নভেল করোনা ভাইরাস চীনের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হয়েছে। আরো নিখুঁত ভাবে বললে উহানের "ওয়েট মার্কেট" থেকে এ এই ভাইরাসের প্রথম চিহ্ন পাওয়া যায়।
ওয়েট মার্কেটে জীবন্ত জীব জন্তু কেটে বিক্রি করা হয়। যেমন সাপ, পঙ্গোলিন, বিভার, কর্কুপাইন ইত্যাদি আরও অনেক কিছু।
বিশ্বের বেশিরভাগ বিজ্ঞানীদের এখনও পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নভেল করোনা ভাইরাস প্রথম বাঁদুড় এ উৎপত্তি হয় এবং বাদুড় থেকে পঙ্গোলিন এবং তারপর পঙ্গোলিন থেকে মানুষে প্রবেশ করে (অনেকে আবার বলছেন পঙ্গোলিন নয় সাপ থেকে মনুষ্য সমাজে এসেছে) ।
যাই হোক যেখান থেকেই আসুক না কেন এখন প্রশ্ন হলো এই ভাইরাস এর আবির্ভাব হল কি করে ? সাধারণভাবে মনে করা হচ্ছে ওয়েট মার্কেট এ চরম অসাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন জীবিত প্রাণী রাখা থাকে এবং একটার ওপর আরেকটা তার ওপর অন্য খাঁচা করে প্রাণী রাখা হয় যার ফলে একদম ওপরের প্রাণীর নিষ্কাশিত পদার্থ ( মল, মূত্র) তার নিচের প্রাণী খাবার হিসাবে খাচ্ছে এবং এদের উভয়ের মল, মূত্র একদম নিচের প্রাণী খাচ্ছে এছাড়া ওয়েট মার্কেট এ সর্বদা তাজা প্রাণী কাটা হয় এবং তাদের মাংস সংরক্ষণ করার জন্য প্রচুর পরিমানে বরফ ব্যবহার করার ফলে বাজার সব সময় স্যাঁতসেঁতে থাকে যা ভাইরাসের জন্য আদর্শ জায়গা। এভবেই দীর্ঘদিন চরম অস্বাস্থকর পরিবেশে থাকার ফলে বাঁদুড় এ এই ভাইরাস আসে (প্রাথমিক অনুমান) তারপর উপরোক্ত কোনো পদ্ধতিতে পঙ্গোলিন বা সাপে আসে তারপর তার থেকে মানুষে ( সেই সব প্রাণীর মাংস কাঁচা বা স্বল্প সেদ্ধ করা অবস্থায় খাওয়ার ফলে) ।
খুব ভালো একটি প্রশ্ন করেছেন যে নভেল করোনা ভাইরাস ছোঁয়াচে রোগ তাহলে প্রথম আক্রান্ত ব্যাক্তির কার ছোঁয়াতে এই রোগ হল। এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে আমি কিছু তথ্য তুলে ধরতে চাই তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর সম্মন্ধে ধারণা পাওয়া যাবে।
আমরা সকলেই জানি নভেল করোনা ভাইরাস চীনের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হয়েছে। আরো নিখুঁত ভাবে বললে উহানের "ওয়েট মার্কেট" থেকে এ এই ভাইরাসের প্রথম চিহ্ন পাওয়া যায়।
ওয়েট মার্কেটে জীবন্ত জীব জন্তু কেটে বিক্রি করা হয়। যেমন সাপ, পঙ্গোলিন, বিভার, কর্কুপাইন ইত্যাদি আরও অনেক কিছু।
বিশ্বের বেশিরভাগ বিজ্ঞানীদের এখনও পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নভেল করোনা ভাইরাস প্রথম বাঁদুড় এ উৎপত্তি হয় এবং বাদুড় থেকে পঙ্গোলিন এবং তারপর পঙ্গোলিন থেকে মানুষে প্রবেশ করে (অনেকে আবার বলছেন পঙ্গোলিন নয় সাপ থেকে মনুষ্য সমাজে এসেছে) ।
যাই হোক যেখান থেকেই আসুক না কেন এখন প্রশ্ন হলো এই ভাইরাস এর আবির্ভাব হল কি করে ? সাধারণভাবে মনে করা হচ্ছে ওয়েট মার্কেট এ চরম অসাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন জীবিত প্রাণী রাখা থাকে এবং একটার ওপর আরেকটা তার ওপর অন্য খাঁচা করে প্রাণী রাখা হয় যার ফলে একদম ওপরের প্রাণীর নিষ্কাশিত পদার্থ ( মল, মূত্র) তার নিচের প্রাণী খাবার হিসাবে খাচ্ছে এবং এদের উভয়ের মল, মূত্র একদম নিচের প্রাণী খাচ্ছে এছাড়া ওয়েট মার্কেট এ সর্বদা তাজা প্রাণী কাটা হয় এবং তাদের মাংস সংরক্ষণ করার জন্য প্রচুর পরিমানে বরফ ব্যবহার করার ফলে বাজার সব সময় স্যাঁতসেঁতে থাকে যা ভাইরাসের জন্য আদর্শ জায়গা। এভবেই দীর্ঘদিন চরম অস্বাস্থকর পরিবেশে থাকার ফলে বাঁদুড় এ এই ভাইরাস আসে (প্রাথমিক অনুমান) তারপর উপরোক্ত কোনো পদ্ধতিতে পঙ্গোলিন বা সাপে আসে তারপর তার থেকে মানুষে ( সেই সব প্রাণীর মাংস কাঁচা বা স্বল্প সেদ্ধ করা অবস্তায় খাওয়ার ফলে) ।
এই ভাইরাস টি যখন বাঁদুড় বা পঙ্গোলিন এ ছিল তখন এর প্রভাব এতো ছিল না। এরপর যখন মানুষে আসে তখন এর জেনেটিক স্ট্রাকচার ভীষণ শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং তার ফল এখন আমরা সবাই দেখছি। করোনা ভাইরাস জেনেটিক দিক থেকে এতটাই শক্তিশালী এবং ভয়ংকর যে মাত্র ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস সময়ের মধ্যে নিজের জেনেটিক কাঠামো বহুবার পরিবর্তন করেছে।
সুতরাং এর থেকে পরিষ্কার যে প্রথম আক্রান্ত ব্যাক্তি কোনো প্রাণী (পঙ্গোলিন বা সাপ এই জাতীয় কোনো প্রাণী ) থেকে আক্রান্ত হয়েছিল । আর প্রথম আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে দ্বিতীয় ব্যাক্তি সেখান থেকে তৃতীয় এবং এই ভাবে কমিউনিটি ট্রান্সফার (সম্প্রদায় স্থানান্তর, একজনের থেকে অন্যজনের ) এর ফলে বর্তমানে পৃথিবীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লাখ অতিক্রম করেছে এবং প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে আশার কথা বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে খুব ভালো ফল পাচ্ছে এবং এখন ধীরে ধীরে মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং সুফলও পাওয়া যাচ্ছে, তাই আশা করা যাই খুব শিগ্রই এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে। ততদিন সবাই সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে চলুন, যত সম্ভব লকডাউন মেনে চলুন অযথা বাইরে বেড়োবেন না।