উদ্ভাবিত সবচেয়ে কালো বস্তু ভ্যান্টাব্ল্যাক দিয়ে আবরণ দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে ব্রিটিশ ন্যানোটেক কোম্পানী ভ্যান্টাব্ল্যাক প্রস্তুতের ঘোষণা দেয়, যা মূলত কার্বন ন্যানোটিউবের জঙ্গল এবং অ্যালুমিনিয়ামের ভিত্তির উপর নির্মিত। এটি এতই কালো যেকোনো দোমড়ানো বস্তুকেও পুরোপুরি অন্ধকার বলে মনে হয় এবং একটি মসৃণ সমতল পৃষ্ঠ বলে মনে হয়।
কোনো বস্তু হতে আলো আমাদের চোখে এসে পড়লে সেই বস্তুটি আমরা দেখি। কখনো কখনো বস্তু নিজেই আলো নিঃসরণ করে, আর কখনো আলোক উৎস থেকে আলো বস্তুতে প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসলে আমরা সেই বস্তু দেখি। আর কালো মানে হচ্ছে রং তথা আলোর অনুপস্থিতি। কালো বস্তু আলো শোষণ করে নেয় বলে আমরা সেই বস্তুটিকে কালো তথা অন্ধকার দেখি। কিন্তু পৃথিবীর কোনো বস্তুই পুরোপুরি কালো নয়, অর্থাৎ আলো পুরোপুরি শোষণ করতে পারে না, সামান্য কিছু বিকিরণ করে। তাই কালো বস্তুর বিভিন্ন ভাঁজ ইত্যাদি আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। কয়লা পৃথিবীর সবচেয়ে কালো বস্তুগুলোর একটি যা প্রায় ৯৬% আলো শোষণ করে আর বাকী ৪% আলো প্রতিফলন করে।
কিন্তু ভ্যান্টাব্ল্যাক ৯৯.৯৬% আলো শোষণ করে, অর্থাৎ প্র্যাকটিক্যালি এর মধ্য থেকে কোনো আলো প্রতিফলিত হয় না। তাই এর দিকে তাকালে কেবল অন্ধকারই মনে হয়। এই কারণে প্রতিকৃতির মুখবৈশিষ্ট্যগুলো কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
এটা বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে কাজে লাগবে। যেমন: আলোক যন্ত্রের লেন্সের বডি। লেন্সের বডির ভিতরের দেয়াল কালো হতে হয়, তা না হলে আলো প্রতিফলিত হয়ে প্রতিবিম্বে অযাচিত প্রভাব ফেলতে পারে। এধরনের বস্তু ক্যামেরা, টেলিস্কোপ ইত্যাদি যন্ত্রে কাজে লাগানো যাবে। এছাড়া মিলিটারিতে এধরনের আবরণ শত্রুর চোখ ফাঁকি দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা সরঞ্জামেও এই বস্তু কাজে আসবে।
সংগ্রহিতঃWikipidea English