মায়ের মাধ্যমেই একটি বাচ্চার সৃষ্টি হলেও মায়ের রক্তের গ্রুপ ও বাচ্চার রক্তের গ্রুপ এক নয় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
1,025 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (350 পয়েন্ট)

একটি সন্তান যখন তার মায়ের গর্ভে থাকে, সে সবকিছু তার মায়ের মাধ্যমেই পেয়ে থাকে। মা থেকেই তার সৃষ্টি, তাহলে পৃথিবীর সব বাচ্চার তো তার মায়ের রক্তের গ্রুপ পাওয়ার কথা। কিন্তু এমনটা হয় না কেন?

সন্তানধারণ থেকে জন্মদান পর্যন্ত মা-ই সব। কিন্তু তারপরও বুঝতে হবে যে মায়ের ডিম্বাণু ও বাবার শুক্রাণুর সম্মিলনে শিশুর ভ্রূণ সৃষ্টি হয়। তাই সন্তান শুধু মায়ের গুণাবলিই পায় না, বাবার গুণাবলিও তার দেহে সঞ্চারিত হয়। রক্তের গ্রুপের ক্ষেত্রেও শুধু মায়ের রক্তের গ্রুপ নয়,বাবার রক্তের গ্রুপও একটি বিবেচনার বিষয়। রক্তের গ্রুপ সব সময় যে মায়ের মতোই হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। মানুষের দেহে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। এর অর্ধেক আসে মা থেকে, বাকি অর্ধেক বাবা থেকে। তাই বুঝতে হবে, সবকিছু কেবল মা অথবা বাবার মতো হয় না। দুজনেরই কিছু কিছু গুণ সন্তানের মধ্যে থাকে। এর মধ্যে অবশ্য রক্তের গ্রুপের বিষয়টি একটু জটিল। 
রক্তের চার রকম গ্রুপ রয়েছে। যথা:A,B,AB এবং O। এগুলোকে বলা হয় রক্তের অ্যান্টিজেন। মা-বাবার রক্তের ধরনের ওপর নির্ভর করে সন্তানের রক্তের ধরন। 
~মা ও বাবা দুজনেরই যদি রক্তের ধরন B  হয়, তাহলে সন্তানের রক্তের ধরন হতে পারে B  অথবা O । 
~যদি একজনের A  এবং অপরজনের AB  হয়, তাহলে সন্তানের রক্তের ধরন হতে পারে A , B  অথবা AB । 
~যদি একজনের A  এবং অপরজনের O  হয়, তাহলে সন্তানের রক্তের ধরন A  অথবা O   হতে পারে। 
~যদি একজনের A  এবং অপরজনের B  হলে সন্তানের রক্তের গ্রুপ A , B , AB  অথবা O হতে পারে। 

তোমরা নিশ্চয়ই ভাবছ নেগেটিভ ব্লাডের কথা যে শুনি, সেটা কী? রক্তের লোহিত কণিকার মধ্যে যেমন A,B,AB অথবা O গ্রুপের অ্যান্টিজেন থাকে, তেমনি আবার রক্তের সেলের বহিরাবরণে ‘RH’ নামের একধরনের প্রোটিন থাকে। যাদের রক্তের সেলে এই RH ফ্যাক্টর থাকে, তাদের রক্তের ধরন RH(+)  আরএইচ পজেটিভ। যদি না থাকে, তাহলে তাদের রক্তের ধরন RH(-) আরএইচ নেগেটিভ। 

মায়ের যদি নেগেটিভ রক্ত থাকে, তাহলে শিশু জন্মের সময় সন্তান ও মায়ের জন্য জীবনের ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রতিকারের জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হয়।

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
মায়ের ডিম্বাণু ও বাবার শুক্রাণুর সমন্বয়েই শিশুর ভ্রূণ তৈরি হয়। যেহেতু বাবার শুক্রাণু রয়েছে তাই মায়ের সব গুণ পায় না। একজন মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। এর অর্ধেক বাবার এবং অর্ধেক মায়ের। যেমনঃ আপনি দেখতে আপনার বাবার মতো হয়েছেন, কিন্তু আপনার চুলগুলো আপনার মায়ের মতো।

ঠিক তেমনই রক্তের গ্রুপে বাবা- মা দুই জনের রক্তের গ্রুপই বিবেচনা করা হয়। রক্তের মূলত ৪ টি গ্রুপ থাকে। A, B, AB, O। এগুলো রক্তের অ্যান্টিজেন নামে পরিচিত। বাবা-মা দুজনের রক্তের গ্রুপের উপরই সন্তানের রক্তের গ্রুপ নির্ভর করে। বাবা- মা দুজনের রক্তের গ্রুপ B হলে সন্তানের রক্তের গ্রুপ হবে B অথবা O। আবার বাবা-মা এর একজনের রক্তের গ্রুপ A ও অন্যজনের O হলে সন্তানের রক্তের গ্রুপ A অথবা O হয়।
0 টি ভোট
করেছেন (9,390 পয়েন্ট)

শেখ আজিজা ইমরানঃ কোনো ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ নির্ধারিত হয় জিন এর মাধ্যমে৷ এই জিনের একটা অংশ আসে মা এর থেকে আর একটা আসে বাবার থেকে৷ মানুষের রক্তের গ্রুপ এর জন্য দায়ী জিনকে ক্যপিটাল আই অক্ষর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়৷ মানুষ যেহুতু ডিপ্লয়েড(Diploid) তাই তার শরীরের ১ জোড়া করে জিন থাকে৷ মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণত ৪ ধরণের রক্তের গ্রুপ আছে এগুলো হল ১.গ্রুপ A, ২.গ্রুপ B, ৩.গ্রুপ O ও ৪.গ্রুপ AB.

এই চার ধরণের রক্তের গ্রুপ এর জন্য ৬ ধরনের জিনোটাইপ দায়ী–

  1. যদি IOIO জিনোটাইপ হয় তাহলে একটা IO এসেছে বাবার থেকে আর একটি IO এসেছে মা এর কাছ থেকে ৷ এক্ষেত্রে ‌‌‍র‍ক্তের গ্রুপ হবে গ্রুপO.
  2. যদি IAIA জিনোটাইপ হয় তাহলে একটা IA এসেছে বাবার থেকে আর একটি IA এসেছে মা এর কাছ থেকে ৷ এক্ষেত্রে ‌‌‍র‍ক্তের গ্রুপ হবে গ্রুপ A.
  3. যদি IAIO জিনোটাইপ হয় তাহলে একটা IO এসেছে বাবার অথবা মায়ের কাছ থেকে আর একটি IA এসেছে মা অথবা বাবার কাছ থেকে ৷ এক্ষেত্রে ‌‌‍র‍ক্তের গ্রুপ হবে গ্রুপ A.
  4. যদি IBIB জিনোটাইপ হয় তাহলে একটা IB এসেছে বাবার থেকে আর একটি IB এসেছে মা এর কাছ থেকে ৷ এক্ষেত্রে ‌‌‍র‍ক্তের গ্রুপ হবে গ্রুপ B.
  5. যদি IBIO জিনোটাইপ হয় তাহলে একটা IB এসেছে বাবার অথবা মায়ের কাছ থেকে আর একটি IO এসেছে মা অথবা বাবার কাছ থেকে ৷ এক্ষেত্রে ‌‌‍র‍ক্তের গ্রুপ হবে B.
  6. যদি IAIB জিনোটাইপ হয় তাহলে একটা IA এসেছে বাবার অথবা মায়ের থেকে আর একটি IB এসেছে মা অথবা বাবার এর কাছ থেকে ৷ এক্ষেত্রে ‌‌‍র‍ক্তের গ্রুপ হবে গ্রুপ AB.
0 টি ভোট
করেছেন (5,210 পয়েন্ট)
একটি সন্তান যখন তার মায়ের গর্ভে থাকে, সে সবকিছু তার মায়ের মাধ্যমেই পেয়ে থাকে। মা থেকেই তার সৃষ্টি, তাহলে পৃথিবীর সব বাচ্চার তো তার মায়ের রক্তের গ্রুপ পাওয়ার কথা। কিন্তু এমনটা হয় না কেন?

 

আপনি ঠিকই বলেছ। সন্তানধারণ থেকে জন্মদান পর্যন্ত মা-ই সব। কিন্তু তারপরও বুঝতে হবে যে মায়ের ডিম্বাণু ও বাবার শুক্রাণুর সম্মিলনে শিশুর ভ্রূণ সৃষ্টি হয়। তাই সন্তান শুধু মায়ের গুণাবলিই পায় না, বাবার গুণাবলিও তার দেহে সঞ্চারিত হয়। রক্তের গ্রুপের ক্ষেত্রেও আমরা দেখি শুধু মায়ের নয়, সেখানে বাবার রক্তের গ্রুপও একটি বিবেচনার বিষয়। রক্তের গ্রুপ সব সময় যে মায়ের মতোই হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। মানুষের দেহে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। এর অর্ধেক আসে মা থেকে, বাকি অর্ধেক বাবা থেকে। তাই বুঝতে হবে, সবকিছু কেবল মা অথবা বাবার মতো হয় না। দুজনেরই কিছু কিছু গুণ সন্তানের মধ্যে থাকে। এর মধ্যে অবশ্য রক্তের গ্রুপের বিষয়টি একটু জটিল। রক্তের চার রকম গ্রুপ রয়েছে। এ, বি, এবি অথবা ও। এগুলোকে বলা হয় রক্তের অ্যান্টিজেন। মা-বাবার রক্তের ধরনের ওপর নির্ভর করে সন্তানের রক্তের ধরন।

 

মা ও বাবা দুজনেরই যদি রক্তের ধরন বি হয়, তাহলে সন্তানের রক্তের ধরন হতে পারে বি অথবা ও। যদি একজনের এ এবং অপরজনের এবি হয়, তাহলে সন্তানের রক্তের ধরন হতে পারে এ, বি অথবা এবি। যদি একজনের এ এবং অপরজনের ও হয়, তাহলে সন্তানের রক্তের ধরন এ অথবা ও হতে পারে। একজনের এ এবং অপরজনের বি হলে সন্তানের রক্তের গ্রুপ এ, বি, এবি অথবা ও হতে পারে। তোমরা নিশ্চয়ই ভাবছ নেগেটিভ ব্লাডের কথা যে শুনি, সেটা কী? রক্তের লোহিত কণিকার মধ্যে যেমন এ, বি, এবি অথবা ও গ্রুপের অ্যান্টিজেন থাকে, তেমনি আবার রক্তের সেলের বহিরাবরণে ‘আরএইচ’ নামের একধরনের প্রোটিন থাকে। যাদের রক্তের সেলে এই আরএইচ ফ্যাক্টর থাকে, তাদের রক্তের ধরন আরএইচ পজিটিভ। যদি না থাকে, তাহলে তাদের রক্তের ধরন আরএইচ নেগেটিভ। মায়ের যদি নেগেটিভ রক্ত থাকে, তাহলে শিশু জন্মের সময় সন্তান ও মায়ের জন্য জীবনের ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রতিকারের জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হয়।

 

(লেখাটি ২০১৮ সালের বিজ্ঞান চিন্তার জানুয়ারি সংখ্যা থেকে নেওয়া হয়েছে)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+19 টি ভোট
6 টি উত্তর 24,731 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 678 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 1,135 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,662 জন সদস্য

158 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 158 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. 888clbcasino

    100 পয়েন্ট

  5. kqbdnowgoal

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...