ময়েশ্চারাইজারের কাজ কি আসলে?
- শুষ্ক ত্বককে আর্দ্রতা প্রদান করা ময়েশ্চারাইজারের প্রধান কাজ বলা যেতে পারে।
- সব রকমের স্কিনের সাথে সাথে ড্রাই স্কিনের বিশেষ খেয়াল নিয়ে থাকে ময়েশ্চারাইজার।
- স্কিনকে ভেতর থেকে হেলদি রাখে, যাতে বাইরের দূষণ স্কিনের ক্ষতি করতে না পারে সহজে।
- গাছ যেমন জল ছাড়া তার সতেজতা হারায়, ঠিক তেমনই ময়েশ্চারাইজার ছাড়া আমাদের স্কিন তার সতেজতা বজায় রাখতে পারে না।
- ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, মুখে হওয়া কালো দাগ, ছোপ থেকে আমাদের দূরে রাখতে ময়েশ্চারাইজার অসাধারণ কাজ করে।
ময়শ্চারাইজেশনের কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
ময়শ্চারাইজেশনের উপকারিতা ৫টি ভাগে ভাগ করে নিচ্ছি। এতে বিশদে বুঝতে সুবিধা হবে।
- শুষ্কতা রোধ করা
- বয়েসের ছাপ কমানো
- ব্রণর সাথে লড়াইয়ে সহায়ক
- সূর্যের থেকে সুরক্ষা
- স্কিনকে স্মুদ বা প্রশমিত রাখা
১. শুষ্কতা রোধ করা
আবহাওয়া শীতল হোক বা গরম, এসির ঠাণ্ডা হোক বা ঘরের নিজস্ব তাপমাত্রা, ইত্যাদি নানা কারন আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়। ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক। ময়েশ্চারাইজার আমাদের ত্বকের এই হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের স্কিন সম্পর্কিত নানা ক্ষতি রোধে সহায়তা করে।
২. বয়েসের ছাপ কমানো
হাইড্রেটেড ত্বক আসলে কম বয়েসের ঝলক বজায় রাখে। ভাবছেন আপনাকে কেন বলছি? আসলে আগাম সুরক্ষা নেওয়া থাকলে বয়স হলে সেই ছাপ রোধ হবে সহজেই। স্কিন যদি এখন থেকেই হাইড্রেটেড থাকে সঠিক ভাবে তাহলে মুখে বয়েছের ছাপ বা বলিরেখা সহজে দেখা দেবে না। যা স্কিন ময়শ্চারাইজেশনের মাধ্যমে করা সম্ভব।
৩. ব্রণর সাথে লড়াইয়ে সহায়ক
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণর সম্ভাবনা বেশি। তৈলাক্ত-ঝুঁকিপূর্ণ ত্বকে আরও আর্দ্রতা যুক্ত করা আশ্চর্য বলে মনে হতে পারে আপনার। তবে বাস্তবে এই আর্দ্রতা যুক্ত করা স্কিনের জন্য প্রয়োজন। ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে এটি আপনার গ্রন্থিগুলিকে আরও তেল তৈরির জন্য একটি বার্তা পাঠায় যা আপনার ছিদ্রগুলি আটকে রাখতে পারে এবং ব্রেকআউট তৈরি করতে পারে। সুতরাং, যদি ত্বক সঠিকভাবে হাইড্রেটেড হয় তবে এটি প্রয়োজনের তুলনায় আরও বেশি তেল উৎপাদন থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করতে পারে। ত্বকের তেলতেলে ভাব অনেক কম থাকে।
৪
. সূর্যের থেকে সুরক্ষা
শীতকালেও যেহেতু চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন এসপিএফ ব্যবহারের পরামর্শ দেন, তাই সূর্য সুরক্ষাযুক্ত ২-ইন-১ ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার অবশ্যই করুন। এটি একদিকে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে। অন্যদিকে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে স্কিনকে রক্ষা করবে। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন সূর্য সুরক্ষাযুক্ত ২-ইন-১ ময়েশ্চারাইজারই যেন ব্যবহৃত হয়।
৫. স্কিনকে স্মুদ বা প্রশমিত রাখা
স্কিনের হাজার একটা সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল লালচে ভাব, চুলকানি, র্যাসের মত সমস্যা। স্কিন রুক্ষ থাকলে এইগুলো বেশি করে প্রকট হয়। ত্বক স্মুদ বা প্রশমিত থাকলে এগুলো দেখা দেয় না। তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের দ্বারা এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন অনায়াসে।
কখন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করবেন?
- এটা নির্ভর করে কোথায় ব্যবহার করছেন তার উপর। যদি সারা শরীরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই তা স্নানের পর করা উচিত।
- কারণ এই সময় সবচেয়ে পরিষ্কার থাকে শরীর। ফলে ময়েশ্চারাইজার ভালোভাবে স্কিনে প্রবেশ করে তার কাজ করতে সক্ষম হয়।
- আর মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি নির্ভর করে সম্পূর্ণ আপনার উপর। যখন যখন আপনি ফেস ওয়াশ ব্যবহার করেন তারপরই ময়েশ্চারাইজার লাগান।
- তবে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট পেতে চাইলে সকালে একবার ও রাতে একবার ফেস ওয়াশ করার পর এটি অ্যাপ্লাই করুন।
কীভাবে আপনার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করবেন?
- সকালে ও রাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের কথা আগেই উল্লেখ করেছি।
- সেই মত ফেস ওয়াশ করার পর আপনার পছন্দের ময়েশ্চারাইজার মুখে লাগিয়ে নিন।
- এটি লাগানোর সময় মুখের উপর চাপ প্রয়োগ করবেন না।
- উপরের দিক স্ট্রোক ব্যবহার করে ময়েশ্চারাইজারটি আলতোভাবে প্রয়োগ করবেন।
- কখনও ত্বকে ঘষে ঘষে এটি অ্যাপ্লাই করবেন না।
- মেকআপ করার আগে ফাউন্ডেশন বা অন্য কোনও সামগ্রী লাগানোর আগে চাইলে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে পারেন। মেকআপের হাত থেকে স্কিন সুরক্ষিত থাকে।
এত অল্প বয়সে না ব্যবহার করা উচিত বলে আমি মনে করি।এলার্জি জাতীয় সমস্যা থাকলে ব্যবহার করবেন না।তবে চর্মো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ব্যবহার করতে পারেন।