মরিশাস ভারতীয় মহাসাগরের একটি দ্বীপ রাষ্ট্রের নাম। বিশ্বব্যাপী এই দ্বীপটি পর্যাটন স্পট হিসেবে বেশি পরিচিত। কেননা এটি সমুদ্র সৈকত, লেগুন এবং বিভিন্ন রীফ বা সমুদ্রের নিচে ডুবে থাকা পাহাড়ের অবস্থান হিসেবে উল্লেখযোগ্যা। এই জন্য সারা বছর এই দ্বীপটিতে মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে একটি কথা কোন ভাবেই অস্বীকার করা যায় না যে দ্বীপটি অত্যান্ত ব্যায়বহুল। বেশিভাগ তারকারা এই খানে ঘুরতে যায়। এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। ফলে যে কারও এই অঞ্চল ভাল লেগে থাকে। বীচ অনেক থাকায় সমুদ্রের নিচের সৌন্দর্য আরও বেশি সুন্দর। সমুদ্রের পানি রং নীল হওয়াই দেখতে অপূর্ব লাগে। পানির নিচের সম্পূর্ন সৌন্দর্য পানির উপর থেকেই খালি চোখে দেখা যায়।
দ্বীপটি অনেক সুন্দর হলেও এখানের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং আবহাওয়া মানুষ এবং প্রানীদের জন্য উপকারী। এখানের পরিবেশে ফ্রেশ এয়ার পাওয়া যায়। ফলে দূষনমুক্ত পরিবেশ সবারই পছন্দ হয়। ধারনা করা হয় কোন আগ্নেয়গিরিতর অগ্ন্যুৎপাত হতে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে। আজকে ঐ দ্বীপে যে সমস্ত প্রানীদের দেখা মিলবে তাদের সম্পর্কে আলোকপাত করা হল। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আলডাবরা কচ্ছপঃ
পর্যাটন স্পট ছাড়াও এখানে প্রানীদের বৈচিত্র্যতাও লক্ষ্য করা যায়। এই খানে। এই প্রজাতির কচ্ছপ ৩০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।এই দ্বীপকে আলডাবরা কচ্ছপের হোম আইল্যান্ড বলে হয়। এদের আকৃতি অনেক বড় হওয়াই মানুষ জায়ান্ট কচ্ছপ বলে থাকে।
ছবিঃ আলডাবরা কচ্ছপ
গোলাপি কবুতরঃ
এদের অপর নাম পিজিয়ন রোজ। এদের কোন এক সময় এদের খুঁজে পাওয়া গেলেও বর্তমানে এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। এদের মাথার থেকে লেজ পর্যন্ত হরেক রকম রঙের সমাহার দেখা যায়। এদের ঠোঁট হালকা সাদা লাল রংয়ে, মাথা সাদা এবং ঘাড় ধূসর বর্নের। বন্য পরিবেশে ৪৭৫ ধরনের প্রজাতি দেখা মিলেছে।
ছবিঃ গোলাপি কবুতর
মরিশাস কেস্ট্রেলঃ
এদের অনেক মজার সার্ভাইভাল স্টোরি রয়েছে। এরা আকারে ছোট হলেও এদের বুক সাদা ক্রিম কালারের। এই সম্পুর্ন শরীরের উপর কালো রংয়ের ছোপ ছোপ দাগ বিশিষ্ট ডট রয়েছে। ধারনা করা হয়ে থাকে এদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল ২ মিলিয়ন বছর পূর্বে।এদের বেশিভাগ ক্ষেত্রে মরিশাস দ্বীপেই দেখতে পাওয়া যায়।
ছবিঃ কেস্ট্রেল পাখি
ইকোপার্কিট পাখিঃ
এই প্রজাতির পাখি দ্বীপের শেষ প্রান্তে দেখতে পাওয়া যায়। এরা মুলত এই আইল্যন্ডে বসবাস করা ৬ ধরনের টিয়া পাখিদের মধ্যে একটি। ৮০’ এর দশকে এদের সর্বপ্রথম দেখা মিলে। বর্তমানে এদের ৩০০ প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
ছবিঃ টিয়া পাখি
ফ্লাইং ফক্সঃ
এরা মুলত উড়ন্ত চামবাদুড়। দ্বীপ এলাকা হওয়াই এখানে নারিকেলের গাছ সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। এরা নিশাচর প্রানী হওয়াই এদের রাতের বেলা বেশি দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু মাঝে মাঝে দিনের বেলা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রানীদের শিকার অবৈধ হওয়ার পরও এদের সংখ্যা দিন দিন কমতেছে।
ছবিঃ বাদুড়
পরিশেষে, মরিশাসের মত সুন্দর দ্বীপের কিংবা উক্ত অঞ্চলের প্রানীদের বৈচিত্র্যের শেষ নেই। এইখানে যেমন সুন্দর প্রানীর দেখা মিলে জলের উপরে একইভাবে জলের নিচেও আরও বেশি ধরনের প্রানীদের সৌন্দর্যের দেখা মিলে। মরিশাসের সুন্দর সুন্দর প্রানীদের সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনাদের মুল্যবান মন্তব্য আমাদের সাথে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে শেয়ার করুন।
ভাইয়া আমরা সব কিছু কেন উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।আপনি যদি বলেন আমরা দেশ এমন তাহলে কি উত্তর হবে বলতে পারেন কখনো এগুলোর উত্তর হয় না।তাদের কাছে ভাল লাগে দ্বীপের মধ্যে হয়ত কোনো তাদের আদি পুরুষ এসব ব্যবহার করেছেন এইরকম হতে পারে।বিভিন্ন কারণে হতে পারে কিন্তু স্পেসিফিক উত্তর দেওয়া সম্ভব না ভাইয়া।যদি কখনো এদম সঠিক কারণ পায় জানানোর জন্য চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ।