হিন্দু ধর্মে যে অবতার শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়,এই অবতার অর্থ কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
1,195 বার দেখা হয়েছে
"মিথোলজি" বিভাগে করেছেন (840 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (840 পয়েন্ট)

অবতার (সংস্কৃত: अवतार, IASTavatāra,) "[১]"[২] হল হিন্দুধর্মের একটি মতবাদ। পৃথিবীতে কোনও দেবতার আবির্ভাব বা আবির্ভূত জীবদেহকে "অবতার" বলা হয়।[৩] শব্দটি সাধারণ ক্ষেত্রে "ব্যক্তিবিশেষের দেবতা আবির্ভাবের জন্য অবতরণ" অর্থে ব্যবহৃত হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সম্মানীয়/শ্রদ্ধেয়/স্রষ্টার বাণী নিয়ে জীবদেহ ধারণ গুরু বা কোনও মানুষকেও অবতার বলে উল্লেখ করা হয়।[৪]

বিষ্ণুর দশাবতার: (উপরের বাঁদিক থেকে ঘড়ির কাঁটার ক্রম অনুসারে) মৎস্যকূর্মবরাহবামনকৃষ্ণকল্কিবুদ্ধপরশুরামরাম ও নৃসিংহ এবং (মধ্যস্থলে) রাধাকৃষ্ণজয়পুর চিত্রকলা, ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে রক্ষিত।

বৈদিক সাহিত্যে অবতার শব্দটি পাওয়া যায় না।[৫] তবে বেদ-পরবর্তী সাহিত্যে এটি ক্রিয়াপদ আকারে উল্লিখিত হয়েছে। খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীর পরে রচিত পৌরাণিক সাহিত্যেই এই শব্দটিকে স্বতন্ত্রভাবে বিশেষ্য পদের আকারে ব্যবহার করা হয়েছে।[৬] ঋগ্বেদের বর্ণনা অনুসারে, ইন্দ্র একটি রহস্যময় শক্তির বলে ইচ্ছামতো যে কোনও রূপ ধারণ করতে পারেন।[৭][৮] ভগবদ্গীতা গ্রন্থে অবতার মতবাদটি বিস্তারিত ও সুস্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা হলেও সেখানে অবতার শব্দটির পরিবর্তে অন্যান্য পারিভাষিক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।[৬][৯]

হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর সঙ্গেই অবতারবাদের বিশেষ সম্পর্ক। যদিও এই মতবাদ কিছু ক্ষেত্রে অন্য কয়েকজন দেবদেবীদের ক্ষেত্রেও প্রযুক্ত হয়।[১০] হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিতে বিষ্ণুর অবতারগুলির ভিন্ন ভিন্ন তালিকা পাওয়া যায়। গরুড় পুরাণ গ্রন্থে বিষ্ণুর দশাবতার ও ভাগবত পুরাণ গ্রন্থে বিষ্ণুর বাইশটি অবতারের বর্ণনা পাওয়া যায়। যদিও শেষোক্ত পুরাণটিতে এও বলা হয়েছে বিষ্ণুর অবতারের সংখ্যা অগণিত।[১১] বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্বে অবতারবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মতবাদ। হিন্দুধর্মের দেবী-কেন্দ্রিক শাক্তধর্মে মহাশক্তির বিভিন্ন অবতারের রূপ বর্ণিত হয়েছে। তাদের মধ্যে কালীদুর্গা ও ত্রিপুরাসুন্দরী সর্বাধিক পরিচিত।[১২][১৩][১৪] মধ্যযুগে রচিত কয়েকটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থে গণেশ ও শিব প্রমুখ অন্য কয়েকজন দেবতার অবতারের কথা উল্লিখিত হলেও সেই গ্রন্থগুলি অপ্রধান ও স্বল্পপরিচিত।[১৫] উল্লেখ্য, হিন্দুধর্মের বৈষ্ণব ও শৈব সম্প্রদায়ের মধ্যে অন্যতম প্রধান পার্থক্যই হল এই অবতারবাদ।

বৌদ্ধধর্ম,[১৬] খ্রিস্টধর্ম[১৬] ও অন্যান্য কয়েকটি ধর্মেও[১৬] অবতারবাদের অনুরূপ ধারণা দেখা যায়। শিখধর্মের ধর্মগ্রন্থগুলিতে অসংখ্য হিন্দু দেবদেবীর নাম উল্লিখিত হলেও সেখানে মানুষের ত্রাণকর্তা অবতারের ধারণাটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। শিখেরা এই ব্যাপারে নামদেব প্রমুখ হিন্দু ভক্তিবাদী সন্তদের মত অনুসরণ করেন। তাদের মতে, নিরাকার নিত্য ঈশ্বর মানব হৃদয়ে অবস্থান করেন এবং মানুষ নিজেই নিজের রক্ষাকর্তা।[১৭]

0 টি ভোট
করেছেন (3,170 পয়েন্ট)
হিন্দুধর্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অবতারবাদে বিশ্বাস । অবতার-এর অর্থ হচ্ছে উপর থেকে নিচে নামা বা অবতরণ করা । স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্য ধর্ম অনুশীলনের ব্যবস্থা রেখেছেন । ধর্মের অসাধারণ গুণ! ধর্মকে যিনি রক্ষা করেন, ধর্ম তাকে রক্ষা করে ‘ধর্মো রক্ষতি রক্ষিতঃ'। তবে মনুষ্যসমাজে মাঝে মাঝে ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা দেখা দেয় । ধার্মিকদের জীবনে নেমে আসে । নিপীড়ন-নির্যাতন । দুষ্কৃতকারীদের অত্যাচার-অনাচার সমাজজীবনকে কলুষিত করে তােলে । এরূপ অবস্থায় ভগবান স্বয়ং মনুষ্যাদির মূর্তি ধারণ করে পৃথিবীতে নেমে আসেন । একেই বলা হয় অবতার । আর অবতার সম্পর্কে যে দার্শনিক চিন্তা-ভাবনা, তা অবতারবাদ নামে পরিচিত ।
0 টি ভোট
করেছেন (10,050 পয়েন্ট)
হিন্দুধর্মের মানুষ তাদের দেবতাকে অবতার বলে থাকে ।অবতার মানে হচ্ছে উপর থেকে নিচে নেমে আসা ।তারা মনে করে যখন তরা বিপদে পড়বেন তাদের দেবতা উপর থেকে নিচে নেমে আসবেন ।তাই তারা তাদের দেবতাকে অবতার বলে থাকে ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+4 টি ভোট
1 উত্তর 461 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 690 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
1 উত্তর 431 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 416 বার দেখা হয়েছে
10 জানুয়ারি 2022 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন R Atiqur (43,950 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
1 উত্তর 453 বার দেখা হয়েছে

10,876 টি প্রশ্ন

18,576 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

862,373 জন সদস্য

56 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 54 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tanzem Monir Ahmed

    540 পয়েন্ট

  2. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

    180 পয়েন্ট

  3. kim88life

    100 পয়েন্ট

  4. Bj88vnart

    100 পয়েন্ট

  5. febet1club

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক #ask শরীর রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান প্রযুক্তি সূর্য স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং সাপ রাত শক্তি উপকারিতা লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার মস্তিষ্ক সাদা আবিষ্কার শব্দ দুধ মাছ উপায় হাত মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা বাতাস ভয় স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে মৃত্যু বৈশিষ্ট্য ব্যথা হলুদ বাংলাদেশ সময় চার্জ অক্সিজেন দাঁত ভাইরাস বিড়াল আকাশ গতি কান্না আম
...