এন্টিবায়োটিক সিরাপ গুলো সাসপেনশন মানে অসমস্বত্ত্ব দ্রবণ। এখানে ছোট ছোট ওষুধের দানাগুলো পানিতে ঠিক মত দ্রবীভূত হয় না। তাই কোনো জায়গায় ওষুধের বোতলটি রেখে দিলে ওষুধের গুঁড়াগুলো তলানীতে পড়ে যায়। খাওয়ার আগে ঝাঁকিয়ে নিলে তা পুরো পানিতে সমান ভাবে মিশ্রিত হয়ে যায়। তরল সাসপেনশন এ তলানি জমে,তাই রোগীকে সঠিক মাত্রায় ওষুধ দেওয়া সম্ভব হবে না ।তাই ঝাঁকুনি দিতে হয়। ফলে এটির সুষম মিশ্রণ হয়।ফলে রোগী সঠিক মাত্রায় ওষুধ খেতে পারে।
কখন ঝাঁ কানাে লাগবে, আর কখন লাগবে না এ ব্যাপারে অনেককেই দ্বিধায় পড়তে হয়।বােতলের ওষুধ দুই প্রকার হয়-সিরাপ এবং সাসপেনশন। সিরাপগুলাে সমস্বত্ত্ব দ্ৰবন,তাই এটাকে ঝাঁকানাে লাগে না। এটা পুরাে দ্রবনেই সমান ভাবে মিশে থাকে। আর সাসপেনশনগুলাে অসমস্বত্ত্ব দ্ৰবন। ছােট ওষুধের দানাগুলাে পানিতে ঠিকমত দ্রবীভূত হয় না। তাই রেখে দিলে ওষুধের গুঁড়াগুলাে তলানি পড়ে যায়। তাই খাওয়ার আগে ঝাঁকুনি দিলে, তা পুরাে পানিতে সমানভাবে মিশ্রিত হয়। সুতরাং যেসব বােতলের গায়ে সিরাপ লেখা, তা ঝাঁকানাের দরকার নাই। আর যেসব বােতলের গায়ে সাসপেনশন লেখা, তা খাওয়ার আগে ঝাঁকিয়ে খাওয়া বাঞ্চনীয়।
source :www.bissoy.com