প্রথমে আসি ডিমের রঙের ভিন্নতা নিয়ে,
সাধারণত মুরগীর কানের লোব এদের ডিমের রঙ নির্ধারণ করে। মুরগীর কান আমরা চোখে দেখতে পাই না কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পালক দ্বারা আবৃত থাকে তবে এদের লোব দৃশ্যমান। বিভিন্ন মুরগীর ইয়ার লোব বিভিন্ন রঙের হতে পারে। এদের ইয়ার লোবের রঙ নির্ধারণে যে সকল জিন দায়ী ঐ একই জিন মুরগীর ডিমের রঙ নির্ধারণেও দায়ী বলে প্রমানিত হয়েছে। সাদা ইয়ার লোবের জন্য পিউরিন নামক একধরনের পিগমেন্ট দায়ী, তবে লাল ইয়ার লোব হওয়ার পেছনে আলাদা কোনো পিগমেন্ট থাকে না, রক্তে বিদ্যমান Porphyrins IX পিগমেন্টই ডিমের রঙ বাদামী/লাল করে। বেশিরভাগ প্রজাতির মুরগীর সাদা ও লাল ইয়ার লোব থাকে, যদিও রঙের গাঢ়ত্ব কম বেশি হতে পারে। তবে, Araucana ব্রীডের ইয়ার লোব ফ্যাকাশে সবুজ বা নীল রঙের হয় যার ফলে এদের ডিমও ঐ সংশ্লিষ্ট রঙেরই হয়। প্রথমে সকল ডিমের খোলস সাদাই থাকে, যখন ডিম মুরগীর oviduct দিয়ে অতিক্রম করে তখনই পিগমেন্ট যোগ হয়। সাইন্স বী
বাইরের খোলসের রঙ কখনও এর পুষ্টিমান এর ব্যাঘাত ঘটায় না। সকল রঙের ডিমেই সমান‌ পুষ্টি বিদ্যমান।
এখন মনে প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক, তাহলে লাল/বাদামী রঙের ডিমের দাম বেশি কেনো?
- এর কারণ হলো, বেশিরভাগ Dual breed মুরগীর ডিম লাল হয়। যেসব মুরগী ডিম ও মাংস উভয় চাহিদা পূরণ করতেই পালন করা হয়, সেগুলো Dual breed. এরা আকারে কিছুটা বড় হয় এবং এদের বেশি পরিমাণে খাবার দিতে হয়। খাদ্যের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এদের পিছনে খরচ বেশি পরে, তাই লাল ডিমের দাম বেশি। এছাড়া দাম বেশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। সাইন্স বী
তাই ভুল ধারণা বাদ দিন! বাইরে সাদা/বাদামী হলেও ডিমের ভেতরে কিন্তু একই পুষ্টি উপাদান ও ক্যালরি বিদ্যমান। এখন থেকে সাদা ডিমকে আর অবহেলা না করে লাল ডিমের সমান অধিকার দিন!!
© সুমাইয়া রিফা
#Science #bee #Eggshells #facts