এপিলেপ্সি সারানোর উপায় কী? এই রোগটা কি একেবারে নির্মূল করা সম্ভব? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
226 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (150 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (140 পয়েন্ট)

মৃগীরোগের চিকিৎসা প্রধানত: নিম্ন লিখিত বিষয়গুলির উপর নির্ভরশীল:

এন্টি এপিলেপটিক ওশুধ 

এন্টিএপিলেপটিক ওষুধগুলিই সাধারণত পছন্দসই চিকিৎসা ব্যবস্থা। প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে 70% ঘটনায় ওষুধ দিয়েই উপসর্গগুলি বা খেঁচুনি নিয়ন্ত্রণ বা নিরাময় করা গিয়েছে। মস্তিষ্ক থেকে নিঃসৃত হওয়া রাসায়নিকগুলির পরিমাণ পরিবর্তন করে এই ওষুধগুলি খেঁচুনির তীব্রতা এবং পুনরাবৃত্তির হার হ্রাস করতে সাহায্য করে। যদিও এই ওষুধগুলি মৃগীরোগের নিরাময় করতে পারে না, কিন্তু নিয়মিত চিকিৎসায় খেঁচুনির ঘটনার পুনরাবৃত্তির হার হ্রাস করতে। এই ওষুধগুলি বিভিন্ন প্রকারে পাওয়া যায়। চিকিৎসার শুরুতে ওষুধ প্রায়ই অল্প মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় এবং খেঁচুনির ঘটনা না থামা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে ওষুধের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়। কোন অর্থপূর্ণ প্রতিক্রিয়া বা উন্নতি না দেখা গেলে ডাক্তারবাবু ওষুধ পরিবর্তন করতে পারেন। মৃগীরোগের ধরণের উপরে ওষুধের ধরণ নির্ভর করে, এবং শুধু মাত্র একজন চিকিৎসকই এই ওষুধগুলি প্রেসক্রাইব করতে পারেন। রোগী যদি অন্য কোন ওষুধ নিতে থাকেন তাহলে ডাক্তারবাবুকে তা জানাতে হবে।

এই ওষুধগুলির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলির অন্তর্গত হল:

যদি কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ তা ডাক্তারবাবুকে জানাতে হবে। সুতরাং, যেমন ভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ওষুধগুলি ঠিক সেই ভাবেই নিতে হবে। ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করার আগে ডাক্তারবাবুর সাথে কথা বলে নিন। এমন কি ওষুধগুলির জেনেরিক সংস্করণ ব্যবহার করতে হলেও ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিন। ডাক্তারবাবুর অনুমতি ছাড়া ওষুধ বন্ধ করবেন না। যদি রোগীর মেজাজের কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তা হলে ডাক্তারবাবুকে তা জানান। সময়ের সাথে সাথে অধিকাংশ এন্টিএপিলেপটিক ওষুধই বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ব্যক্তিটি কোন উপসর্গ ছাড়াই বাঁচতে পারবেন।

শল্য চিকিৎসা

যদি ওষুধগুলি পর্যাপ্ত আরাম না দেয় অথবা বেশ কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তা হলে শল্য চিকিৎসা করার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। অস্ত্রোপচারের সময় মস্তিষ্কের প্রভাবিত অংশ বাদ দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচার তখনই করা হয় যখন মস্তিষ্কের খুব ছোট এলাকা প্রভাবিত হয় এবং সেই এলাকা কোন শরীরের কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যেমন বাক শক্তি, শ্রবণ শক্তি, চলাফেরা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নড়াচড়া ও সমন্বয় ইত্যাদির কোন ক্ষতি করে না।

জীবনধারার ব্যবস্থাপনা

খেঁচুনির নিয়ন্ত্রণ জরুরী কারণ এটি বিপদজনক এবং জটিল সমস্যার সৃষ্টি করা। 

  • নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করবেন। ডাক্তারবাবুর অনুমতি ছাড়া ওষুধ গ্রহণ এড়িয়ে যাবেন না বা বন্ধ করবেন না।
  • খেঁচুনি বা মৃগীরোগ শুরুর কারণ খুঁজে বার করুন। খুব সাধারণ কারণগুলি হল মদ্যপান, অনিদ্রা, চাপ, উজ্জ্বল আলো জোরে আওয়াজ ইত্যাদি।
  • খেঁচুনি কবে এবং কখন শুরু হল, এর তীব্রতা কত, কতক্ষণ ধরে হয়েছে এবং তার সাথে খেঁচুনি শুরুর আগে আপনি কি করছিলেন তা বিস্তারিত ভাবে লিখে রাখুন।
  • খেঁচুনি শুরুর কারণগুলিকে এই ভাবে মোকাবিলা করার চেষ্টা করুন:
    • ঘুমানোর জন্য তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
    • শ্বাসের হালকা ব্যায়াম করুন।
    • মদ্যপান কম করুন।
  • যদি খেঁচুনি খুব ঘন ঘন হয় তবে এই কাজগুলি করবেন না যেমন, গাড়ি চালানো, সাঁতার কাটা এবং রান্না করা। এইগুলি করার সময় খেঁচুনি হলে তা খুবই ক্ষতিকারক হবে।
  • বাড়িতে স্মোক ডিটেক্টার লাগান।
  • বাড়ির আসবাবপত্রগুলির কোণগুলি যেন মসৃণ হয়।
  • স্নান করার সময় স্নান-ঘরের দরজা বন্ধ করবেন না।
  • বাথটাবে স্নান করার বদলে শাওয়ার ব্যবহার করুন। এতে খেঁচুনি শুরু হলে বাথটাবে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
  • সাঁতার কাটার সময় এমন সঙ্গী সাথে রাখুন যে আপনার খেঁচুনি শুরু হলে আপনাকে উদ্ধার করতে পারবে।
  • ঘরের বাইরে কোন খেলা ধুলার সময় মাথায় হেলমেট ব্যবহার করুন।
-যদিও এটির চিকিৎসা রয়েছে।তবে সম্পূর্ণ নিরাময় যোগ্য না।
এক্ষেত্রে দ্বিতীয় টার্মের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+8 টি ভোট
1 উত্তর 289 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 298 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

266,133 জন সদস্য

38 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 37 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...