বর্ণান্ধতা সাধারণত ৩ ধরনের হয়ে থাকে-
১. লাল সবুজ বর্ণান্ধতা:
বর্ণান্ধতায় এটা সবচেয়ে প্রচলিত। যা প্রধানত লাল ও সবুজ কোণ ফটো-পিগমেন্টের যথাযথ কার্যকলাপের অভাব থেকে হয়। এই রকমের বর্ণান্ধতাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়-প্রোটানোমালি (লাল কোন পিগমেন্টের অস্বাভাবিকতা থেকে হয় এবং লাল, হলুদ ও কমলা রঙের সবুজ দেখা যায়)। প্রোটানোপিয়া (লাল কোন পিগমেন্টের কার্যকলাপের ক্ষতি থেকে হয় এবং লাল রঙ কালো, হলুদ, সবুজ ও কমলা রঙের দেখা যায়)।ডিউটেরানোমালি (সবুজ কোন পিগমেন্টের অস্বাভাবিকতা থেকে হয় এবং হলুদ ও সবুজ রঙ লাল বলে মনে হয়)। ডিউটেরানোপিয়া (সবুজ কোণ পিগমেন্টের কার্যকলাপের ক্ষতি থেকে হয় এবং লাল রঙ বাদামী হলদেটে ও সবুজ রঙ ধোঁয়াটে পশমির মতো দেখায়)।
২. নীল হলুদ বর্ণান্ধতা: এই বিরল ধরণের বর্ণান্ধতা নীল ফটো-পিগমেন্টের সঠিক কার্যকলাপের অভাবের জন্য হয়। এটাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- ট্রিটানোমালি (এটি নীল কোন পিগমেন্টের কাজ নষ্ট হবার জন্য হয় এবং নীল রঙ সবুজ দেখায় এবং হলুদ, লাল ও বাদামী রঙের তফাৎ বুঝা যায় না)।ট্রিটানোপিয়া (নীল কোন পিগমেন্টের অভাবের জন্য হয় এবং নীল রঙ সবুজ দেখায় এবং হলুদ রঙ ধূসর ও বেগুনী মনে হয়)।
৩. সম্পূর্ণ বর্ণান্ধতা: এটা বর্ণান্ধতার বিরল ধরণ, যেখানে যেকোনো ধরণের রঙ চিনতে পারে না। এটা স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তির ক্ষেত্রেও হস্তক্ষেপ করে। এটাকেও দুই ভাগে ভাগ করা যায়- কোন মনোক্রোমাসি (বহুবিধ কোন পিগমেন্টের যথাযথ কার্যকলাপের অভাবের ফলে হয় এবং লাল, সবুজ ও নীল সেল মনোক্রোমাসি হতে পারে)। রড মনোক্রোমাসি (বর্ণান্ধতার বিরল থেকে বিরল ধরণ, যা বিভিন্ন ধরণের ফটো পিগমেন্টের অভাব থেকে হয়। ভুক্তভোগীরা শুধুই সাদা, কালো ও ধূসর রঙ বুঝতে পারে)।