মানুষ কেন কাঁদে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
476 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (3,170 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (6,050 পয়েন্ট)
আমরা ভাবি, মানুষ কেবল দুঃখ পেলেই কাঁদে।

 

না, তা নয়। কান্নার রয়েছে নানা কারণ। বিশ্বাস হচ্ছে না! তাহলে চলো জানি সেগুলো কী ও কেমন!

 

তিন ধরণের কান্না বা চোখের পানি রয়েছে।

 

১. বেসাল কান্না

 

২. রিফ্লেক্স কান্না ও

 

৩. আবেগের কান্না

 

বেসাল কান্না

 

এ ধরণের কান্না কাঁদতে হয় না, সব সময় আমাদের চোখের ভেতরেই থাকে। এটা এমন এক ধরণের পিচ্ছিল তরল যা আমাদের চোখকে সব সময় ভেজা রাখে। এর কারণেই আমাদের চোখ কখনো একেবারে শুকিয়ে যায় না।

 

এক গবেষণায় জানা যায়, আমাদের চোখ প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ আউন্স বেসাল কান্না তৈরি করে।

 

রিফ্লেক্স কান্না

 

কখনো তোমার মা’কে পেঁয়াজ কাটতে দেখেছো কিংবা নিজে কখনও পেঁয়াজ কেটেছো? চোখ দিয়ে কেমন গরগর করে পানি চলে আসে, তাই না!

 

রিফ্লেক্স কান্না হলো এমন। এর কাজ হলো আকস্মিক কোন আঘাত, চুলকানি, যন্ত্রণা বা সংবেদনশীল কোন বস্তু থেকে চোখকে রক্ষা করা। এ কান্না কাঁদতে হয় না, প্রয়োজনের সময় নিজ থেকেই টপটপ করে পড়তে শুরু করে।

 

ধুলো, প্রচণ্ড বাতাস বা ধোঁয়ার কারণে রিফ্লেক্স কান্না আসে। কর্নিয়ার সংবেদী স্নায়ুর মাধ্যমে এ কাজটি চোখ নিজে থেকেই সেরে নিতে পারে।

 

বিপদ বা আঘাতের সময় এ সংবেদী স্নায়ু সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং মস্তিষ্কে সংবাদ পাঠায়। মস্তিষ্ক সংবাদ পেয়ে চোখের পাতায় দ্রুত বিশেষ হরমোন পাঠায়। আর তাতেই রিফ্লেক্স কান্না তৈরি হয়।

 

আবেগের কান্না

 

এ কান্না শুরু হয় সেরেব্রাম থেকে। সেরেব্রাম হলো মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ, এজন্য সেরেব্রামকে বলা হয় ‘গুরুমস্তিষ্ক’। সেরেব্রামেই থাকে আমাদের সব ধারণা, কল্পনা, চিন্তা-ভাবনা, মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত।

 

অন্তঃক্ষরা তন্ত্র আমাদের চোখে হরমোন পাঠায়। এটিই জল হয়ে চোখের ভেতরে থাকে। যখনই আমরা কান্না, বেদনা, আঘাত বা শোকে থাকি তখন এ জল কান্না হয়ে চোখ দিয়ে পড়তে শুরু করে।

 

কান্না নিয়ে চারটি মজার তথ্য

 

১. এক গবেষণায় দেখা গেছে একজন নারী প্রতিমাসে ৫.৩ বার কাঁদে, একজন পুরুষ কাঁদে ১.৪ বার।

 

২. আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে একটা শিশু প্রতিদিন ১ থেকে ৪ ঘণ্টা কাঁদে।

 

৩. যদি কান্নার প্রতিমাণ বেড়ে যায় তাহলে নাক দিয়েও কান্না বের হয়ে আসতে পারে। এতে করে সাময়িকভাবে নাক বন্ধ হয়ে যায়।

 

৪. পেঁয়াজ কাটলে আমরা কাঁদি কেনো! কারণ, পেঁয়াজ কাটলে এর ভেতর থেকে প্রোপেন ইথিয়ল সালফার অক্সাইড গ্যাস বের হয়ে আসে। এটি বাতাসে ভেসে আমাদের চোখের সংস্পর্শে চলে আসে, ফলে আমাদের চোখ থেকে জল পড়ে।
0 টি ভোট
করেছেন (10,050 পয়েন্ট)

- মানুষ কেন কাঁদে?  বিজ্ঞানীরা এখনও এর কারণ নিয়ে নিশ্চিত নন, তবে বিভিন্ন গবেষণা থেকে কিছু ব্যাপার উঠে এসেছে। যেমন শিশুরা কাঁদে বড়দের মনোযোগ পাবার জন্য, কিন্তু বড় হবার পর? একটি গবেষণায় কিছু মানুষের কান্নার ছবি তোলার পর ফটোশপের মাধ্যমে অশ্রুগুলোকে মুছে দেয়া হয়। এরপর ২টি ছবির মধ্যে তুলনা করে দেখা যায়, যে ছবিতে অশ্রু আছে সে ছবিতে কষ্টের অনুভূতি বেশ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে, আর যে ছবি থেকে অশ্রু মুছে ফেলা হয়েছে সেগুলোতে কষ্টের ছাপ তেমন একটা বোঝা যায় নি। বরং সেগুলোতে অনেকে মিশ্র অনুভূতিও লক্ষ্য করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ কাঁদে অন্যের সহানুভূতি পাবার আশায় ।পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্ট ডক্টরেট লরেন বিলস্মা কয়েকজনকে নিয়ে একটি গবেষণা করেন, যাতে দেখা যায় অংশগ্রহণকারী কাঁদলে এবং তাকে অন্য কেউ কাঁদতে দেখলে সেটি কেমন প্রভাব ফেলে। যদি সেই অন্য মানুষটি কাছের কেউ হয়, তাহলে কাঁদতে ভালো লাগে। কিন্তু সেটি যদি অপরিচিত কেউ হয়, তাহলে কাঁদতে বেশ লজ্জা লাগে বা অস্বস্তিকর লাগে। কিন্তু তারপরও কাঁদলে সেটা হয় কোনো নির্মম ঘটনার জন্য। তারা সব থেকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন একা একা কাঁদতে ।

১৯৮০ সালে প্রাণ রসায়নবিদ উইলিয়াম এইচ ফ্রেই এক গবেষণায় দেখেন, মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় একটু বেশিই কাঁদে। প্রতি মাসে গড়ে একজন নারী যেখানে কাঁদেন ৫.৩ বার, সেখানে একজন পুরুষ কাঁদে মাত্র ১.৩ বার। লরেন বিলস্মাও একই ফলাফল পান তার গবেষণায়। এজন্য দায়ী করা যেতে পারে ছেলেদের টেস্টোস্টেরোন হরমোনকে যা কাঁদতে বাঁধা দেয়, আর মেয়েদের প্রোল্যাক্টিন হরমোনকে যা কান্না বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এটি পুরোটাই প্রাকৃতিক ব্যাপার না।

কাঁদলে মন হালকা হয়। কাজে উদ্যম ফিরে আসে। তাছাড়া ইমোশনাল টিয়ার্স আপনার শরীরের স্ট্রেস কমিয়ে দেয়। তাই কান্নার কিন্তু বেশ কিছু উপকারিতাও আছে। যদিও খুব বেশি কাঁদলে ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। খুশির কান্না অনেক সময় সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার জন্য হয়ে থাকে। আরেকটি মজার তথ্য হলো ছোট বাচ্চাদের কান্নারও ধরন আছে। সেটি তিন রকমের- মৌলিক কান্না, রাগের কান্না এবং ব্যথার কান্না।

 

 

 

2.4

0 টি ভোট
করেছেন (16,190 পয়েন্ট)
দুঃখ হলে, কষ্ট পেলে এমনকি আনন্দেও আমাদের চোখে জল চলে আসে। কান্না আমাদের খুবই সাধারণ একটা অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। কান্না অনেক প্রকারের হয়। অনেক মানুষ চিত্‌কার করে কাঁদেন। আবার অনেক মানুষের কান্নার সময় গলা থেকে কোনও আওয়াজই হয় না। কান্না আবার শরীরের পক্ষেও প্রয়োজনীয়। যে সমস্ত মানুষের চোখে জল আসে না বা কাঁদে না, তাহলে বুঝতে হবে তারা সুস্থ মানুষ নয়। কিন্তু কেন মানুষ কাঁদে? শরীর বা মস্তিষ্কে কী এমন হয়, যার ফলে চোখে জল আসে?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি কাঁদেন। কান্নার তেমন নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা নেই। যখন আমরা কষ্ট পাই, যখন আমাদের মস্তিষ্কে চাপ পড়ে। বিশেষ করে একা অনুভব করলে আমরা বেশি কাঁদি।

কষ্ট, আনন্দ এবং ভয়ের বহিঃপ্রকাশই হল কান্না। কান্না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুঃখের বহিঃপ্রকাশ। কান্না সুস্থ শরীরের লক্ষ্যন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 675 বার দেখা হয়েছে
20 এপ্রিল 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন হায়াত (20,400 পয়েন্ট)
+12 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,616 বার দেখা হয়েছে
25 জানুয়ারি 2020 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,130 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 448 বার দেখা হয়েছে
02 জানুয়ারি 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন অচেনা মানুষ (3,170 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 211 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 250 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

264,959 জন সদস্য

42 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 41 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    120 পয়েন্ট

  2. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  3. EricToussain

    100 পয়েন্ট

  4. hocnghenailaau

    100 পয়েন্ট

  5. AlbertinaDob

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...