অতিরিক্ত চিন্তা করা কি মানসিক রোগের লক্ষন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
675 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (2,140 পয়েন্ট)

5 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
হ্যাঁ,আমি মন বা শরীর যেটা সব সময় চায় তার বিপরীতে কিছু আমাদের সামনে আসলে আমাদের মস্তিষ্ক মেনে নিতে পারে না সহজে।তাই মস্তিষ্ক মেনে নেওয়া বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যখন আমরা চিন্তা বোধ করি।সব সময় সব কিছুকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করা তাহলে চিন্তা হবে না।আর সব সময় এত বেশি কোনো কিছু পাওয়ার আশা না করা।যেটা সার্মথ্য নেই সেই রকম আকাংক্ষা না করা।
0 টি ভোট
করেছেন (16,190 পয়েন্ট)

এমন কি কখনো হয়, কোনো একটি সামান্য বিষয় নিয়েই বিভিন্ন চিন্তা মাথায় চলে আসে? হয়তো আগামীকাল আপনার পরীক্ষা কিংবা অফিসের প্রেজেন্টেশন, এই চিন্তায় রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে গেল! অনেকেই আছেন, যাঁরা সামান্য বিষয় নিয়েই দুশ্চিন্তা করেন। যা হওয়ার নয়, সেটাও আপনি ভেবে বসে থাকলেন নিজের মধ্যে। নিজেই আপনার মন ও শরীরের ক্ষতি করছেন।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার যত কুফল

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলর মরিয়ম সুলতানা বলেন, কিশোর বয়স থেকে এই সমস্যা দেখা দেয় কারও কারও মধ্যে। বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন বিষয় যেমন, পরিবেশ কিংবা পারিবারিক রীতিনীতি সবকিছু মিলিয়ে দেখা দিতে পারে। পরিবার থেকেও এটা হতে পারে। পরিবেশ কিংবা পরিবার যেভাবেই হোক না কেন, এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে নিজেকেই। কেননা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার রয়েছে নানা বিপত্তি।

১. আত্মবিশ্বাস কমিয়ে ফেলা

কথায় আছে, ‘বিশ্বাসে মেলায় বস্তু’। আর আপনি যদি শুরুতেই ধরে নেন আপনার দ্বারা হবে না, তাহলে মানসিকভাবেই এটি আপনার জন্য নেতিবাচক হয়ে দাঁড়াবে। আপনার যেই কর্মপরিকল্পনা, পুরোটাই এই একমুহূর্তেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কী হবে কিংবা হবে না, সবকিছু ঝেড়ে ফেলে কাজটা সঠিকভাবে করুন।

২. শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা

মানসিক বিপত্তি ছাড়াও দেখা দেবে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও। ক্ষুধামান্দ্য থেকে শুরু করে নিদ্রাহীনতা, উচ্চরক্তচাপ, মাথাব্যথা, বহুমূত্র এমনকি হৃদ্‌রোগও দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে। অনেকেরই ‘টেনশন হেডেক’ বা অতিরিক্ত মাথাব্যথা দেখা দেয়। যার ফলে আপনার ঘাড় ও চোখের ব্যথাও হতে পারে।

৩. মানসিক সমস্যা

খিটখিটে মেজাজ, হতাশা, উৎসাহ হারিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে অল্পতেই রেগে যাওয়া, সহজেই ভুলে যাওয়া কিংবা বিভিন্ন অসামাজিক আচরণ দেখে দেবে আপনার মধ্যে। দেখা গেল আগে যেসব বিষয় সহজেই গুছিয়ে নিতে পারতেন, সেটা আর কিছুতেই হচ্ছে না। উল্টো সবার সামনে সহজেই রেগে যাচ্ছেন। এটা কিন্তু আপনার পরিবার ও কর্মক্ষেত্র দুটোর জন্যই ক্ষতিকর।

৪. সঠিকভাবে কাজ করায় বাধা

যদি শুরুতেই ধরে নেন যে কাজটি আপনার দ্বারা হবে না, কিংবা আপনি পারবেন না, তাহলে সঠিকভাবে কাজ করার উদ্দীপনাই নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিক জীবনযাপন নষ্ট হয়ে যাবে।

৫. অল্পতেই ভেঙে পড়া

বেঁচে থাকার জন্য নিত্যদিন সংগ্রাম করতে হয়। আর আপনি যদি কোনো কিছুতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে সাহসের সঙ্গে বেঁচে থাকার প্রবণতাটাই নষ্ট হয়ে যাবে, যা আপনার ব্যক্তিত্বের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

এর থেকে পরিত্রাণের উপায়

খুব সহজ উপায় হলো, কিছু ক্ষেত্রে লাগামটা ছেড়ে দেওয়া। এর মানে হলো, আপনাকে ভালো করতে হবে, এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা। আপনি চেষ্টা করুন চলার পথে বিভিন্ন বিষয় শেখার। সেই অনুযায়ী কাজটি করুন। ভালো ও মন্দ এই দুটি নিয়েই আমাদের জীবন।

পারিবারিকভাবে অনেকেই এই সমস্যাটি পেয়ে থাকেন। তাই নিজের সমস্যাকে চিহ্নিত করে নিন আগে। বুঝতে শিখুন, আপনার পরিবারের সদস্যটির এই আচরণ সঠিক নয়। নিজের জীবনে এই বিষয়গুলোই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সবকিছুকে হালকাভাবে নিতে শিখুন।

কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন নিজের জন্য। প্রয়োজনে শখের কাজগুলো করুন। অনেক দিন ছবি আঁকেন না? এখনই আবার শুরু করুন। অবসরে প্রিয় মানুষ, পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসছে ধীরে ধীরে।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার অন্যতম একটি সমস্যা হলো, কোনো ব্যক্তির ওপর সব রাগ বা দোষারোপ করা। এতে কিন্তু দূরত্বের সৃষ্টি হবে আপনার সঙ্গেই। তাই এই ধরনের আচরণ থেকে বেরিয়ে আসুন। অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেকেই কিছুটা সময় দিন। নিজের সমস্যা চিহ্নিত করুন, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আপনার নিজেকেই।

আবেগের নিয়ন্ত্রণ

অতিরিক্ত আবেগ ক্ষতির কারণ। আর কথায় কথায় রেগে যাওয়া আপনার ব্যক্তিত্বের জন্যই নেতিবাচক। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রয়োজনে কিছুটা সময় নিয়ে ব্যাপারটি নিয়ে ভাবুন।

নিয়মিত শরীরচর্চা

যোগ ব্যায়াম কিংবা সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হলে দেখবেন নিজেরই ভালো লাগছে। এ ধরনের শারীরিক পরিশ্রমের ফলে আপনার ভেতরের উদ্বেগ বেরিয়ে আসবে। এতে নিজেও অনেকটা নির্ভার বোধ করবেন।

 

 

0 টি ভোট
করেছেন (9,610 পয়েন্ট)
মানুষের জীবনে আসা সমস্যাগুলোর ১০% এম্নিই আসে, আর বাকি ৯০ % হলো সমস্যার প্রতি তার প্রতিক্রিয়া।

ওভারথিঙ্কিং সাধারণত ভয়ের কারণে হয়ে থাকে। এটাও এএকইভাবে সমস্যার প্রতি প্রতিক্রিয়া। এটা মানসিক রোগ নয়, মানসিক দূর্বলতার লক্ষণ।

চাইলেই কিন্তু মাইন্ডকে পজেটিভলি সেটআপ করে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়...!!...

সবশেষে বলব, দুশ্চিন্তা  করে কোন কিছু হয় না, বরং সমস্যায় পড়লে সমাধান খুঁজে বের করাই শ্রেয়।
0 টি ভোট
করেছেন (300 পয়েন্ট)
এটা এক দিকে ভালে আবার অন্য দিকে খারা।।

২ টি

১. যখন মানুষ অতিরিক্ত টেনশন করে ঘুম হয় না। তখন কোন কোন ডাক্তা একটা কথা বলে রুগীকে যে আমি কোন বন্ধো করে কোন একটা ভালো স্বপ্ন নিজের ভিতরে দেখারা চেষ্টা করুন।।  দেখবে কখন ঘুমিয়ে যাবেন নিজেও ঠিক পাবেন না।।।

২. অতিরিক্ত টেনশনের কারণে ব্রেন ওই দিকে ফোকাস করে।। অন্য দিকে ফোকাস  করে না বা সিঙ্গনাল দেয় না।।  এমত অবস্থয় চললে মেন্টালিটি সমস্যা হতে পারে।।।
0 টি ভোট
করেছেন (300 পয়েন্ট)
হ্যা, এটাতে কোন সন্দেহ নাই।। কারণ আপনার ব্রেনই ত এক দিকে ফোকাস করে আছ।।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 382 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 420 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 721 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,626 জন সদস্য

122 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 119 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. Vaughn716910

    100 পয়েন্ট

  5. ArtCarnevale

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...