বেশিরভাগ সময়ই গায়ের রঙ জিনের উপর নির্ভর করে, কিন্তু বাবা-মায়ের সাথে রঙ মিল না হলেও কিন্তু প্রচ্ছন্ন জিনের কারণে অন্যরকম হতে পারে গায়ের রঙ। আবার অনেক সময় আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। যেমন ছোটবেলায় জন্মের সময় সাদা থাকে শিশুরা, কিছুদিন পর ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়, কিংবা রং মলিন হয়ে যায়। রং কালো হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো রোদে পোড়া। ত্বককে রোদের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচানোর জন্য মেলানোসাইট মেলানিন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়। ছোটবেলার ফরসা রং তাই বড় হতে হতে রোদে পুড়ে বাইরে ঘুরে ধীরে ধীরে কালচে হয়ে যায়। অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির অকার্যকারিতায় ধীরে ধীরে ত্বক, ত্বকের ভাঁজ, সন্ধির ওপর ও অনাবৃত স্থান কালো হয়ে যায়। একে বলে অ্যাডিসনস ডিজিজ। আমাদের ত্বকে রয়েছে মেলানোসাইট নামের বিশেষ কোষ, যারা তৈরি করে মেলানিন নামের রঞ্জক পদার্থ। এই মেলানিনই ঠিক করে কার গায়ের রং কেমন হবে। মেলানিনের মাত্রা আবার নির্ভর করে জাতিসত্তা, বংশগতি, সূর্যালোকের উপস্থিতির ওপর। মেলানিন তৈরি বেড়ে গেলে ত্বকের রং গাঢ় বা কালো হয়ে যায়, যেমনটা ঘটে রোদে পুড়লে, আবার মেলানিন অস্বাভাবিক কমে গেলে রং ফ্যাকাশে সাদা হয়ে যাবে, যেমন শ্বেতী রোগে। এই মেলানিনকে প্রভাবিত করে দেহের কিছু হরমোনও। তাই গায়ের রঙ শুধু জিন না, কয়েকটি ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে।
ক্রেডিট : মিথিলা ফারজানা মেলোডি