পৃথিবীতে তৈরি সবচেয়ে কালো বস্তু কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
366 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (43,930 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর
উদ্ভাবিত সবচেয়ে কালো বস্তু ভ্যান্টাব্ল্যাক দিয়ে আবরণ দেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালে ব্রিটিশ ন্যানোটেক কোম্পানী ভ্যান্টাব্ল্যাক প্রস্তুতের ঘোষণা দেয়, যা মূলত কার্বন ন্যানোটিউবের জঙ্গল এবং অ্যালুমিনিয়ামের ভিত্তির উপর নির্মিত। এটি এতই কালো যেকোনো দোমড়ানো বস্তুকেও পুরোপুরি অন্ধকার বলে মনে হয় এবং একটি মসৃণ সমতল পৃষ্ঠ বলে মনে হয়।

কোনো বস্তু হতে আলো আমাদের চোখে এসে পড়লে সেই বস্তুটি আমরা দেখি। কখনো কখনো বস্তু নিজেই আলো নিঃসরণ করে, আর কখনো আলোক উৎস থেকে আলো বস্তুতে প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসলে আমরা সেই বস্তু দেখি। আর কালো মানে হচ্ছে রং তথা আলোর অনুপস্থিতি। কালো বস্তু আলো শোষণ করে নেয় বলে আমরা সেই বস্তুটিকে কালো তথা অন্ধকার দেখি। কিন্তু পৃথিবীর কোনো বস্তুই পুরোপুরি কালো নয়, অর্থাৎ আলো পুরোপুরি শোষণ করতে পারে না, সামান্য কিছু বিকিরণ করে। তাই কালো বস্তুর বিভিন্ন ভাঁজ ইত্যাদি আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। কয়লা পৃথিবীর সবচেয়ে কালো বস্তুগুলোর একটি যা প্রায় ৯৬% আলো শোষণ করে আর বাকী ৪% আলো প্রতিফলন করে।

কিন্তু ভ্যান্টাব্ল্যাক ৯৯.৯৬% আলো শোষণ করে, অর্থাৎ প্র্যাকটিক্যালি এর মধ্য থেকে কোনো আলো প্রতিফলিত হয় না। তাই এর দিকে তাকালে কেবল অন্ধকারই মনে হয়। এই কারণে প্রতিকৃতির মুখবৈশিষ্ট্যগুলো কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।

এটা বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে কাজে লাগবে। যেমন: আলোক যন্ত্রের লেন্সের বডি। লেন্সের বডির ভিতরের দেয়াল কালো হতে হয়, তা না হলে আলো প্রতিফলিত হয়ে প্রতিবিম্বে অযাচিত প্রভাব ফেলতে পারে। এধরনের বস্তু ক্যামেরা, টেলিস্কোপ ইত্যাদি যন্ত্রে কাজে লাগানো যাবে। এছাড়া মিলিটারিতে এধরনের আবরণ শত্রুর চোখ ফাঁকি দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা সরঞ্জামেও এই বস্তু কাজে আসবে।

সংগ্রহিতঃWikipidea English
0 টি ভোট
করেছেন (8,580 পয়েন্ট)
পৃথবীে সবচেয়ে কালো বস্তু হচ্ছে ভ্যান্টাব্ল্যাক-২। এর আগে ভ্যান্টাব্ল্যাকের আরেকটি ভার্সন তৈরি হয়েছিল, যার নাম ছিল ভ্যান্টাব্ল্যাক-১। ভ্যান্টাব্ল্যাক-১ এর উপর পতিত আলোর ৯৯.৯৬% আলো শোষণ করে। ভ্যান্টাব্ল্যাক মূলত কাজ করে কার্বন ন্যানো টিউবের মাধ্যমে। কার্বন ন্যানোটিউব হলো মূলত এক পরমাণু পুরু কার্বন (গ্রাফিন)-এর একটি সিংগেল লেয়ার। এভাবে পাশাপাশি হাজার হাজার কার্বন ন্যানো টিউবের স্তর দিয়েই ভ্যান্টাব্ল্যাকের পেইন্ট বানানো হয়। একেকটি কার্বন ন্যানো টিউবের মধ্যে আলো পড়লে তা শোষিত হয়, হালকা প্রতিফলন হলেও সেই আলো টিউবের ভেতর থেকে বের হতে হতে আবার শোষিত হয়। শেষ পর্যন্ত প্রায় সবটুকু আলোই শোষিত হয়ে যায়।
0 টি ভোট
করেছেন (1,260 পয়েন্ট)
পৃথিবীর সবচেয়ে কালো বস্তুটির নাম দেয়া হয়েছে ভান্টাব্ল্যাক (Vantablack)। এটিও তৈরি করা হয়েছে কার্বন ন্যানোটিউব দিয়ে। যা তৈরি করেছে ব্রিটিশ ন্যানো টেক কোম্পানি সুরি ন্যানোসিস্টেম। তাদের দাবি, এটি আলো ও তাপের ৯৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ শুষে নেয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
5 টি উত্তর 760 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 591 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 302 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 647 বার দেখা হয়েছে
26 জুন 2023 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rafikul Al Imran (5,380 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 525 বার দেখা হয়েছে
20 ফেব্রুয়ারি 2022 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন R Atiqur (43,930 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

266,021 জন সদস্য

67 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 66 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...