রকেট কী পৃথিবীতে ফিরে আসে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
771 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

আপনার মনে একবার হলেও এই প্রশ্ন জাগতে পারে যে রকেট মহাকাশে কিভাবে যায় এবং সেখান থেকে কিভাবেই বা পৃথিবীতে ফিরে আসে? ডেইলি বাংলাদেশের আজকের আয়োজনে থাকছে এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন। মহাকাশ যাত্রীরা যেটাতে করে মহাকাশে যায় সেটাকে স্পেস ক্রাফট বা মহাকাশযান বলা হয়। যদি বলা হয়, রকেট পৃথিবীতে আবার ফেরত আসে তাহলে এটা সম্পূর্ণ ভুল বলা হবে। কারণ রকেট এবং স্পেস ক্রাফট দুটোই আলাদা আলাদা জিনিস। রকেট হলো নিউটনের তৃতীয় সূত্রকে অনুসরন করে যেকোনো স্যাটেলাইট বা স্পেস ক্রাফটকে মহাকাশে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। আবার অন্যদিকে স্পেস ক্রাফট হলো যেটির মধ্যে মহাকাশ যাত্রীরা বসে মহাকাশে যায়। 

পৃথিবী থেকে মহাকাশে সাধারণত দুই রকমভাবে যাওয়া হয়। প্রথমত হলো- যখন কোনো স্যাটেলাইট রোবটকে মহাকাশে পাঠানো হয়। তখন সেটিকে পৃথিবীতে ফের ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রয়োজন হয় না। এর জন্য স্যাটেলাইটকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার জন্য শুধু রকেটের ব্যবহার করা হয়। এই রকেটের চারিদিকে বুস্টার লাগানো থাকে। যেটিকে এটি পৃথিবী থেকে ওপরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। আস্তে আস্তে যত ওপরে উঠে যায় রকেটের সমস্ত পাঠ আলাদা হতে থাকে এবং সবশেষে থাকে শুধু স্যাটেলাইট এবং সে তার অরবিটে পরিক্রমন করতে থাকে। এই রকেটগুলো মহাকাশে সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা হয়ে যায়। তার মানে এগুলো পৃথিবীতে আর ফেরত আসে না। 

দ্বিতীয়ত হলো যে যন্ত্রে বসে মানুষ মহাকাশে যায় কিংবা মানুষকে স্পেসে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্পেস ক্রাফটের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। স্পেস ক্রাফট সাধারণত উড়োজাহাজের মতো হয়ে থাকে। যার মধ্যে মহাকাশে যাত্রীদের জন্য থাকা, ঘুমানো, খাওয়া ও পান করার সমস্ত্র ব্যবস্থা থাকে। স্পেস ক্রাফটের সামনের দিকে এর সমস্ত কন্ট্রোলিং সিস্টেম থাকে। যেখান থেকে এস্ট্রোয়েডরা বা মহাকাশচারীরা সমস্ত কিছু কন্ট্রোল করতে পারে। এই স্পেস ক্রাফটকে দুটি বুস্টার রকেট তথা একটি মেইন ইঞ্জিন রকেটের সাহায্যে যুক্ত করে দেয়া হয়। বুস্ট রকেট পৃথিবীর গ্র্যাভিটি থেকে রকেটকে উপরে তুলতে সাহায্য করে এবং যখন এর ফুয়েল শেষ হয়ে যায় তখন রকেট দুটি ইঞ্জিন থেতে আলাদা হয়ে যায়। 

আবার কাজ শুরু হয় মেইন রকেটের। স্পেস ক্রাফটকে স্পেসে নিয়ে যাওয়ার পুরো দায়িত্ব থাকে এই রকেটের। যখন স্পেস ক্রাফট মহাকাশে পৌঁছে যায় তখন সময় চলে আসে মেইন রকেটকে স্পেস ক্রাফট থেকে আলাদা করার এবং এখান থেকেই শুরু হয় স্পেস ক্রাফটের যাত্রা। স্পেস ক্রাফটকে এস্ট্রোয়েডরা ঠিক ঐভাবে চলাতে পারে যেভাবে একটি উড়োজাহাজ চলে। এর মধ্যে অ্যাডভান্স টেকনোলজির সমস্ত কিছু কম্পোনেন্ট এবং মেশিন লাগানো থাকে। যার সাহায্যে মহাকাশচারীরা খুব সহজে এক্সপেরিমেন্ট এবং রিসার্চ শেষ করতে পারে। 

মহাকাশ রিসার্চ শেষ হওয়ার পর এবার সময় হয় তাদের পৃথিবীতে ফিরে আসার। স্পেস ক্রাফটি পৃথিবীর চারেদিকে ঘুরতে থাকে এবং আস্তে আস্তে পৃথিবীর এটমোস্ফেয়ারের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। পৃথিবীর বায়ু মন্ডলে প্রবেশ করার পরে স্পেস ক্রাফটের মুখ নিচের দিকে না হয়ে একটু ওপর দিকে হয়ে থাকে। কারণ পৃথিবীর বায়ু মন্ডলে প্রবেশ করার সময় স্পেস ক্রাফটকে শক্তিশালী বেল চাপের সম্মুখিন হতে হয়। বাতাসের ঘর্ষণের কারণে স্পেস ক্রাফটে আগুন লেগে যেতে পারে এবং পুড়ে যেতে পারে। যদি বিশেষ তাপ প্রতিরোধক প্রোটেকশন না থাকতো এই স্পেস ক্র্যাফটের উপর তাহলে বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। 

যদি কোনো কারণবশত এই প্রোটেকশন ছিঁড়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে স্পেস ক্রাফটি পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। আস্তে আস্তে যখন স্পেস ক্রাফট পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে তখন সমান্তরাল হয়ে যায় এবং তারপর হাওয়াই জাহাজের মতো এয়ারপোর্ট রানওয়েতে ল্যান্ডিং করে। 

উড়োজাহাজটি রানওয়েতে ল্যান্ডিং করার পর স্পেস ক্র্যাফটের চাকা বেরিয়ে আসে। কিন্তু এটি ল্যান্ডিং করার সময় এর ওজন অনেক বেশি হয়। সেজন্য ল্যান্ডিং করার পর এর পেছন দিক থেকে প্যারাসুট খুলে যায় এবং খুব সহজে ল্যান্ডিং করতে পারে। এভাবে মহাকাশ যাত্রীরা সুরক্ষিতভাবে পৃথিবীতে পৌঁছে যায়। 

এই স্পেস ক্রাফট রিইউজেবল হয়। যার মানে এটি আবার ব্যবহার করা যায়। স্পেস ক্রাফট আবার মহাকাশে পাঠানোর জন্য এর সঙ্গে দুটি বুস্ট রকেট এবং একটি মেইন রকেট লাগিয়ে দেয়া হয়। এবার আপনার মনে একটা প্রশ্ন অবশ্যই জাগতে পারে, এই স্পেস ক্রাফটে এতো ফুয়েল কোথায় থেকে আসে যে স্পেসে ট্রাভেল করতে পারে এবং পৃথিবীতে আবার ফিরেও আসতে পারে। তো আপনার এসকল প্রশ্নের উত্তরটা হলো ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। 

ইন্টারন্যাশাল স্পেস স্টেশনে বিজ্ঞানের মাধ্যমে মহাকাশ যাত্রীদের জন্য সময় সময় খাবার, দরকারি মেশিন এবং ফুয়েল পাঠানো হয় এবং ওখান থেকে মহাকাশ যাত্রীরা সমস্ত দরকারি জিনিসপত্র পেয়ে যায়। এ পর্যন্ত আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন স্পেস থেকে রকেট নয় বরং স্পেস ক্রাফট পৃথিবীতে ফিরে আসে এবং মহাকাশ যাত্রীরা স্পেস ক্রাফটের মাধ্যমে মহাকাশে যায়। কিন্তু কিছুদিন আগে একটি নিউজ আর্টিকেল থেকে জানা গেছে কয়েক মাস আগে একটি প্রাইভেট কোম্পানি স্পেস এক্স এর মালিক এলন মাস্ক বলেন তাদের বিজ্ঞানিরা পুনরায় ব্যভার করা যায় এমন রকেট বানিয়ে ফেলেছে। তার মানে এখন থেকে স্যাটেলাইটকে মহাকাশের অরবিটে রেখে আসার পর রকেট পৃথিবীতে আবার ফিরে আসতে পারবে কিন্তু এই কাজটি এখনো শেষ হতে কিছুদিন সময় লাগবে। 

ক্রেডিট: ডেইলি বাংলাদেশ

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+8 টি ভোট
1 উত্তর 312 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 373 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 334 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 525 বার দেখা হয়েছে
20 ফেব্রুয়ারি 2022 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন R Atiqur (43,930 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 890 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

266,134 জন সদস্য

88 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 87 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...