মহাশূন্যের জঞ্জাল পরিষ্কার করবে কে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
222 বার দেখা হয়েছে
"সৃজনশীলতা" বিভাগে করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (9,310 পয়েন্ট)
আসলে এখনো এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোনো আইন নেই। তবে এটা সবার দায়িত্ব। লো আর্থ অরবিটে প্রায় ছয় হাজার টন বস্তু খণ্ড রয়েছে। নাসা তাদের অরবিটাল ডেবরিজ প্রোগ্রাম ১৯৭৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। টেক্সাসের জনসন স্পেস সেন্টারের স্পেস সায়েন্সেস ব্রাঞ্চ থেকে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, যথাসম্ভব কম জঞ্জাল যেন মহাশূন্যে জমা হয়, সে ব্যবস্থা করা এবং একই সঙ্গে এমন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি বের করা, যার সাহায্যে ইতিমধ্যে সঞ্চিত জঞ্জালের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রেখে সেগুলো অপসারণ করা যাবে। অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও কাজ করছে। ওদের কেউ কেউ মডেল স্যাটেলাইট ও রোবটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া কোনো মহাশূন্যযান বশে আনার কৌশল নিয়ে কাজ করছে। চুম্বকীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাও আছে। বছর দুয়েক আগে নেদারল্যান্ডসে এক বৈঠকে ই-ডিঅরবিট মিশনের পরিকল্পনা হয়। এরও উদ্দেশ্য মহাকাশ জঞ্জাল নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন কৌশল বের করে কাজে লাগানো।
0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
আমরা প্রতিদিন নিজেদের ঘরদোর ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে রাখি। কিন্তু মহাকাশে যে জঞ্জাল জমছে, তার কথা কয়জন ভাবি? অবশ্য সাধারণ চোখে মনে হয়, মহাকাশ তো বেশ স্বচ্ছ, তাহলে আবার পরিষ্কারের প্রশ্ন কেন? আসলে মেঘের ওপরে, আরও কিছু দূরে, পৃথিবীর ‘নিচু কক্ষপথ’ প্রান্তরে (লো আর্থ অরবিট) মহাশূন্যের আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে। ইংরেজিতে একেই বলি ‘স্পেস জাঙ্ক’। এদের বেশির ভাগই মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কাজের ফল। যেমন মহাশূন্যযানের অংশ, ওই সব যান থেকে ছিটকে পড়া ছোট ছোট বস্তু, রকেটের খসে পড়া টুকরা, এখন আর কাজ করছে না এমন কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ, অথবা এসব বস্তুর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট আরও অসংখ্য বস্তু খণ্ড প্রভৃতি। মহাশূন্যে শুধু মানুষের তৈরি বস্তুখণ্ডের সংখ্যা এখন প্রায় ১৭ কোটি। অবশ্য এদের আকার ১ মিমি’র বড়, আবার কোনোটি একটি বড় বাসের সমানও রয়েছে। স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের (১ জুলাই ২০১৮) তথ্য অনুযায়ী, এরা ঘণ্টায় প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ মাইল বেগে ঘুরছে। খুব ছোট এক টুকরা বস্তুকণাও কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে।

 
২০১৬ সালে এক মিলিমিটারেরও কম চওড়া এক টুকরা ধাতব খণ্ড আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের জানালায় ঠোক্কর খেয়ে ছোট আঁচড় কেটেছিল। বিপদ দিনে দিনে বাড়ছে। ২০০৭ সালে চীন তাদের একটি মহাশূন্যযান নিজেরাই মহাশূন্যে ধ্বংস করে। এর বছর দুয়েক পর ২০০৯ সালে আমেরিকান ও রাশিয়ান দুটি মহাকাশযান দুর্ঘটনাক্রমে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ দুটি ঘটনায় মহাকাশে জঞ্জাল অন্তত ৭০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটতে থাকবে। প্রশ্ন হলো, এই জঞ্জাল পরিষ্কারের দায়িত্ব কার? আসলে এখনো এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোনো আইন নেই। তবে এটা সবার দায়িত্ব। লো আর্থ অরবিটে প্রায় ছয় হাজার টন বস্তু খণ্ড রয়েছে। নাসা তাদের অরবিটাল ডেবরিজ প্রোগ্রাম ১৯৭৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। টেক্সাসের জনসন স্পেস সেন্টারের স্পেস সায়েন্সেস ব্রাঞ্চ থেকে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, যথাসম্ভব কম জঞ্জাল যেন মহাশূন্যে জমা হয়, সে ব্যবস্থা করা এবং একই সঙ্গে এমন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি বের করা, যার সাহায্যে ইতিমধ্যে সঞ্চিত জঞ্জালের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রেখে সেগুলো অপসারণ করা যাবে। অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও কাজ করছে। ওদের কেউ কেউ মডেল স্যাটেলাইট ও রোবটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া কোনো মহাশূন্যযান বশে আনার কৌশল নিয়ে কাজ করছে। চুম্বকীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাও আছে। বছর দুয়েক আগে নেদারল্যান্ডসে এক বৈঠকে ই-ডিঅরবিট মিশনের পরিকল্পনা হয়। এরও উদ্দেশ্য মহাকাশ জঞ্জাল নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন কৌশল বের করে কাজে লাগানো।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+11 টি ভোট
2 টি উত্তর 605 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
7 টি উত্তর 1,063 বার দেখা হয়েছে
07 নভেম্বর 2021 "সৃজনশীলতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন এনডি রোজারিও (440 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 600 বার দেখা হয়েছে
29 অক্টোবর 2021 "সৃজনশীলতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)

10,807 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

514,403 জন সদস্য

62 জন অনলাইনে রয়েছে
17 জন সদস্য এবং 45 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

    1280 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    370 পয়েন্ট

  3. Fatema Tasnim

    340 পয়েন্ট

  4. _Polas

    160 পয়েন্ট

  5. Arnab1804

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা মস্তিষ্ক ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...