মশা কামরালে চুলকায় কেনো? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
628 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (15,210 পয়েন্ট)

4 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (15,210 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
মশা কামড়ালে কেন চুলকাই? আর চুলকানি হলে করবেন'ই বা কী???
লেখা: মোঃ তানভীর ইশরাক

বর্তমানে এমন একটা অবস্থা যেন আমরাই মশার রাজ্যে বাস করি। সূর্য অস্ত গেলে শুরু হয় এদের অভিজান এবং তা চলতে থাকে সূর্যদয় পর্যন্ত। আমরা কি জানি মশা কামড়ালে কেন চুলকাই? কখনও মনে হয়নি এর পেছনে বিজ্ঞান কী? আসুন ব্যাখা করা যাক।
প্রথমে, একটি স্ত্রী প্রজাতির মশা আমাদের ত্বকে বসার পর ক্যাপিলারি বেড খুঁজে বের করে। ক্যাপিলারি বেড হলো কৈশিক রক্তনালীর নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে শিরা ও ধমনীতে রক্ত প্রবাহিত হয়। এগুলো ত্বকের নিচেই অবস্থান করে।

 প্রতিবার কামড়ের পর মশা ত্বকের নিচে তার স্যালাইভা রেখে আসে। মশার স্যালাইভায় অ্যান্টিকোগিউলেন্ট উপাদান থাকে, যা রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। ফলে মশা সহজেই রক্ত শুষতে পারে। এই স্যালাইভায় থাকে প্রোটিন। যার ত্বকে'ই এই স্যালাইভা জমা পড়ে তার দেহ একে আগন্তুক উপাদান হিসেবে গ্রহণ করে। তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় ইমিউন সিস্টেমে । ফলে কামড়ের স্থানে চুলকানির উদ্রেক ঘটে এবং কিছুটা লালচে হয়ে ফুলে যায়।

অধিকাংশ মশার কামড়ে এমন চুলকানি হলেও কিছু মশা ভয়ানক অ্যালার্জি ছড়াতে পারে। এমনকি রোগের জীবাণুও ঢুকিয়ে দিতে পারে দেহে।

 মশার কামড়ে আসলে কি ঘটে?

মশা তার শুঁড়টাকে ব্যবহার করে মানুষের বহিঃত্বক ভেদ করে। এটি ভেতরে ঢুকে রক্ত চলাচল নালী খুঁজে নেয়। মশার স্যালাইভায় এমন এক উপাদান রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে তরল রক্ত পান করতে থাকে মশা।

চুলকানি কেন হয়? ফুলে কেন যায়?

স্যালাইভায় থাকা প্রোটিন তথা আগন্তুক উপাদানের বিরুদ্ধে লড়তে মানুষের দেহের ইমিউন সিস্টেম এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান নিঃসৃত করে নাম হিস্টামিন। এটি রক্ত চলাচলে যে নালীকে কামড় দেয় তার চারদিকটা বড় করে দেয়। যার ফলে ত্বকের ওই অংশটি ফুলে যায়।

হিস্টামিন দেহের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। ফলে চুলকানির সৃষ্টি হয়। মশার কামড়ে স্রেফ চুলকানি ছাড়াও যদি অন্য কোনো সমস্যা ঘটে তবে তা সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ পায়।

কী করবেন মশা কামড়ালে?

কামড়ের ফলে ফোলা স্থান কোন চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। তাছাড়াও যদি জ্বর, মাথাব্যথা, ত্বকে আরো র‍্যাশ ওঠা, অবসাদ, কণ্ঠনালী ফুলে ওঠা, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া, ত্বকের কিছু অংশ রক্তবর্ণ হয়ে ওঠা, কামড়ের চারদিকে র‍্যাশ ওঠা, বড় অংশজুড়ে চুলকানি হওয়া ইত্যাদি ঘটলেই সাবধান হতে হবে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে অবশ্যই যাবার পরামর্শ থাকবে!

 ধন্যবাদ সকলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্যে! ভালো থাকবেন সবাই!
0 টি ভোট
করেছেন (16,190 পয়েন্ট)

মশার লালায় কিছু অবশকারী এবং রক্তজমাটরোধী পদার্থ থাকে, যে কারণে মশা কামড়াবার সময় আপনি টের পান না। এই লালা শরীরে প্রবেশ করে অনেকের ক্ষেত্রে এক ধরনের এলার্জিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে ফলে আক্রান্ত স্থান ফুলে যায় এবং বেশ চুলকায়

0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
স্যালাইভায় থাকা প্রোটিন তথা আগন্তুক উপাদানের বিরুদ্ধে লড়তে মানুষের দেহের ইমিউন সিস্টেম এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান নিঃসৃত করে নাম হিস্টামিন। এটি রক্ত চলাচলে যে নালীকে কামড় দেয় তার চারদিকটা বড় করে দেয়। যার ফলে ত্বকের ওই অংশটি ফুলে যায়।

হিস্টামিন দেহের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। ফলে চুলকানির সৃষ্টি হয়। মশার কামড়ে স্রেফ চুলকানি ছাড়াও যদি অন্য কোনো সমস্যা ঘটে তবে তা সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ পায়।
0 টি ভোট
করেছেন (9,610 পয়েন্ট)
মশা রক্ত খাওয়ার সময় একপ্রকার এসিড নির্গত করে যা আপনার ত্বকের অনুভূতি ক্ষণিকের জন্য বন্ধ করে দেয়। অনুভূতি যখন ফিরে আসে, তখন উক্ত এসিডের কারণে চুল্কায়

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+11 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,387 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 910 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 460 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 418 বার দেখা হয়েছে
29 জানুয়ারি 2022 "চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 278 বার দেখা হয়েছে
27 ফেব্রুয়ারি 2022 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rayhan Shikder (9,310 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

282,638 জন সদস্য

99 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 97 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. James45R642

    100 পয়েন্ট

  2. FrancinePick

    100 পয়েন্ট

  3. 23winsingles

    100 পয়েন্ট

  4. new88love

    100 পয়েন্ট

  5. KariI2739635

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...