ক্লায়েন্ট সাইকোলজি হ‘ল খাস বাংলায় : খদ্দরের মন:বৃত্তি।
অর্থনীতির ভাষায়, কোন পণ্য বা সেবার চাহিদা নুরূপণ করা হয় :
(ক) একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি পণ্য একটি নির্দিষ্ট দামে কিনতে প্রস্তুত থাকা।
(খ) উক্ত দামে পণ্যটি ক্রয়ের জন্য ক্রেতার আর্থিক সামর্থ্য থাকা।
(গ) পণ্যটি ক্রয়ে মানসিক প্রস্তুত থাকা।
কোন পণ্যের এটিই কার্যকর চাহিদা এবং এ চাহিদার যোগফল সমগ্র চাহিদা।
এখন, আপনার প্রশ্নটি হ‘ল ক্রেতার মনোবৃত্তি বা ক্রেতা পণ্যটি সম্পর্কে কী ভাবেন/ অন্যভাবে ক্রেতার নিকট কোন একটি এককের চাহিদা কী। অথবা, উক্ত চাহিদাকে ক্রেতা কিভাবেে মূল্যায়ণ করেন। এটিই ব্যপকভাবে ক্লায়েন্ট সাইকোলজি বলে।
ক্লায়েন্ট সাইকোলজি একটি বিরাট ধারণা। ক্লায়েন্টের মনোভাব জানার জন্য আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মোট উ’পাদন ব্যয়ের একটি বিরাট অংশ ব্যায় করে এবং আরো একটি বিপুল পরিমাণ ব্যয় নিধারণ করে প্রচারণার ক্ষেত্রে। ( উতপাদন + প্রচারণা + বিপনন ) । প্রায় ভালো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ই এ কাজের জন্য একটি স্বতন্ত্র ডিপার্ট্মেন্ট (আর এন্ড ডি) আছে।
আপনাকে একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিস্কার হবে। আপনি নেটে গুগুলে অথবা ইউটিউবে কোন কিছু যদি চার্চ দেন- তাহলেই হ‘ল। পরবর্তীতে আপনি, নেটে যে কোন কাজ করেন তাতে বিজ্ঞাপন হিসেবে পূর্বে চার্চ দেয়া বিষয় বা তার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়গুরোর বিজ্ঞাপন আপনার নিকট একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত প্রদর্শন করতে থাকবে।
এটা কীভাবে হ‘ল: এটা হলো এভাবে যে, এর পেছনে একটি শক্তি আছে, যারা আপনি কি চান তা তারা বুঝে ফেলেছে। তাই বার বার আপনাকে উক্ত বিষয়ে প্রলুব্ধ করছে।
এটাকেই সংক্ষেপে ক্লায়েন্ট সাইকোলজি বলে।