চুল কেন পেকে যাচ্ছে?
আমাদের চুলে কালো রং আসে মেলানিন নামের একটি রঞ্জক কণিকা থেকে। আমাদের শরীর যখন এই পদার্থটি উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তখন চুলে রংহীন হয়ে যায় অর্থাৎ পেকে যায়। আপনি খুব কাছে থেকে লক্ষ্য করলে দেখবেন, পাকা চুল আসলে একটু হলদেটে। কারণ চুল তৈরি হয় কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন দিয়ে, তা হলদেটে। মেলানিন না থাকার কারণে পাকা চুল এ রকম হলদে দেখায়।
চুল পেকে যাওয়া কি বংশগত?
কম বয়সে চুল পেকে যাওয়া বংশগত হতে পারে এবং তা বাবা বা মা যে কারও দিক থেকেই আসতে পারে। আপনার বাবা অথবা মায়ের চুল যদি কম বয়সে পেকে যায় তাহলে আপনারও তা হতে পারে। শ্বেতাঙ্গদের চুল পাকে দ্রুত, ৩০ বছর বয়সের দিকে। অন্যদিকে আফ্রিকান-আমেরিকান এবং এশিয়ান মানুষের চুল পাকে দেরিতে।
স্ট্রেস থেকে কী চুল পাকে?
স্ট্রেস থেকে মানুষের চুল কম বয়সে পাকে, কিন্তু এটাও বংশগতির হাত থাকার জন্যই হয়। আপনার বাবা-মায়ের যদি চুল কম বয়সে পাকে, তাহলে আপনিও স্ট্রেসে থাকলে কম বয়সে পাকতে পারে। অন্যদিকে শরীরে ভিটামিন বি এর অভাব হলেও কম বয়সে চুল পাকতে পারে।
চুল একবার পেকে গেলে কী করতে পারেন আপনি?
১) চুল ডাই করে ফেলুন
পাকা চুলের যত্ন নেওয়ার প্রথম নিয়ম হলো, পাকা চুল উপড়ে ফেলা যাবে না। আপনি যদি বার বার পাকা চুল তুলে ফেলেন, তাহলে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং চুল পাতলা হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে চুল ডাই করে ফেলাই ভালো একটি উপায়। বাসায় বা পার্লারে চুল ডাই করিয়ে ফেলতে পারেন। এর পাশাপাশি চুলে ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
২) চুলে হাইলাইটার দিন
আপনি যদি চুলে রং করাতে না চান, তাহলে হালকা রং দিয়ে হাইলাইট করে ফেলতে পারেন। এতে পাকা চুলের উপস্থিতি চোখে পড়ে না।
৩) অস্থায়ী কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন
প্রতি ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর পর চুলে রং করতে পারেন, এর আগে নয়। কিন্তু এ সময়ের মাঝে তো আপনার পাকা চুলের গোড়া দেখা যাবে। তাহলে কী করবেন? এ সময়ে টেম্পোরারি হেয়ার কালার স্প্রে বা পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। যদি তা হাতের কাছে না থাকে, তাহলে সিঁথির পাকা চুল ঢাকার জন্য অল্প পরিমাণে গাড় রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পাকা শুরু করলে আরও একটি কাজ করতে পারেন, আর তা হলো সান প্রটেকশন। আপনার মাথার ৫০ শতাংশের বেশি চুল যদি পেকে যায়, তাহলে তা সূর্যের আলোতে সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সুতরাং এ সময়ে ছাতা, টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন। (সূত্র: কসমোপলিটান)