কোনো কোনো উড়োজাহাজ ১১ হাজার মিটার উঁচুতে ওড়ে। এত উঁচুতে চলা উড়োজাহাজের জানালায় ছিদ্র—ব্যাপারটা ভীতিকর মনে হয় না! ব্যাপারটা আসলে উল্টো। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই ছিদ্রগুলো করা হয় উড়োজাহাজের নকশা করার সময়। বিমানের ভেতরে থাকে উচ্চ চাপের বায়ু আর বাইরে বায়ুর চাপ অনেক কম। কাজেই বিমানের জানালাকে প্রচুর চাপ সহ্য করতে হয়। জানালাগুলো তৈরি করা হয় এক্রাইলিকের তিনটি স্তর দিয়ে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাইরের কাচটি। এটা বাইরের দিকে উন্মুক্ত থাকে। মাঝের কাচটিতে থাকে ছিদ্র। এই ক্ষুদ্র ছিদ্রগুলোর অন্য নাম ব্লিড হোল। আর যাত্রীদের দিকের কাচটির নাম স্ক্র্যাচ পেইন।
ব্লিড হোলগুলো যাত্রীদের কেবিন এবং দুটি কাচের মাঝের স্থানের বায়ুর চাপকে সাম্যাবস্থায় পৌঁছাতে সাহায্য করে। ফলে কেবিনের বায়ুর চাপ শুধু বিমানের জানালার সবচেয়ে বাইরের অংশের ওপর চাপ দেয়। ছিদ্রটির কারণে মাঝের কাচটির ওপরও চাপ কম পড়ে। আবার তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে জানালার কাচগুলো কুয়াশাচ্ছন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেটা হয় না এই ছিদ্রের কারণে। আর যদি কোনো কারণে বাইরের কাচটি ভেঙে যায়, মাঝের কাচটি তখন যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে পারবে। আবার ছিদ্রের কারণে বায়ুর চাপের ঘাটতি বিমানের বায়ুর চাপনিয়ন্ত্রক সিস্টেম পুষিয়ে নিতে পারবে।