সোশ্যাল সাইটে একটা তথ্য প্রায়ই ঘুরতে দেখা যায় যে হোমা পাখি নাকি আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় ডিম দেয়, আর মাটিতে পড়ার আগেই ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। সেই তথ্য বিবর্তিত হয়ে এটাও ছড়ায় যে হামিং বার্ড নাকি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম দেয়।
প্রথমে আসি হোমা বার্ড এর কথা। হোমা বা Huma পাখি আসলে ইরানিয়ান মিথোলজির অংশ, একটা কাল্পনিক পাখি ছাড়া আর কিছুই না। সেখানে হোমা বার্ড এর বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ার কথা বলা হয়েছিলো। বস্তুত সেইটা কাল্পনিক।
ডিম দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ শক্তি খরচ হয়, তাতে পাখিকে ওড়া বন্ধ করে কোনো এক জায়গায় থিতু হতে হবে। যার কারণে কোনো পাখি সাধারণত উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে না। পাখিরা সাধারণত নিরাপদ কোনো স্থানে ডিম পাড়ে, সেটা নিজের বাসা হোক বা বাড়ির উঠান।
পাখিরা প্রায় পালকহীন অবস্থায় জন্ম নেয়। এবং একটা নবজাত পাখি এতোটাই দূর্বল হয় যে উড়া তো দূর, তাদের ডানার পালক বলতেই কিছু থাকেনা। যেখানে পাখিদের উড়ার জন্য অত্যন্ত সুগঠিত, সুঠাম ডানা, আর সুবিকশিত ফ্লাইট ফেদার্স এর প্রয়োজন পড়ে।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন, কল্পকাহিনীর গরু যেমন আকাশে উড়তে পারে, তেমনি ডিম ফুটে আকাশেই বাচ্চা বের হয়ে তৎক্ষণাৎ উড়তে পারাটাও কল্পকাহিনীতেই মানায়। বাস্তবে না।
কৃতজ্ঞতাঃ মিথিলা ফারজানা মেলোডি, শাহেদ রাইয়ান