শ্বেতী রোগ কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
333 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

4 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
শ্বেতি বা ভিটিলিগো আমাদের চামড়ার ওপরে হওয়া এক ধরনের সাদা দাগ। এই রোগ এক ধরনের পিগমেন্টাল ডিসঅর্ডার। আমাদের কোষে মেলানিন নামে এক ধরনের পদার্থ তৈরি হয়, যা ত্বকের স্বাভাবিক রঙ বজায় রাখতে সাহায্য করে। কোনও কারণে যদি এই মেলানোসাইট নষ্ট হয়ে যায়, তখন ত্বক তার স্বাভাবিক রঙ হারিয়ে সাদা হতে শুরু করে। এটাই শ্বেতী। আবার অনেক সময় কোনও জায়গা পুড়ে গিয়ে, ফোঁড়া কিংবা পক্স হওয়ার পরে, ছড়ে গিয়ে সাদা দাগ হতে পারে। সেও এক ধরনের শ্বেতী। তবে তাকে বলে সেকেন্ডারি লিউকোডার্মা।

চামড়ার রঙ সাদা হওয়া ছাড়া এ রোগে সেরকম কোনও লক্ষ্ণণ থাকে না। চুলকুনি/ফুসকুড়ি হয় না। কম বয়সে শ্বেতীর সমস্যা হলে শুরুর দিকে অনেকের গ্রে হেয়ারের সমস্যা থাকে। এমন কি চোখের পাতা ও ভুরু সাদা হয়ে যায়। যাদের গায়ের রঙ কালো তাদের মুখের ভিতরে এক ধরনের রঙের পরিবর্তন চোখে পড়ে।

শরীরের যে কোনও অংশে শ্বেতী হতে পারে। তবে ঠোঁট, মুখ ও পিঠে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাচ্চাদের মুখ, চোখের পাশ, আঙুলের ডগা ও ঠোঁটে শ্বেতী বেশি হয়। মুখ ও নাকের ভিতরের টিস্যু মিউকাস মেমব্রেন ও আইবলের ভিতরের স্তর রেটিনাতেও শ্বেতীর প্রকোপ হতে পারে। অনেক সময় সমুদ্রের ধার বা পাহাড়ি অঞ্চলে খুব ঠান্ডায় ঘুরে আসা বাচ্চাদের এই সমস্যা হয়। ৩-৪ মাসের বাচ্চারও শ্বেতী হতে পারে। আর এই রোগ হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই।

কিসের অভাবে দেহের বিভিন্ন অংশে শ্বেতী রোগ দেখা দেয়

ঠিক কিসের অভাবে শ্বেতী রোগ হয় তা বলা মুশকিল। বলা যেতে পারে শরীরের সুরক্ষা রক্ষার ক্ষমতার সঙ্গে এই রোগের যোগ আছে। শ্বেতী আসলে এক ধরনের অটো ইমিউন রোগ। এই রোগে আক্রান্ত মানুষের শরীরের অ্যান্টিবডি নিজের শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে মেলানোসাইট ধ্বংস করে দেয়। অর্থাৎ, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেহের বিরুদ্ধাচরণ করতে থাকে। বলা যায়, রক্ষকই ভক্ষক। স্ট্রেস থেকে শরীরের সুরক্ষা ক্ষমতা কমে গেলেও শ্বেতীর সমস্যা বাড়ে। আবার দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড সমস্যার চিকিত্সা না করালেও তা আগে থেকেই শ্বেতীর সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।
0 টি ভোট
করেছেন (14,120 পয়েন্ট)

শ্বেতী রোগ সাধারণত শরীরের কোনো বিশেষ স্থানের ত্বকের রং উৎপাদনকারী কোষ বা মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে অথবা মরে গেলে মেলানিন নামক ত্বকের রঞ্জক (রং) তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে। শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় বা প্রানঘাতি নয়।

0 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
শ্বেতী কেন হয়? ত্বকের স্বাভাবিক রঙের ভারসাম্য রক্ষা করতে কাজ করে ত্বকের মধ্যে থাকা মেলানোসাইট কোষের মেলানিন অংশটি। এটির ভারসাম্য নষ্ট হলে বা এর ক্রিয়াকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে সাধারণত শ্বেতী হয়ে থাকে। আবার বংশগতভাবেও এ রোগটি অনেক হয়ে থাকে
0 টি ভোট
করেছেন (5,210 পয়েন্ট)
শ্বেতী রোগ সাধারণত শরীরের কোনো বিশেষ স্থানের ত্বকের রং উৎপাদনকারী কোষ বা মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে অথবা মরে গেলে মেলানিন নামক ত্বকের রঞ্জক (রং) তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে। শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় বা প্রানঘাতি নয়। বিজ্ঞানীরা এই রোগের কারণ এখনও জানতে পারেননি।

 

ধন্যবাদ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 260 বার দেখা হয়েছে
21 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 245 বার দেখা হয়েছে
21 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 330 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 469 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 272 বার দেখা হয়েছে
21 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,622 জন সদস্য

109 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 108 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. JosefinaFett

    100 পয়েন্ট

  5. GladisScc821

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...