

 

উচ্চতা ভীতি মূলত একধরণের এংজাইটি ডিসোর্ডার বা মানসিক উদ্বেগ সম্পর্কিত অসুখ। এটি যাদের দৈনন্দিন, পেশাগত, একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত করে তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

 

 

 

 

এই অসুখের চিকিৎসা মূলত ৩ ধরনের:

 

 

 

 

১) কগনিটিভ বিহ্যাভিওরাল থেরাপি ২) এন্টি ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ ৩) কাউন্সেলিং।

 

 

 

 

নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ এবং কাউন্সেলিং মেনে চললে উচ্চতা ভীতি মনের উপর থেকে চাপ কমাবে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 449 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 168 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
1 উত্তর 759 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 308 বার দেখা হয়েছে
17 মার্চ 2022 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sadman Sakib. (33,350 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,551 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

273,666 জন সদস্য

47 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 46 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. sib_gat

    110 পয়েন্ট

  4. phantomdeluxe

    110 পয়েন্ট

  5. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...