পরীক্ষার টেনশন খুবই বিরক্তিকর একটা সমস্যা।অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো থাকলেও আমরা টেনশন এর ভুগার কারণে মানসিক চাপে পড়ে সব ভুলে যাই।কিংবা কেউ যদি ভালোভাবে প্রস্তুতি না নেয় সেক্ষেত্রেও মানসিক চাপে ভুগতে পারে এবং এতে করে রেজাল্ট খারাপ হয়।
তাহলে করণীয় কি?
- প্রথমে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে অযথা চিন্তা বেশী করা যাবেনা। প্রিপারেশন ভালো হলে আসলে চিন্তার তেমন কোনো কারণ নেই।
- পরীক্ষার আগের দিন রাতে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমাতে হবে।সকালে ঘুম থেকে উঠে হাল্কা পড়া রিভিশন দিতে চাইলে দেওয়া যাবে।তবে সকালে না পড়া ভালো।
- পরীক্ষার আগের দিন সব চ্যপ্টার রিভিশন দেওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে।আগের দিন যত কম পড়া যায় তত ভালো।
- নিজের প্রতি যথেষ্ট কনফিডেন্স রাখতে হবে । কনফিডেন্সের অভাবেই মূলত টেনশন শুরু হয়। সবসময় এটা মাথায় রাখতে হবে,আমি যা পড়েছি তা যথেষ্ট এবং আমার পরীক্ষা ভালো হবেই।
- অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষার আগের রাতে যখন পড়তে বসি তখন এমন অনেক পড়াই দেখবে যেগুলো তুমি আগে পড়নি,এটা থেকে তোমার টেনশন দেখা দিবে যে তোমার অনেক পড়াই রয়ে গেছে ,পরীক্ষার খারাপ হবে,এসব চিন্তা মাথায় আসে। পরীক্ষার আগের দিন রাতের সবচেয়ে বোকামির কাজ হচ্ছে এমন কিছু পড়া যেটা তুমি আগে হয়ত স্কিপ করে গেছো। তখন তুমি পড়তে গেলে পড়বে ঠিকই কিন্তু এটা তোমার মনে থাকবে না,এতে করে বাড়তি চিন্তা তো দেখা দিবেই,পাশাপাশি তুমি হয়ত গুরুত্বপূর্ণ কোনো অধ্যায় রিভিশন দেওয়ার সময় টা নষ্ট করবে। সুতরাং নতুন কিছু না পড়ে পুরনো পড়া আবার রিভিশন দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।এতে করে কনফিডেন্স গ্রো করবে।
- আর যদি প্রিপারেশন খারাপ হয় তাহলে টেনশন করা স্বাভাবিক ব্যপার। কারণ এতোদিন যে সময়গুলো অপচয় করেছ, তার মাশুল তো তোমাকেই দিতে হবে। তবে বেশী টেনশন না করে যা পড়েছ সেগুলোর প্রতিই ফোকাস রাখা ভালো।
আর সবসময় মাথায় রাখতে হবে, তুমি যা চাও ,তাই পাবে,আর সেটাই পাবে,যা তুমি কর।(আল-কুর'আন)
সো, NO চিন্তা, DO ফুর্তি।