সোরিয়াসিস প্রধানত শীতকালীন সমস্যা। অর্থাৎ শীতকালে এই রোগ প্রবল আকার ধারণ করে। আবার গরমকালে কিছুটা হলেও কমে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে সোরিয়াসিসর প্রধান লক্ষণ হল বুক ও পিঠে ব্রণর মতো ছোট লাল লাল ফুসকুড়ি হওয়া এবং সেখান থেকে স্কেল বা আঁশ উঠতে থাকা। একে গাটেট সোরিয়াসিস বলে।
এই রোগে অনেক সময় নখও আক্রান্ত হয় অর্থাৎ, নখে ছোট ছোট গর্ত দেখা দেয়। নখ মোটা হয়ে যায়। ভেঙেও যায়। তলার চামড়া থেকে নখ খুলে আসে। সোরিয়াসিস যখন সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ে তখন তাকে ইরিথ্রোডার্মিক সোরিয়াসিস বলে। আক্রান্ত অংশ চুলকায় না। তবে আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ঘামের জন্য অনেক সময় চুলকানি হয়। সোরিয়াসিসে আক্রান্ত অংশে বেশি চুলকালে রক্ত বেরোবার সম্ভাবনা থাকে
সোরিয়াসিসে আক্রান্তদের মাথা থেকে চুল উঠতে শুরু করে। খুশকির মতো স্কেল ওঠে। সাধারণত এই কারণেই খুশকির সঙ্গে সোরিয়াসিসকে গুলিয়ে ফেলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। অনেকে সে ভুলও করেন
দীর্ঘদিন সোরিয়াসিসে ভুগতে থাকলে অনেক সময় ইনফেকশনের সম্ভাবনা তৈরি হয়
সুস্থ মানুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৫৬-৫৭ দিন অন্তর নতুন ত্বকের সৃষ্টি হয়। কিন্তু সোরিয়াসিস হলে নতুন ত্বক সৃষ্টির গতি অনেকটাই বেড়ে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে অন্য সিস্টেমেটিক ডিজিজ অর্থাৎ সোরিয়াটিক আর্থারাইটিস (হাত বা পায়ের আঙুলের মতো দেহের ছোট ছোট গাঁটগুলোতে প্রবল আকারে ব্যথা) হয় না। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, থাইরয়েড-এও এই সিস্টেমেটির ডিজিজগুলো হয় না
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নখে সংক্রমণ কম হলেও অন্যান্য অংশের সংক্রমণ দ্রুত হারে ছড়ায়।