লজ্জাবতী গাছের পাতাকে স্পর্শ করলে নুয়ে যায় কেনো? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
1,177 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (12,550 পয়েন্ট)

5 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

 

`

 

 

  1.  
  2.  
  3. আজকের পত্রিকা
  4.  
  5. নিত্যদিন

কে কী কেন কিভাবে

লজ্জাবতীর পাতা কেন নুয়ে পড়ে

  •  
  •  
  •  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
  •  
  •  
  •  
  •  

-

 


আজ তোমরা জানবে লজ্জাবতীর পাতা কেন সঙ্কুচিত হয় বা নুয়ে পড়ে, এ সম্পর্কে ।
লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ
বলতে পারো, লজ্জাবতী কী? লজ্জাবতী হচ্ছে স্পর্শকাতর লতাবিশেষÑ একজাতীয় লতা যার পাতা স্পর্শ করলে সঙ্কুচিত হয়। কিন্তু কেন?
আমরা লজ্জা পেলে যেমন মাথা নুইয়ে ফেলি, বিশেষ এক গাছের প্রায় একই রকম বৈশিষ্ট্যের কারণে গাছটির নাম লজ্জাবতী। কিন্তু গাছের আবার লজ্জা কিসের! লজ্জাবতীর ছোট পত্রকগুলো আলো পেলে খুলে যায়, অন্ধকারে বন্ধ হয়। কিন্তু হঠাৎ ছুঁলে লজ্জাবতীর পাতা নুয়ে তো পড়েই, ছোট পত্রকগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়টি বিজ্ঞানীদেরও বেশ ভাবিয়েছে। শেষে তারা লজ্জবতী গাছ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জেনেছেন দারুণ কিছু বিষয়।
লজ্জাবতীর পাতা কেন সঙ্কুচিত হয় বা নুয়ে পড়ে, এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে জানান, লজ্জাবতীর পাতার গোড়া একটু ফোলা থাকে। এর ভেতরে বড় বড় অনেক কোষ আছে। এসব কোষ যখন পানিভর্তি হয়ে ফুলে ওঠে, তখন লজ্জাবতী পাতার ডাঁটাটি সোজা হয়। কিন্তু হঠাৎ পাতা স্পর্শ করার সাথে সাথে ‘অ্যাসিটাইর কোলিন’ জাতীয় একধরনের রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে একটা তড়িৎ প্রবাহ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এই রাসায়নিক পদার্থ খুব দ্রুত এক কোষ থেকে আরেক কোষে যেতে পারে। এর প্রভাবেই পাতার গোড়ার ফোলা কোষগুলো থেকে খনিজ লবণ হঠাৎই বাইরে বেরিয়ে আসে। ফলে তার সাথে ফোলা কোষ থেকে পানিও বেরিয়ে পেছন দিককার কোষে চলে যায় এবং ফোলা কোষগুলো যায় চুপসে। আর কোষ চুপসে গেলেই তাদের চাপ কমে গিয়ে পাতার ডাঁটাটি আর সোজা থাকতে না পেরে নুয়ে পড়ে।

করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
এডিট করে পত্রিকার নাম, আইকন কাটুন
+1 টি ভোট
করেছেন (7,560 পয়েন্ট)

লজ্জাবতী গাছগুলো কেন এরকম আচরণ করে থাকে, তা’ নিয়ে বিজ্ঞানীরাও খুব চিন্তা ভাবনা, গবেষণা করেছেন। তাদের মতে, লজ্জাবতী গাছের পাতার গোঁড়াটা একটু ফোলা থাকে। এই ফোলা অংশের ভিতর থাকে বড় বড় কোষ। এসব কোষ যখন পানি ভর্তি থাকে তখন গাছের পাতার বোটা ফুলে ওঠে এবং ডাঁটা সোজা হয়। কিন্তু লজ্জাবতী গাছে কেউ হাত দিয়ে স্পর্শ করলেই তার সাড়া গায়ে একটা বিদ্যুৎ প্রবাহের সৃষ্টি হয়। এদের শরীরে এ্যাসিটাইলিন নামে এক প্রকারের রাসায়নিক পদার্থ আছে। এই এ্যাসিটাইলিন কোলিন পদাথের্র মাধ্যমেই এই বিদ্যুৎ প্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে ওদের সাড়া অঙ্গে। তখন এই রাসায়নিক পদার্থই দ্রুত এক কোষ থেকে আরেক কোষে ছুটতে থাকে। এ ফলে লজ্জাবতী গাছের কোষ থেকে খনিজ লবণ বেরিয়ে আসে। খনিজ লবণ বের হয়ে আসার সঙ্গে কোষে যে পানি জমা ছিল তাও বেরিয়ে আসে। পানি বের হয়ে যাওয়ার ফলে কোষগুলো চুপসে যায়। ফলে তাদের শক্তি ও চাপ কমে যায়। তখন গাছের পাতাগুলোও শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং দুর্বল হয়ে নুয়ে পড়ে। এই অবস্থা কিছুক্ষণ থাকে। আবার বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে ধীরে ধীরে কোষে পানি জমতে থাকে, গাছটি ও তখন পুনরায় সোজা হয়ে উঠে।

- সংগৃহীত

0 টি ভোট
করেছেন (7,700 পয়েন্ট)
লজ্জাবতীর পাতার গোড়া একটু ফোলা থাকে। এর ভেতরে বড় বড় অনেক কোষ আছে। এসব কোষ যখন পানিভর্তি হয়ে ফুলে ওঠে, তখন লজ্জাবতী পাতার ডাঁটাটি সোজা হয়। কিন্তু হঠাৎ পাতা স্পর্শ করার সাথে সাথে ‘অ্যাসিটাইর কোলিন’ জাতীয় একধরনের রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে একটা তড়িৎ প্রবাহ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এই রাসায়নিক পদার্থ খুব দ্রুত এক কোষ থেকে আরেক কোষে যেতে পারে। এর প্রভাবেই পাতার গোড়ার ফোলা কোষগুলো থেকে খনিজ লবণ হঠাৎই বাইরে বেরিয়ে আসে। ফলে তার সাথে ফোলা কোষ থেকে পানিও বেরিয়ে পেছন দিককার কোষে চলে যায় এবং ফোলা কোষগুলো যায় চুপসে। আর কোষ চুপসে গেলেই তাদের চাপ কমে গিয়ে পাতার ডাঁটাটি আর সোজা থাকতে না পেরে নুয়ে পড়ে

Source: nayadiganta
0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
লজ্জাবতীর ছোট পত্রকগুলো আলো পেলে খুলে যায়, অন্ধকারে বন্ধ হয়। কিন্তু হঠাৎ ছুঁলে লজ্জাবতীর পাতা নুয়ে তো পড়েই, ছোট পত্রকগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়টি বিজ্ঞানীদেরও বেশ ভাবিয়েছে। শেষে তারা লজ্জবতী গাছ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জেনেছেন দারুণ কিছু বিষয়।
লজ্জাবতীর পাতা কেন সঙ্কুচিত হয় বা নুয়ে পড়ে, এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে জানান, লজ্জাবতীর পাতার গোড়া একটু ফোলা থাকে। এর ভেতরে বড় বড় অনেক কোষ আছে। এসব কোষ যখন পানিভর্তি হয়ে ফুলে ওঠে, তখন লজ্জাবতী পাতার ডাঁটাটি সোজা হয়। কিন্তু হঠাৎ পাতা স্পর্শ করার সাথে সাথে ‘অ্যাসিটাইর কোলিন’ জাতীয় একধরনের রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে একটা তড়িৎ প্রবাহ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এই রাসায়নিক পদার্থ খুব দ্রুত এক কোষ থেকে আরেক কোষে যেতে পারে। এর প্রভাবেই পাতার গোড়ার ফোলা কোষগুলো থেকে খনিজ লবণ হঠাৎই বাইরে বেরিয়ে আসে। ফলে তার সাথে ফোলা কোষ থেকে পানিও বেরিয়ে পেছন দিককার কোষে চলে যায় এবং ফোলা কোষগুলো যায় চুপসে। আর কোষ চুপসে গেলেই তাদের চাপ কমে গিয়ে পাতার ডাঁটাটি আর সোজা থাকতে না পেরে নুয়ে পড়ে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+7 টি ভোট
6 টি উত্তর 1,625 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 271 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 926 বার দেখা হয়েছে
+17 টি ভোট
2 টি উত্তর 404 বার দেখা হয়েছে
21 সেপ্টেম্বর 2020 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন HABA Audrita Roy (105,570 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 534 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,634 জন সদস্য

123 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 123 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. VickiRalph17

    100 পয়েন্ট

  5. NickolasAber

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...